প্রথম পাতা
মিয়ানমারের দূতকে তলব
গুলির নিন্দা প্রত্যাবাসনের তারিখ দেয়ার তাগিদ ঢাকার
কূটনৈতিক রিপোর্টার
৮ নভেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ১০:০৩ পূর্বাহ্ন
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের তারিখ নিয়ে টালবাহানা এবং বিনা উস্কানিতে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ বিজিপি’র গুলিবর্ষণের ঘটনায় ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ লুইন ও’কে তলব করে ক্ষোভের কথা জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তার হাতে বাংলাদেশের তরফে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ নোটও দেয়া হয়েছে। ঢাকার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১লা নভেম্বরের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে মধ্য নভেম্বরে প্রত্যাবাসন শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। মিয়ানমার সময়ক্ষণ জানানোর কথা। কিন্তু বৈঠকের ৪ দিনের মাথায় (৪ঠা নভেম্বর) দিন-দুপুরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিজিপির ৩ দফায় ৪১ রাউন্ড গুলিবর্ষণের ঘটনা বাস্তুচ্যুতদের ফেরানোর প্রক্রিয়া ঠেকানোর কোনো কৌশল কি-না? রাষ্ট্রদূতের কাছে খোলাখুলিভাবে তা জানতে চেয়েছে ঢাকা।
সরকারের ডাকে বিকাল সাড়ে ৩টায় (পূর্ব নির্ধারিত সময়ে) রাষ্ট্রদূত এবং তার দুই সহকর্মীকে নিয়ে সেগুনবাগিচায় হাজির হন। মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক দেলোয়ার হোসেনসহ সাউথ ইস্ট এশিয়া উইংয়ের কর্মকর্তারা তাদের সঙ্গে কথা বলেন। রাষ্ট্রদূত শুরুতে ঘটনাটি অস্বীকার করার চেষ্টা করেন। মহাপরিচালক তাকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, ঘটনাটি দিনের আলোতে ঘটেছে। এর চাক্ষুস সাক্ষী রয়েছে। মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীরা থেমে থেমে গুলি করছে। কোনো রকম উস্কানি ছাড়াই প্রথম দফায় ১৭ রাউন্ড, দ্বিতীয় দফায় ২১ রাউন্ড, সর্বশেষ ৩ রাউন্ড গুলি চালিয়েছে। ওই ঘটনায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবস্থানরত একজন বাংলাদেশি এবং একজন রোহিঙ্গা বালক আহত হয়েছেন। বাংলাদেশি বালকের বুকে গুলি লেগেছে এবং তার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন জানিয়ে ঢাকার তরফে বলা হয়, ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত এবং উস্কানিমূলক। এমন ঘটনা পুনরাবৃত্তি রোধে সংশ্লিষ্ট সীমান্তরক্ষীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই শান্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে মনে হবে শীর্ষ নেতৃত্বের অঙ্গীকারের পর সীমান্তরক্ষীরা প্রত্যাবাসনের পরিবেশ বিনষ্ট করতে এবং রোহিঙ্গাদের মধ্যে ভয় বাড়াতে পরিকল্পিতভাবে এমন ঘটনা ঘটাচ্ছে।
রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে কাজ করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনেকে এ নিয়ে সরকারের কাছে জানতে চেয়েছেন উল্লেখ করে মন্ত্রণালয়ের তরফে মিয়ানমার দূতকে বলা হয়- এক সপ্তাহ হয়ে গেল মিয়ানমার এখনো প্রত্যাবাসনের নির্দিষ্ট সময়ক্ষণ জানায়নি। তাছাড়া বাংলাদেশ যখন প্রত্যাবাসনের চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে রয়েছে সেই সময়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তরফে গুলিবর্ষণ করা হচ্ছে। এটি প্রত্যাবাসনের সিদ্ধান্তের পরিপন্থি। ঢাকার তরফে বলা হয়- উস্কানিমূলক ওই ঘটনার পেছনে কোনো দুরভিসন্ধি রয়েছে, এমনটি বাংলাদেশ মনে করতে চায় না। বাংলাদেশ মনে করে মিয়ানমারের শীর্ষ নেতৃত্ব গুলিবর্ষণের ঘটনার জন্য দায়ী সদস্যদের বিরুদ্ধে কালবিলম্ব না করে ব্যবস্থা নেবে এবং এ নিয়ে জনমনের প্রশ্ন নিরসন করবে। প্রত্যাবাসনে নেপি’ড যে আন্তরিক সেটি ওই ঘটনায় ব্যবস্থা নেয়ার মধ্য দিয়ে তারা প্রমাণ করবে বলেও আশা করে ঢাকা।
এক কর্মকর্তা দাবি করেন- বাংলাদেশের বক্তব্য শোনার পর মিয়ানমারের কূটনীতিকরা খানিক নমনীয় হন এবং ঘটনাটি এই সময়ে ঘটার কারণে সার্বিকভাবে প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে বলে তাদের মধ্যে অনুশোচনা লক্ষণীয় ছিল। উল্লেখ্য, উখিয়া থানার ওসি তদন্ত খায়রুজ্জামান এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে- গত ৪ঠা নভেম্বর সীমান্ত লাগোয়া কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালীর রহমত বিল এলাকার স্থানীয় রাখাল বালকদের উদ্দেশে বিজিপি দফায় দফায় গুলি ছুড়ে। এতে অন্তত দুজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করতে গেলে তারা ফের গুলি করে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মিয়ানমারের বিজিপির গুলিবর্ষণের ওই ঘটনায় তাৎক্ষণিক গোটা এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়।
সরকারের ডাকে বিকাল সাড়ে ৩টায় (পূর্ব নির্ধারিত সময়ে) রাষ্ট্রদূত এবং তার দুই সহকর্মীকে নিয়ে সেগুনবাগিচায় হাজির হন। মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক দেলোয়ার হোসেনসহ সাউথ ইস্ট এশিয়া উইংয়ের কর্মকর্তারা তাদের সঙ্গে কথা বলেন। রাষ্ট্রদূত শুরুতে ঘটনাটি অস্বীকার করার চেষ্টা করেন। মহাপরিচালক তাকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, ঘটনাটি দিনের আলোতে ঘটেছে। এর চাক্ষুস সাক্ষী রয়েছে। মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীরা থেমে থেমে গুলি করছে। কোনো রকম উস্কানি ছাড়াই প্রথম দফায় ১৭ রাউন্ড, দ্বিতীয় দফায় ২১ রাউন্ড, সর্বশেষ ৩ রাউন্ড গুলি চালিয়েছে। ওই ঘটনায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবস্থানরত একজন বাংলাদেশি এবং একজন রোহিঙ্গা বালক আহত হয়েছেন। বাংলাদেশি বালকের বুকে গুলি লেগেছে এবং তার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন জানিয়ে ঢাকার তরফে বলা হয়, ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত এবং উস্কানিমূলক। এমন ঘটনা পুনরাবৃত্তি রোধে সংশ্লিষ্ট সীমান্তরক্ষীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই শান্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে মনে হবে শীর্ষ নেতৃত্বের অঙ্গীকারের পর সীমান্তরক্ষীরা প্রত্যাবাসনের পরিবেশ বিনষ্ট করতে এবং রোহিঙ্গাদের মধ্যে ভয় বাড়াতে পরিকল্পিতভাবে এমন ঘটনা ঘটাচ্ছে।
রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে কাজ করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনেকে এ নিয়ে সরকারের কাছে জানতে চেয়েছেন উল্লেখ করে মন্ত্রণালয়ের তরফে মিয়ানমার দূতকে বলা হয়- এক সপ্তাহ হয়ে গেল মিয়ানমার এখনো প্রত্যাবাসনের নির্দিষ্ট সময়ক্ষণ জানায়নি। তাছাড়া বাংলাদেশ যখন প্রত্যাবাসনের চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে রয়েছে সেই সময়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তরফে গুলিবর্ষণ করা হচ্ছে। এটি প্রত্যাবাসনের সিদ্ধান্তের পরিপন্থি। ঢাকার তরফে বলা হয়- উস্কানিমূলক ওই ঘটনার পেছনে কোনো দুরভিসন্ধি রয়েছে, এমনটি বাংলাদেশ মনে করতে চায় না। বাংলাদেশ মনে করে মিয়ানমারের শীর্ষ নেতৃত্ব গুলিবর্ষণের ঘটনার জন্য দায়ী সদস্যদের বিরুদ্ধে কালবিলম্ব না করে ব্যবস্থা নেবে এবং এ নিয়ে জনমনের প্রশ্ন নিরসন করবে। প্রত্যাবাসনে নেপি’ড যে আন্তরিক সেটি ওই ঘটনায় ব্যবস্থা নেয়ার মধ্য দিয়ে তারা প্রমাণ করবে বলেও আশা করে ঢাকা।
এক কর্মকর্তা দাবি করেন- বাংলাদেশের বক্তব্য শোনার পর মিয়ানমারের কূটনীতিকরা খানিক নমনীয় হন এবং ঘটনাটি এই সময়ে ঘটার কারণে সার্বিকভাবে প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে বলে তাদের মধ্যে অনুশোচনা লক্ষণীয় ছিল। উল্লেখ্য, উখিয়া থানার ওসি তদন্ত খায়রুজ্জামান এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে- গত ৪ঠা নভেম্বর সীমান্ত লাগোয়া কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালীর রহমত বিল এলাকার স্থানীয় রাখাল বালকদের উদ্দেশে বিজিপি দফায় দফায় গুলি ছুড়ে। এতে অন্তত দুজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করতে গেলে তারা ফের গুলি করে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মিয়ানমারের বিজিপির গুলিবর্ষণের ওই ঘটনায় তাৎক্ষণিক গোটা এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়।