উড়ন্ত সাইফের সামনে শেখ জামাল

গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ৮ গোল দেয় সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। যা ফেডারেশন কাপ ফুটবলের এবারের আসরে সর্বোচ্চ। আর দাপটের সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা সাইফের প্রতিপক্ষ এবার শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। নিজেদের সবশেষ ম্যাচে ঢাকা মোহামেডানের সঙ্গে ১-১ গোলের ড্রয়ে গ্রুপ পর্বের বাধা অতিক্রম করে তারা। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে উড়ন্ত সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের মুখোমুখি হবে শেখ জামাল। ম্যাচ শুরু বিকাল ৫টায়। ‘বি’ গ্রুপে টিম বিজেএমসিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে এবারের আসর শুরু করে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। আর দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নের জালে গোল উৎসবের প্রদর্শনী দেখায় তারা। সাইফের আক্রমণাত্মক ফুটবলের সামনে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত হয় ব্রাদার্স। আর ব্রাদার্স টানা দুই ম্যাচ হারায় এক জয় নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে বিজেএমসি। বিজেএমসির কাছে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৩-২ গোলে হার দেখে ব্রাদার্স। ১৩ দলের টুর্নামেন্ট হওয়ায় চার দল নিয়ে সাজানো হয় ‘ডি’ গ্রুপ। তিন ম্যাচে ১ জয় ও ২ ড্রয়ে বসুন্ধরা কিংসের সমান ৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ পর্ব শেষ করে শেখ জামাল। গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকে নবাগত বসুন্ধরা। আসরে সাইফের পর গ্রুপ পর্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭ গোল করে দলটি। এই গ্রুপের চিত্রটা অন্যরকমও হতে পারতো। শেখ জামালের জায়গায় কোয়ার্টার ফাইনালে থাকতে পারতো রেকর্ড ১০ বারের চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান। ‘ডি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে এগিয়ে থেকেও শেখ জামালের সঙ্গে ড্রয়ের হতাশায় বিদায় নেয় ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। ৪ পয়েন্ট নিয়ে মৌসুম শেষ করে সবশেষ ২০০৯ সালে শিরোপা জয়ী মোহামেডান। মোহামেডানকে ৫-২ গোলে হারিয়ে দুর্দান্ত শুরু করা বসুন্ধরা পরের দুই ম্যাচেই ১-১ গোলে ড্রয়ের অভিজ্ঞতা নেয় (শেখ জামাল ও নোফেল স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে)। নবাগত ক্লাব নোফেলকে ২-১ গোলে হারিয়ে সূচনা হয় শেখ জামালের। আর নোফেলের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ে প্রথম ম্যাচের ধাক্কা সামাল দেয় মোহামেডান। বসুন্ধরাকে রুখে দিয়ে শেষ ম্যাচে পয়েন্টের দেখা পায় নোফেল।