বাংলারজমিন

শ্রীমঙ্গলে পল্লী বিদ্যুতের গায়েবি বিল

এম ইদ্রিস আলী, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) থেকে

৮ নভেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:০২ পূর্বাহ্ন

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃক গ্রাহকদের গায়েবি বিদ্যুৎ বিলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি বেশ কিছু দিন ধরে এসব গায়েবি বিলে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ দিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় প্রতিদিনই গ্রাহকরা এসব গায়েবি বিলের কাগজ নিয়ে হাজির হচ্ছেন। এতে এক দিকে গ্রাহকরা যেমন চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন, অন্যদিকে এসব ঝামেলা ঘাটতে গিয়ে বাড়তি টাকা খরচ হচ্ছে পকেট থেকে।

মৌলভীবাজার রোডের রিহ্যাব ক্যামিকেল অ্যান্ড পারফিউম কো. লি. এর ম্যানেজিং ডিরেক্ট মুছাদ্দিক আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, ‘বিগত তিন মাস ধরে আমার একটি মিটার থেকে কোন বিদ্যুৎ ব্যবহার না করলেও পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি প্রতি মাসে ৩০০-৪০০ টাকা করে গায়েবি বিল পাঠিয়ে দিচ্ছে। গত অক্টোবর মাসেও ৩৬১ টাকা বিল এসেছে’। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘যেখানে মিনিমাম চার্জ ৩০ টাকা আসার কথা সেখানে এত গায়েবি বিল কিভাবে আসে। এছাড়া প্রতিদিন এ এলাকায় লোডশেডিং হয়, এসময় মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে কোন দিনও লাইন পাওয়া যায় না, তারা ফোনো ব্যস্ত করে রেখে দেয়। এতে ফ্যাক্টরির উৎপাদন কাজে মারত্মক ব্যাঘাত ঘটছে’।

শহরের মিশন রোডের বাসিন্দা আবুল কাসেম বলেন, ‘উত্তর ভাড়াউড়া এলাকায় আমার পরিত্যক্ত একটি বাড়িতে কোন লোকজন বসবাস না করায় প্রতি মাসে ৪০-৫০ টাকা বিল আসতো হঠাৎ করে গত অক্টোবর মাসের বিল ২ হাজার ৮৩৪ টাকা আসে। তাতে বিল প্রস্তুতকারী বিদ্যুৎ বিলের কাগজে লিখেছেন, ‘আনুমানিক বিল, মিটারের ডিসপ্লে সাদা বিধায় গড় বিল করা হইলো’। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিলের ধরন দেখেই বুঝা যাচ্ছে ওরা যে অফিসে বসে বসে মনগড়া বিল তৈরি করে গ্রাহকদের দিচ্ছে। শ্রীমঙ্গল উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোমিনুল হোসেন সোহেল বলেন, ডিজিটাল চুরির প্রমাণ করা কঠিন। এসব প্রমাণ করতে হলে একজন বিসিএস ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার প্রয়োজন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘আমার দোকানে ২৫ ওয়াটের দুইটি লাইট আর একটি ফ্যান গড়ে আট ঘণ্টা চলে সে হিসেবে এক মাসে কত ইউনিট বিল উঠে তা ইঞ্জিনিয়ার ছাড়া বলা মুশকিল। অথচ আগে আমার দোকানে গড় বিল আসতো ৩২০-৪০০ টাকার মধ্যে। সেখানে অক্টোবর মাসে বিল আসছে ৯০০ টাকা’। জানতে চাইলে মৌলভীবাজার পল্লীবিদ্যুৎ জিএম শিবু লাল বসু বলেন, পাবলিকের বিল কমলে তো আমাদের কাছে কোনো কমপ্লেইন আসে না। যদি তার মিটারে উঠে থাকে তাহলে তো তার বিল পেমেন্ট করতেই হবে। তবে ভুলে বিল বেশি হয়ে থাকলে এগুলো আমরা কারেকশন করে দিব’।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status