প্রথম পাতা
বল এখন সরকারের কোর্টে
স্টাফ রিপোর্টার
৮ নভেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ১০:০৩ পূর্বাহ্ন
দুই দফা সংলাপের পর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, বল এখন সরকারের কোর্টে। দ্বিতীয় দফা সংলাপে সীমিত পরিসরে আরো আলোচনার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। আলোচনা না করলে, দাবি না মানলে যেকোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে এর দায়ভার সরকারের। গতকাল গণভবনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপ শেষে নিজের বেইলি রোডের বাসায় সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে ড. কামাল হোসেন বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ১লা ও ৭ই নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী সংলাপ আহ্বান করায় ধন্যবাদ জানাই। দ্বিতীয় দফায় সীমিত পরিসরে সংলাপ অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করেছি। ইতিমধ্যে সারা দেশে হাজার হাজার রাজনৈতিক নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা হয়েছে, গ্রেপ্তার হয়েছে। সেগুলো প্রত্যাহার ও ভবিষ্যতে এ ধরনের আর কোনো গায়েবি মামলা দায়ের করা হবে না এমন আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ৭ দফার ব্যাপারে কি আলোচনা হয়েছে এমন প্রশ্নে ড. কামাল বলেন, শান্তিপূর্ণ অস্থিতিশীল অবস্থা রাখার ব্যাপারে আমরা ৭ দফা দিয়েছি এবং দাবি আদায়ের পক্ষে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এরপর যেকোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে দায়ভার সরকারের। কারণ বল এখন সরকারের কোর্টে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ৭ দফার একটি দফা খালেদা জিয়ার মুক্তি। খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে আমরা জোর দিয়ে বলেছি, তিনি আইনগতভাবে জামিন পেয়ে মুক্তি পাওয়ার যোগ্য। দ্বিতীয় দফা সংলাপে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেয়া, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা বলেছি এসব দাবি নিয়ে আরো ছোট পরিসরে আলোচনা হতে পারে। তফসিল ঘোষণার সঙ্গে এ আলোচনার কোনো সম্পর্ক থাকবে না বলে জানান তিনি। তিনি জানান, তফসিল ঘোষণা হলেও পরে সেটি আবার রি-শিডিউল ঘোষণা হতে পারে।
৭ দফা দাবিতে আন্দোলন ও আলোচনা একসঙ্গে চলবে বলে জানান বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, সংলাপকে আমরা আন্দোলনের একটি অংশ হিসেবে নিয়েছি। আমরা এখনো বিশ্বাস করি আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে। সরকার যদি আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছাতে না চায় তাহলে এর দায়-দায়িত্ব সরকারের ওপর বর্তাবে। না হলে আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করা হবে। তিনি বলেন, দাবি দাওয়া নিয়ে জনগণের কাছে যাচ্ছি।
নির্বাচন পেছানোর দাবির মাধ্যমে তৃতীয় শক্তিকে সুযোগ দেয়া হচ্ছে বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে বুঝা যায় জনগণের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। জনগণের দাবির প্রতি তাদের শ্রদ্ধা নেই। নির্বাচন পেছানোর দাবি করছি শুধু অর্থবহ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য।
এ বিষয়ে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমরা ইসিকে নিষেধ করেছি তফসিল ঘোষণা করতে। তারপরও যদি করে নিশ্চয় আমরা পছন্দ করবো না। এও বলেছি, তফসিল দিলে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে পথযাত্রা করবো। তফসিল ঘোষণার পরও আমাদের দাবি সেটি রি-শিডিউল করা যেতে পারে।
মান্না বলেন, সংসদ ভেঙে দেয়ার ব্যাপারে আমরা বলেছি, কারণ এটি বর্তমান সংবিধানের মধ্যেই অন্তর্গত আছে। কারণ সংসদ ভেঙে দেয়ার ৯০ দিন পর নির্বাচন দেয়ার প্রস্তাব করেছি। একই সঙ্গে দুটি সংসদ থাকবে এটা তো কোনো নিয়মই হতে পারে না। সংবিধানের মধ্যেই আছে। নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার কোনো প্রস্তাব করিনি। সরকার যদি এ ধরনের কথা বলে থাকে তবে সেটি ভুল।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে ড. কামাল হোসেন বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ১লা ও ৭ই নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী সংলাপ আহ্বান করায় ধন্যবাদ জানাই। দ্বিতীয় দফায় সীমিত পরিসরে সংলাপ অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করেছি। ইতিমধ্যে সারা দেশে হাজার হাজার রাজনৈতিক নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা হয়েছে, গ্রেপ্তার হয়েছে। সেগুলো প্রত্যাহার ও ভবিষ্যতে এ ধরনের আর কোনো গায়েবি মামলা দায়ের করা হবে না এমন আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ৭ দফার ব্যাপারে কি আলোচনা হয়েছে এমন প্রশ্নে ড. কামাল বলেন, শান্তিপূর্ণ অস্থিতিশীল অবস্থা রাখার ব্যাপারে আমরা ৭ দফা দিয়েছি এবং দাবি আদায়ের পক্ষে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এরপর যেকোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে দায়ভার সরকারের। কারণ বল এখন সরকারের কোর্টে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ৭ দফার একটি দফা খালেদা জিয়ার মুক্তি। খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে আমরা জোর দিয়ে বলেছি, তিনি আইনগতভাবে জামিন পেয়ে মুক্তি পাওয়ার যোগ্য। দ্বিতীয় দফা সংলাপে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেয়া, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা বলেছি এসব দাবি নিয়ে আরো ছোট পরিসরে আলোচনা হতে পারে। তফসিল ঘোষণার সঙ্গে এ আলোচনার কোনো সম্পর্ক থাকবে না বলে জানান তিনি। তিনি জানান, তফসিল ঘোষণা হলেও পরে সেটি আবার রি-শিডিউল ঘোষণা হতে পারে।
৭ দফা দাবিতে আন্দোলন ও আলোচনা একসঙ্গে চলবে বলে জানান বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, সংলাপকে আমরা আন্দোলনের একটি অংশ হিসেবে নিয়েছি। আমরা এখনো বিশ্বাস করি আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে। সরকার যদি আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছাতে না চায় তাহলে এর দায়-দায়িত্ব সরকারের ওপর বর্তাবে। না হলে আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করা হবে। তিনি বলেন, দাবি দাওয়া নিয়ে জনগণের কাছে যাচ্ছি।
নির্বাচন পেছানোর দাবির মাধ্যমে তৃতীয় শক্তিকে সুযোগ দেয়া হচ্ছে বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে বুঝা যায় জনগণের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। জনগণের দাবির প্রতি তাদের শ্রদ্ধা নেই। নির্বাচন পেছানোর দাবি করছি শুধু অর্থবহ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য।
এ বিষয়ে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমরা ইসিকে নিষেধ করেছি তফসিল ঘোষণা করতে। তারপরও যদি করে নিশ্চয় আমরা পছন্দ করবো না। এও বলেছি, তফসিল দিলে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে পথযাত্রা করবো। তফসিল ঘোষণার পরও আমাদের দাবি সেটি রি-শিডিউল করা যেতে পারে।
মান্না বলেন, সংসদ ভেঙে দেয়ার ব্যাপারে আমরা বলেছি, কারণ এটি বর্তমান সংবিধানের মধ্যেই অন্তর্গত আছে। কারণ সংসদ ভেঙে দেয়ার ৯০ দিন পর নির্বাচন দেয়ার প্রস্তাব করেছি। একই সঙ্গে দুটি সংসদ থাকবে এটা তো কোনো নিয়মই হতে পারে না। সংবিধানের মধ্যেই আছে। নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার কোনো প্রস্তাব করিনি। সরকার যদি এ ধরনের কথা বলে থাকে তবে সেটি ভুল।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন প্রমুখ।