বিশ্বজমিন

বিদেশী শ্রমিক নিয়োগে দুর্নীতি অনুমোদন করবে না মালয়েশিয়া

মানবজমিন ডেস্ক

৮ নভেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ১০:১৭ পূর্বাহ্ন

বিদেশী শ্রমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনোই দুর্নীতি অনুমোদন করবে না মালয়েশিয়া। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন এমনটা। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বারনামার রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিগত সরকারের আমলে বিদেশী শ্রমিক নিয়োগ বা বিদেশ থেকে শ্রমিক নেয়ার ক্ষেত্রে প্রচন্ড রকম দুর্নীতি হয়েছে। সে বিষয়টির দিকে ইঙ্গিত করে মাহাথির মোহাম্মদ বলেছেন, বিদেশী শ্রমিকদের জন্য এখন আমাদের রয়েছে একটি যথাযথ নিয়ম বা পলিসি। কোনো শ্রমিক নিয়োগ প্রক্রিয়া দুর্নীতি, ‘বেচাকেনা’ অথবা পাচার অনুমোদন করবো না আমরা। তিনি মঙ্গলবার জাপানের রাজধানী টোকিওতে মালয়েশিয়া-জাপান বিষয়ক এক ব্যবসায় কনফারেন্সের আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। তিনি এ সময় আরো বলেন, আমরা শুধু সেইসব মানুষকে মালয়েশিয়ায় চাই, যাদের জন্য কাজ কর্মসংস্থান আছে। আমাদের জানতে হবে আমাদের নিজেদের অর্থাৎ কি পরিমাণ মালয়েশিয়ানের ঘাটতি আছে। সেটা নিশ্চিত হওয়ার পরে আমরা নির্দিষ্ট একটি সময়ের জন্য ওই পরিমাণ বিদেশী শ্রমিক অনুমোদন করতে পারি।
ওই সম্মেলনে জাপানি একজন ব্যবসায়ী মালয়েশিয়ায় শ্রমিকদের ভিসা নবায়নের ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলো যে ব্যুরোক্রেসির সমস্যা মোকাবিলা করে সে বিষয় উত্থাপন করেন। এর জবাবে ড. মাহাথির মোহাম্মদ ওই কথা বলেন।
অনলাইন ডেইলি স্টার লিখেছে, এই ইস্যুটি বাংলাদেশী শ্রমিকদের জন্য গুরুত্ব বহন করে। সেখানে বর্তমানে প্রায় ১০ লাখ বাংলাদেশী রয়েছেন। তার মধ্যে প্রায় ৫ লাখের নেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। এর কারণ প্রতারক ব্রোকার, এজেন্ট ও নিয়োগকারীরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেক বাংলাদেশী পাচার হয়ে গেছেন সেদেশে। কারণ, ওই দেশটিতে কৃষিকাজ, নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ও শিল্প কারখানায় প্রচুর শ্রমিকের প্রয়োজন। কিন্তু এসব খাতে বিদেশী শ্রমিক নেয়ার প্রক্রিয়ায় মারাত্মক দুর্নীতির অভিযোগ আছে।
১লা সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশী শ্রমিক  নেয়া স্থগিত করেছে মালয়েশিয়া সরকার। অভিযোগ প্রকাশ পায় যে, প্রতিজন বাংলাদেশীকে নিয়োগ করার ক্ষেত্রে উচ্চ হারে রিক্রুটমেন্ট ফি নেয়া হয়। জনপ্রতি তা সাড়ে তিন লাখ থেকে ৪ লাখ টাকা। এ অভিযোগের পর মালয়েশিয়া ওই ব্যবস্থা নেয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের নেতৃত্বাধীন সরকার বাংলাদেশে ১০টি রিক্রুটমেন্ট এজেন্সিকে নির্বাচিত করেছিল। তারাই সরকার-টু-সরকার বা জি-টু-জি প্লাস পদ্ধতিতে শ্রমিক নিয়োগ দেখাশোনা করতো। এ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল ২০১৬ সালের শুরুর দিকে।
ওদিকে শ্রমিকদের কাছ থেকে নেপালে মালয়েশিয়ান কোম্পানিগুলো অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে এমন অভিযোগে নেপালও মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে বিদেশী শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে একীভূত একটি মেকানিজম তৈরিতে একটি কমিটি গঠন করেছে মালয়েশিয়া সরকার। তবে কি হবে সেই মেকানিজম বা পদ্ধতি তা এখনও স্পষ্ট করা হয় নি। গত জুনে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় ঘোষণা দিয়েছে যে, তারা বিদেশী শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করে দেখবে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status