খেলা
সামর্থ্যের প্রয়োগ চান হাবিবুল বাশার
স্পোর্টস রিপোর্টার
৯ নভেম্বর ২০১৮, শুক্রবার, ৯:০৯ পূর্বাহ্ন
শেষ ৪ টেস্টের ৮ ইনিংসে একটি মাত্র দেড়শ’ ছাড়ানো স্কোর! এতে কি প্রমাণ করে টেস্ট খেলার সামর্থ্য নেই বাংলাদেশের? তাহলে দেশের মাটিতে গেল দুই বছরে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াকে হারানো, শ্রীলঙ্কার মাটিতে নিজেদের শততম টেস্টে জয়, এসব কি এমনিতেই হয়ে গেছে! ১০৯ টেস্টে ১০ জয় ও ১৬ ড্র পরিসংখ্যানটা খুব উজ্জ্বল না দেখালেও ধীরে ধীরে টেস্টে উন্নতির ছাপ রেখেছে টাইগাররা। ব্যাটিংয়ে তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, মুশফিকুর রহীম আর বোলিংয়ে সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজদের ব্যক্তিগত অর্জন কম নয়। কিন্তু সমস্যা ধারাবাহিকতায়। জাতীয় দলে সহযোগী নির্বাচক ও সাবেক সফল টেস্ট অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন এমনটাই মনে করেন। তার মতে যারা দলে আছেন তাদের সবার সক্ষমতা আছে। কিন্তু সেটির প্রয়োগ জরুরি। সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ১৪৩, দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬৯ গুটিয়ে যাওয়া আসলে নিজেদের শক্তির প্রয়োগের ব্যর্থতাই মনে করেন দেশের সাবেক এই সেরা ব্যাটসম্যান। তিনি বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে এমন ব্যাটিং কিন্তু আমিও মেনে নিতে পারি না। এটি সত্যি দুঃখজনক। কিন্তু এটি কিন্তু আমাদের আসল রূপ নয়। সাকিব, তামিম নেই তাতে কি? এই দলে যারা ছিলেন তারা আগেও নিজেদের প্রমাণ করেছেন। আমি বলবো মাঠে তারা নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ রাখতে পারেনি যে কারণে এমনটা হয়েছে।’
ওয়ানডেতে দারুণ বাংলাদেশ দল। যে কোন দলকে হারানোর সক্ষমতার প্রমাণ নিয়মিতই দিয়ে যাচ্ছেন। ওয়ানডে সিরিজে জিস্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করেছে দল। কিন্তু সেখান থেকে ফিরে টেস্টে এমন বাজে ব্যাটিং কেন? অতি আত্মবিশ্বাস! নাকি জিম্বাবুয়েকে পাত্তাই দিতে চায়নি টাইগাররা? এই বিষয়ে হাবিবুল বাশার বলেন, ‘দেখুন আমরা ওয়ানডেতে এখন দারুণ খেলছি। যে দলটি টেস্টে খেলছে তাদের বেশির ভাগই ছিল ওয়ানডে দলেও। আমি মনে করি টেস্ট খেলার মানসিকতাই হচ্ছে আমাদের পারফরমেন্সের বড় প্রতিবন্ধকতা। ওয়ানডে থেকে এসে টেস্টে নিজেদের মানিয়ে নেয়াটাও বড় বিষয়।’ বাশার নিজেও ছিলেন টাইগারদের টেস্টের সফলতম অধিনায়ক। এখন দল নির্বাচনে সরাসরি জড়িত দলকে দেখেন বেশ সামনে থেকেই। তাই সমস্যাগুলো বেশ জানা। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের বোলিং দারুণ এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। প্রথম ইনিংসে ওরা ২৮২ করেছে। দ্বিতীয় ইনিংসে কিন্তু বোলাররা আরো আক্রমণ করে ওদের কে ১৮১-তে থামিয়ে দিয়েছে। সমস্যা হয়েছে ব্যাটিংয়ে। আমার কাছে মনে হয়েছে একটু তাড়াহুড়া ছিল। টেস্টে সময় নিয়ে যেভাবে খেলতে হয় সেটির অভাব ছিল। তবে আশা করি সামনে তারা নিজেদেরকে ফিরে পাবে।’
দলের একজন অভিভাবক হিসেবে এমন বিপর্যয়ের পর বাশার তাদের উপর তেমন কোনো চাপ দিতে চান না। তিনি বলেন, ‘আমি ওদের দেখেছি হারের পর কতটা বিমর্ষ ছিল। খুবই মন খারাপ ছিল সবার। যে কারণে ওদের সঙ্গে কথা বলিনি তেমন। তবে আমার মনে হয়েছে প্রত্যেকের মধ্যেই ফিরে আসার একটা ক্ষুধা আছে। সবাই চাইছে নিজেদের ভুলগুলো শুধরে নিতে।’ সিলেট টেস্ট শেষ হয়েছে ৪ দিনে। কিন্তু পঞ্চম দিন টাইগাররা শুয়ে বসে কাটায়নি। সিলেট মাঠে তারা অনুশীলন করেছেন। আর গতকালই তারা ঢাকায় পা রেখেছেন।’
রোববার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টেস্ট। এই ম্যাচে হারলে সিরিজতো হাতছাড়া হবেই সেই সঙ্গে পাবে হোয়াইটওয়াশের লজ্জাও। এমন অবস্থায় দলের কী করণীয় ঢাকা টেস্টে? এই বিষয়ে হাবিবুল বাশার বলেন, ‘প্রথমে আমরা যে ভুলগুলো করেছি সেটি যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমরা যদি আমাদের ভুলগুলো শুধরে নিতে পারি তাহলে ঢাকা টেস্টে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব। সবচেয়ে বড় কথা হলো- ইমরুল কায়েস, মিরাজ, লিটন, মাহমুদুল্লাহ, মুশফিক এদের কি নতুন করে প্রমাণ করার কিছু আছে? আমি তো মনে করি না। এদের প্রত্যেকেরই সামর্থ্য আছে। আমি চাই তাদের সেই সামর্থ্যের প্রয়োগটা মাঠে করুক। তাহলেই দল ভালো করতে পারবে।’
ওয়ানডেতে দারুণ বাংলাদেশ দল। যে কোন দলকে হারানোর সক্ষমতার প্রমাণ নিয়মিতই দিয়ে যাচ্ছেন। ওয়ানডে সিরিজে জিস্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করেছে দল। কিন্তু সেখান থেকে ফিরে টেস্টে এমন বাজে ব্যাটিং কেন? অতি আত্মবিশ্বাস! নাকি জিম্বাবুয়েকে পাত্তাই দিতে চায়নি টাইগাররা? এই বিষয়ে হাবিবুল বাশার বলেন, ‘দেখুন আমরা ওয়ানডেতে এখন দারুণ খেলছি। যে দলটি টেস্টে খেলছে তাদের বেশির ভাগই ছিল ওয়ানডে দলেও। আমি মনে করি টেস্ট খেলার মানসিকতাই হচ্ছে আমাদের পারফরমেন্সের বড় প্রতিবন্ধকতা। ওয়ানডে থেকে এসে টেস্টে নিজেদের মানিয়ে নেয়াটাও বড় বিষয়।’ বাশার নিজেও ছিলেন টাইগারদের টেস্টের সফলতম অধিনায়ক। এখন দল নির্বাচনে সরাসরি জড়িত দলকে দেখেন বেশ সামনে থেকেই। তাই সমস্যাগুলো বেশ জানা। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের বোলিং দারুণ এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। প্রথম ইনিংসে ওরা ২৮২ করেছে। দ্বিতীয় ইনিংসে কিন্তু বোলাররা আরো আক্রমণ করে ওদের কে ১৮১-তে থামিয়ে দিয়েছে। সমস্যা হয়েছে ব্যাটিংয়ে। আমার কাছে মনে হয়েছে একটু তাড়াহুড়া ছিল। টেস্টে সময় নিয়ে যেভাবে খেলতে হয় সেটির অভাব ছিল। তবে আশা করি সামনে তারা নিজেদেরকে ফিরে পাবে।’
দলের একজন অভিভাবক হিসেবে এমন বিপর্যয়ের পর বাশার তাদের উপর তেমন কোনো চাপ দিতে চান না। তিনি বলেন, ‘আমি ওদের দেখেছি হারের পর কতটা বিমর্ষ ছিল। খুবই মন খারাপ ছিল সবার। যে কারণে ওদের সঙ্গে কথা বলিনি তেমন। তবে আমার মনে হয়েছে প্রত্যেকের মধ্যেই ফিরে আসার একটা ক্ষুধা আছে। সবাই চাইছে নিজেদের ভুলগুলো শুধরে নিতে।’ সিলেট টেস্ট শেষ হয়েছে ৪ দিনে। কিন্তু পঞ্চম দিন টাইগাররা শুয়ে বসে কাটায়নি। সিলেট মাঠে তারা অনুশীলন করেছেন। আর গতকালই তারা ঢাকায় পা রেখেছেন।’
রোববার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টেস্ট। এই ম্যাচে হারলে সিরিজতো হাতছাড়া হবেই সেই সঙ্গে পাবে হোয়াইটওয়াশের লজ্জাও। এমন অবস্থায় দলের কী করণীয় ঢাকা টেস্টে? এই বিষয়ে হাবিবুল বাশার বলেন, ‘প্রথমে আমরা যে ভুলগুলো করেছি সেটি যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমরা যদি আমাদের ভুলগুলো শুধরে নিতে পারি তাহলে ঢাকা টেস্টে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব। সবচেয়ে বড় কথা হলো- ইমরুল কায়েস, মিরাজ, লিটন, মাহমুদুল্লাহ, মুশফিক এদের কি নতুন করে প্রমাণ করার কিছু আছে? আমি তো মনে করি না। এদের প্রত্যেকেরই সামর্থ্য আছে। আমি চাই তাদের সেই সামর্থ্যের প্রয়োগটা মাঠে করুক। তাহলেই দল ভালো করতে পারবে।’