প্রথম পাতা
আমরা সংবিধানের বাইরে যাবো না
স্টাফ রিপোর্টার
৮ নভেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ১০:০৩ পূর্বাহ্ন
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপ শেষে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, নির্বাচন ইস্যুতে সরকার সংবিধানের বাইরে যাবে না। বর্তমান সংসদের মেয়াদ শেষের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন এবং ১০ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ গঠনে ঐক্যফ্রন্ট যে প্রস্তাব দিয়েছে তা বৈঠকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নাকচ করে দেয়া হয়েছে বলে জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ঐক্যফ্রন্টের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের সাত দফার বেশকিছু দাবি মানা হয়েছে। সংলাপের ফলাফল প্রসঙ্গে তিনি জানান, সংলাপ ব্যর্থ বলে আমি মনে করি না। আলোচনা হয়েছে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে, আলোচনায় কোনো ধরনের আনপেজেন্ড কিছু ঘটেনি। এটা একটা ইতিবাচক অগ্রগতি। নির্বাচনের প্রক্রিয়াও এগিয়ে যাবে, এর মধ্যে আলোচনাও চলবে। তবে ডায়ালগ শেষ। ঐক্যফ্রন্টের দাবি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন পিছিয়ে দিতে এটা তাদের বাহানা। এর মাধ্যমে ফাঁকফোকর দেয়া হচ্ছে। যেখান দিয়ে তৃতীয় কোনো অপশক্তি এসে ১/১১ এর মতো ঘটনা ঘটাতে পারে। আমরা সেটাই মনে করছি।
কিন্তু আমরা সংবিধানের বাইরে যাবো না। নির্বাচন পেছানোর সুযোগ নেই। গত সাতদিনে যত সংলাপ হয়েছে সেসব বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাবেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে ঐক্যফ্রন্টকে নির্বাচনে আসার জন্য অনুরোধ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের বলেছেন, তিনি (প্রধানমন্ত্রী) অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করে দেখিয়ে দেবেন এবং তিনি যা বলেছেন সেটাই সত্য। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- আমি আমার দেশের জনগণের সঙ্গে প্রতারণামূলক কোনো অভিসন্ধী নিয়ে কাজ করি না। জনগণ যদি আমাদের ভোট দেয়, আমরা থাকবো। আপনাদের ভোট দিলে আপনারা জিতবেন। নির্বাচনে কোনো প্রকার কারচুপি, জালিয়াতি কোনো কিছু হবে না। ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন হবে, ক্রেডিবল ইলেকশন হবে, একসেপ্টেবল ইলেকশন হবে এবং বিদেশি পর্যবেক্ষক যে কোনো বুথে যেতে পারে, যে কোনো নির্বাচন কেন্দ্রে যেতে পারে। তারা যেভাবে চান, নির্বাচন কমিশন অ্যালাউ করলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।
সংলাপের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঐক্যফ্রন্টের নেতারা চাইছেন যে সংসদ ভেঙে দিয়ে পরবর্তী ৯০ দিনে নির্বাচন করার জন্য। এটা হচ্ছে মূল কথা। এ ছাড়া নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড, বিদেশি পর্যবেক্ষক, রাজবন্দিদের মুক্তি। এসব বিষয়ে আমাদের নেত্রী, আমাদের দলনেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যে, এসব দাবি মেনে নিতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। শিডিউল ডিক্লিয়ারের পরে নির্বাচন কমিশন এগুলো করবে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ব্যাপারে আমরা সম্মত। তিনি বলেন, মন্ত্রীরা নিজের এলাকায় জাতীয় পতাকা ব্যবহার করবেন না, সরকারি সুযোগ-সুবিধা নেবেন না, সার্কিট হাউস ব্যবহার করবেন না, সরকারি গাড়ি ব্যবহার করবেন না। কোনো প্রকার সরকারি সুবিধা আমরা ব্যবহার করবো না। অন্যান্য কোনো এমপিরাও, তাদের কোনো পাওয়ার থাকবে না।
ঐক্যফ্রন্ট যদি প্রার্থিতা দেয় বা অন্যান্য দল যদি প্রার্থিতা দেয়, তাদের মতো আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা বা মহাজোটের প্রার্থীরা একই সুবিধা এনজয় করবেন। এর অতিরিক্ত কিছু হবে না। ইলেকশন কমিশন বিষয়টি দেখবে। ঐক্যফ্রন্টের ১০ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচনকালীন সরকারের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা ওই প্রক্রিয়া, ৯০ দিন। আমরা সংবিধানের বাইরে যাবো না, এটা আমরা পরিষ্কার করে বলে দিয়েছি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা তো আশাবাদী যে যখন একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যাপারে আমাদের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের দলনেতা পরিষ্কারভাবে তাদের বৈঠকে এবং পারসোনালি বলেছেন যে, আসুন আমি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু, ফ্রি-ফেয়ার-নিউট্রাল ইলেকশন করতে চাই।
এ ব্যাপারে সহায়তা করুন এবং জনগণকে পিছিয়ে দিতে গিয়ে কোনো অপশক্তিকে ফাঁকফোকর দিয়ে অনুপ্রবেশের সুযোগ দেবেন না, যেটা আপনাদের জন্য ক্ষতি ডেকে আনতে পারে, আমাদের সকলের জন্য সর্বনাশ ডেকে আনতে পারে। সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আরেকটি বিষয় হচ্ছে, সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার নিয়ে তারা যে কথা বলেছেন, এটা আমাদের দেশে হয় না। পৃথিবীর কোনো গণতান্ত্রিক দেশে এ ধরনের নিয়ম চালু নেই। তবে সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে টাস্কফোর্স হিসেবে। তারা যেখানেই প্রয়োজন, লোকাল এডমিনিস্ট্রেশনের সহায়তায় তারা যখনই, যেখানে চাইবে, সেখানে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী নিয়োজিত থাকবে। এখন তারা যে দাবি দিয়েছেন, সাত দফার বেশির ভাগই মেনে নিতে আমাদের নেত্রী দলনেতা শেখ হাসিনা সম্মত হয়েছেন।
কিন্তু তারা আজকে এমন কিছু বিষয় নিয়ে এসেছেন, যে এটাকে (জাতীয় নির্বাচন) পরবর্তী ৯০ দিনে নিয়ে যাওয়া। হয়তো তাঁদের অনেকেরই সদিচ্ছা আছে, কিন্তু এটা আসলে নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার একটা বাহানা এবং এই পিছিয়ে দেয়ার মধ্য দিয়ে ফাঁকফোকর তুলে দেয়া হচ্ছে, যেখান দিয়ে তৃতীয় কোনো অপশক্তি এসে যে ওয়ান-ইলেভেনের মতো সেই ঘটনার, অনভিপ্রেত-অস্বাভাবিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারে। আমরা সেটাই মনে করছি। সংলাপ আমাদের এখনো শেষ হয়নি। রাতে আরেকটি সংলাপ আছে। ২৫টি দল এখনো বাকি আছে।
তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্ট দ্বিতীয় দফা সংলাপ করছে। ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা এসেছেন। আলোচনা হয়েছে। তারাও মন খুলে আলোচনা করেছেন, আমরাও আলোচনা করেছি। খালেদা জিয়ার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঐক্যফ্রন্টের নেতারা খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে জামিন চেয়েছেন, তারা ওইভাবে মুক্তি চাননি। আপনারাই (গণমাধ্যমকর্মীরা) প্যারোল বানিয়েছেন। তারা কিন্তু প্যারোল বলেননি। খালেদা জিয়ার মামলা তো এই সরকার করেনি। এটা করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এখন খালেদা জিয়ার জামিন বা মুক্তির বিষয় আদালতের ব্যাপার। তিনি আরও বলেন, কিছু কিছু প্রস্তাব আছে যেগুলো আমাদের মেনে নিতে আপত্তি নেই। তারা তো প্রস্তাব দিচ্ছেন সংবিধানের মধ্যেই, কিন্তু বিষয়টি তো সংবিধানের বাইরে।
এখানে একটা বিরাট গ্যাপ আছে তাদের প্রস্তাবের মধ্যে। তারপরও আমার কাছে মনে হলো, যাওয়ার সময় তারা নমনীয় মনে হয়েছে তাদের কথাবার্তা-আচরণ। সংলাপে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বৃহস্পতিবার আমাদের দলনেতা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলনে এই কয়দিনের সংলাপে যে বক্তব্যগুলো এসেছে এগুলো নিয়ে আমাদের অবস্থান-আমাদের বক্তব্য জানিয়ে দেবেন। ঐক্যফ্রন্ট কঠোর কর্মসূচিতে গেলে আওয়ামী লীগ কী করবে? এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা বলেছেন, তাঁরা কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন, রোডমার্চ করবেন, এগুলো তো গণতান্ত্রিক কর্মসূচি। এগুলো তো আমরাও করেছি। কিন্তু এই যে পদযাত্রা আর রোডমার্চ করতে গিয়ে যদি বোমাবাজি করে বা জ্বালাও-পোড়াও করে, সেই পরিস্থিতিতে আমরা বসে থাকব না।
ঐক্যফ্রন্টের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের সাত দফার বেশকিছু দাবি মানা হয়েছে। সংলাপের ফলাফল প্রসঙ্গে তিনি জানান, সংলাপ ব্যর্থ বলে আমি মনে করি না। আলোচনা হয়েছে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে, আলোচনায় কোনো ধরনের আনপেজেন্ড কিছু ঘটেনি। এটা একটা ইতিবাচক অগ্রগতি। নির্বাচনের প্রক্রিয়াও এগিয়ে যাবে, এর মধ্যে আলোচনাও চলবে। তবে ডায়ালগ শেষ। ঐক্যফ্রন্টের দাবি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন পিছিয়ে দিতে এটা তাদের বাহানা। এর মাধ্যমে ফাঁকফোকর দেয়া হচ্ছে। যেখান দিয়ে তৃতীয় কোনো অপশক্তি এসে ১/১১ এর মতো ঘটনা ঘটাতে পারে। আমরা সেটাই মনে করছি।
কিন্তু আমরা সংবিধানের বাইরে যাবো না। নির্বাচন পেছানোর সুযোগ নেই। গত সাতদিনে যত সংলাপ হয়েছে সেসব বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাবেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে ঐক্যফ্রন্টকে নির্বাচনে আসার জন্য অনুরোধ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের বলেছেন, তিনি (প্রধানমন্ত্রী) অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করে দেখিয়ে দেবেন এবং তিনি যা বলেছেন সেটাই সত্য। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- আমি আমার দেশের জনগণের সঙ্গে প্রতারণামূলক কোনো অভিসন্ধী নিয়ে কাজ করি না। জনগণ যদি আমাদের ভোট দেয়, আমরা থাকবো। আপনাদের ভোট দিলে আপনারা জিতবেন। নির্বাচনে কোনো প্রকার কারচুপি, জালিয়াতি কোনো কিছু হবে না। ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন হবে, ক্রেডিবল ইলেকশন হবে, একসেপ্টেবল ইলেকশন হবে এবং বিদেশি পর্যবেক্ষক যে কোনো বুথে যেতে পারে, যে কোনো নির্বাচন কেন্দ্রে যেতে পারে। তারা যেভাবে চান, নির্বাচন কমিশন অ্যালাউ করলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।
সংলাপের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঐক্যফ্রন্টের নেতারা চাইছেন যে সংসদ ভেঙে দিয়ে পরবর্তী ৯০ দিনে নির্বাচন করার জন্য। এটা হচ্ছে মূল কথা। এ ছাড়া নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড, বিদেশি পর্যবেক্ষক, রাজবন্দিদের মুক্তি। এসব বিষয়ে আমাদের নেত্রী, আমাদের দলনেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যে, এসব দাবি মেনে নিতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। শিডিউল ডিক্লিয়ারের পরে নির্বাচন কমিশন এগুলো করবে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ব্যাপারে আমরা সম্মত। তিনি বলেন, মন্ত্রীরা নিজের এলাকায় জাতীয় পতাকা ব্যবহার করবেন না, সরকারি সুযোগ-সুবিধা নেবেন না, সার্কিট হাউস ব্যবহার করবেন না, সরকারি গাড়ি ব্যবহার করবেন না। কোনো প্রকার সরকারি সুবিধা আমরা ব্যবহার করবো না। অন্যান্য কোনো এমপিরাও, তাদের কোনো পাওয়ার থাকবে না।
ঐক্যফ্রন্ট যদি প্রার্থিতা দেয় বা অন্যান্য দল যদি প্রার্থিতা দেয়, তাদের মতো আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা বা মহাজোটের প্রার্থীরা একই সুবিধা এনজয় করবেন। এর অতিরিক্ত কিছু হবে না। ইলেকশন কমিশন বিষয়টি দেখবে। ঐক্যফ্রন্টের ১০ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচনকালীন সরকারের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা ওই প্রক্রিয়া, ৯০ দিন। আমরা সংবিধানের বাইরে যাবো না, এটা আমরা পরিষ্কার করে বলে দিয়েছি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা তো আশাবাদী যে যখন একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যাপারে আমাদের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের দলনেতা পরিষ্কারভাবে তাদের বৈঠকে এবং পারসোনালি বলেছেন যে, আসুন আমি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু, ফ্রি-ফেয়ার-নিউট্রাল ইলেকশন করতে চাই।
এ ব্যাপারে সহায়তা করুন এবং জনগণকে পিছিয়ে দিতে গিয়ে কোনো অপশক্তিকে ফাঁকফোকর দিয়ে অনুপ্রবেশের সুযোগ দেবেন না, যেটা আপনাদের জন্য ক্ষতি ডেকে আনতে পারে, আমাদের সকলের জন্য সর্বনাশ ডেকে আনতে পারে। সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আরেকটি বিষয় হচ্ছে, সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার নিয়ে তারা যে কথা বলেছেন, এটা আমাদের দেশে হয় না। পৃথিবীর কোনো গণতান্ত্রিক দেশে এ ধরনের নিয়ম চালু নেই। তবে সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে টাস্কফোর্স হিসেবে। তারা যেখানেই প্রয়োজন, লোকাল এডমিনিস্ট্রেশনের সহায়তায় তারা যখনই, যেখানে চাইবে, সেখানে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী নিয়োজিত থাকবে। এখন তারা যে দাবি দিয়েছেন, সাত দফার বেশির ভাগই মেনে নিতে আমাদের নেত্রী দলনেতা শেখ হাসিনা সম্মত হয়েছেন।
কিন্তু তারা আজকে এমন কিছু বিষয় নিয়ে এসেছেন, যে এটাকে (জাতীয় নির্বাচন) পরবর্তী ৯০ দিনে নিয়ে যাওয়া। হয়তো তাঁদের অনেকেরই সদিচ্ছা আছে, কিন্তু এটা আসলে নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার একটা বাহানা এবং এই পিছিয়ে দেয়ার মধ্য দিয়ে ফাঁকফোকর তুলে দেয়া হচ্ছে, যেখান দিয়ে তৃতীয় কোনো অপশক্তি এসে যে ওয়ান-ইলেভেনের মতো সেই ঘটনার, অনভিপ্রেত-অস্বাভাবিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারে। আমরা সেটাই মনে করছি। সংলাপ আমাদের এখনো শেষ হয়নি। রাতে আরেকটি সংলাপ আছে। ২৫টি দল এখনো বাকি আছে।
তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্ট দ্বিতীয় দফা সংলাপ করছে। ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা এসেছেন। আলোচনা হয়েছে। তারাও মন খুলে আলোচনা করেছেন, আমরাও আলোচনা করেছি। খালেদা জিয়ার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঐক্যফ্রন্টের নেতারা খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে জামিন চেয়েছেন, তারা ওইভাবে মুক্তি চাননি। আপনারাই (গণমাধ্যমকর্মীরা) প্যারোল বানিয়েছেন। তারা কিন্তু প্যারোল বলেননি। খালেদা জিয়ার মামলা তো এই সরকার করেনি। এটা করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এখন খালেদা জিয়ার জামিন বা মুক্তির বিষয় আদালতের ব্যাপার। তিনি আরও বলেন, কিছু কিছু প্রস্তাব আছে যেগুলো আমাদের মেনে নিতে আপত্তি নেই। তারা তো প্রস্তাব দিচ্ছেন সংবিধানের মধ্যেই, কিন্তু বিষয়টি তো সংবিধানের বাইরে।
এখানে একটা বিরাট গ্যাপ আছে তাদের প্রস্তাবের মধ্যে। তারপরও আমার কাছে মনে হলো, যাওয়ার সময় তারা নমনীয় মনে হয়েছে তাদের কথাবার্তা-আচরণ। সংলাপে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বৃহস্পতিবার আমাদের দলনেতা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলনে এই কয়দিনের সংলাপে যে বক্তব্যগুলো এসেছে এগুলো নিয়ে আমাদের অবস্থান-আমাদের বক্তব্য জানিয়ে দেবেন। ঐক্যফ্রন্ট কঠোর কর্মসূচিতে গেলে আওয়ামী লীগ কী করবে? এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা বলেছেন, তাঁরা কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন, রোডমার্চ করবেন, এগুলো তো গণতান্ত্রিক কর্মসূচি। এগুলো তো আমরাও করেছি। কিন্তু এই যে পদযাত্রা আর রোডমার্চ করতে গিয়ে যদি বোমাবাজি করে বা জ্বালাও-পোড়াও করে, সেই পরিস্থিতিতে আমরা বসে থাকব না।