বিশ্বজমিন
পাকিস্তান ছেড়ে পালালেন আসিয়া বিবির আইনজীবী
মানবজমিন ডেস্ক
৪ নভেম্বর ২০১৮, রবিবার, ৯:৫২ পূর্বাহ্ন
পাকিস্তানে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া এক খ্রিস্টান নারীর পক্ষে যে আইনজীবী দাঁড়িয়েছিলেন তিনি প্রাণের ভয়ে দেশ ছেড়েছেন। আসিয়া বিবি নামে ওই খ্রিস্টান মহিলার মাথার ওপর ৮ বছর ধরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ঝুলছিল। তবে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়। এই ঘটনায় তীব্র বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে পাকিস্তানে। এরই প্রেক্ষিতে আসিয়া বিবির আইনজীবী সাইফ মুলক পালিয়ে গেলেন। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
সাইফ মুলক বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, আসিয়া বিবির প্রতিনিধিত্ব করা অব্যাহত রাখতেই তিনি দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।
সরকার অবশ্য সহিংস প্রতিবাদকারীদের থামাতে আসিয়া বিবির দেশত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তবে মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত তার মৃত্যু পরোয়ানায় স্বাক্ষর করার শামিল।
২০১০ সালে প্রতিবেশীর সঙ্গে ঝগড়ার এক পর্যায়ে মহানবী (সঃ)-কে অবমাননার অভিযোগ উঠে আসিয়া বিবির বিরুদ্ধে। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট তাকে ওই অভিযোগ থেকে রেহাই দিলে অনেকেই মৃত্যুদণ্ডাদেশ পুনর্বহালের দাবি জানাতে থাকেন।
আইনজীবী সাইফ মুলক এ সপ্তাহের শুরুতে বিবিসিকে বলেছেন, আসিয়া বিবির উচিৎ নিজের নিরাপত্তার জন্যই পশ্চিমা কোনো দেশে আশ্রয় নেওয়া। এর আগেও আসিয়া বিবিকে হত্যার একাধিক চেষ্টা চালানো হয়েছে। বেশ কয়েকটি দেশ তাকে আশ্রয়ের প্রস্তাব দিয়েছে। তবে সরকার তাতে সায় দেয়নি।
সম্প্রতি, বিক্ষোভকারী একটি ইসলামি দলের সঙ্গে চুক্তিতে আসে সরকার। দেশের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী অবশ্য মানতে রাজি নন যে এই চুক্তি করে মৌলবাদীদের প্রতি নতজানু হয়েছে সরকার। তিনি বলছেন, আসিয়া বিবির নিরাপত্তা নিশ্চিতে সকল পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কিন্তু সাইফ মুলক বলছেন, ‘তারা দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দেওয়া একটি আদেশই বাস্তবায়ন করতে পারে না।’
ইউরোপের উদ্দেশ্যে বিমানে উঠার পূর্বে তিনি বার্তা সংস্থা এএফপিকে আরও বলেন, তিনি ভেবেচিন্তে দেখেছেন পাকিস্তানে বসবাস করা আর নিরাপদ নয় তার জন্য। তার ভাষ্য, ‘আসিয়া বিবির পক্ষে আরও আইনি লড়াই চালাতে হবে। ফলে আমার জীবিত থাকতে হবে।’ তিনি পাকিস্তানের এক্সপ্রেস ট্রিবিউন পত্রিকাকে বলেছেন, তিনি তার মক্কেলের পক্ষে এখনও আদালতে দাঁড়াতে চান। কিন্তু নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে সরকারের।
আসিয়া বিবির মৃত্যুদ- পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনকারী দলটির নাম তেহরিক-ই-লাব্বাইক। দলটির সঙ্গে সমঝোতার অংশ হিসেবে সরকার বলেছে, আসিয়ার মৃত্যুদ- বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে যে পিটিশন দায়ের করা হবে, তাতে আপত্তি জানানো হবে না। এছাড়া সকল প্রতিবাদকারীদের মুক্তি দেওয়া হবে।
সাইফ মুলক বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, আসিয়া বিবির প্রতিনিধিত্ব করা অব্যাহত রাখতেই তিনি দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।
সরকার অবশ্য সহিংস প্রতিবাদকারীদের থামাতে আসিয়া বিবির দেশত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তবে মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত তার মৃত্যু পরোয়ানায় স্বাক্ষর করার শামিল।
২০১০ সালে প্রতিবেশীর সঙ্গে ঝগড়ার এক পর্যায়ে মহানবী (সঃ)-কে অবমাননার অভিযোগ উঠে আসিয়া বিবির বিরুদ্ধে। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট তাকে ওই অভিযোগ থেকে রেহাই দিলে অনেকেই মৃত্যুদণ্ডাদেশ পুনর্বহালের দাবি জানাতে থাকেন।
আইনজীবী সাইফ মুলক এ সপ্তাহের শুরুতে বিবিসিকে বলেছেন, আসিয়া বিবির উচিৎ নিজের নিরাপত্তার জন্যই পশ্চিমা কোনো দেশে আশ্রয় নেওয়া। এর আগেও আসিয়া বিবিকে হত্যার একাধিক চেষ্টা চালানো হয়েছে। বেশ কয়েকটি দেশ তাকে আশ্রয়ের প্রস্তাব দিয়েছে। তবে সরকার তাতে সায় দেয়নি।
সম্প্রতি, বিক্ষোভকারী একটি ইসলামি দলের সঙ্গে চুক্তিতে আসে সরকার। দেশের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী অবশ্য মানতে রাজি নন যে এই চুক্তি করে মৌলবাদীদের প্রতি নতজানু হয়েছে সরকার। তিনি বলছেন, আসিয়া বিবির নিরাপত্তা নিশ্চিতে সকল পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কিন্তু সাইফ মুলক বলছেন, ‘তারা দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দেওয়া একটি আদেশই বাস্তবায়ন করতে পারে না।’
ইউরোপের উদ্দেশ্যে বিমানে উঠার পূর্বে তিনি বার্তা সংস্থা এএফপিকে আরও বলেন, তিনি ভেবেচিন্তে দেখেছেন পাকিস্তানে বসবাস করা আর নিরাপদ নয় তার জন্য। তার ভাষ্য, ‘আসিয়া বিবির পক্ষে আরও আইনি লড়াই চালাতে হবে। ফলে আমার জীবিত থাকতে হবে।’ তিনি পাকিস্তানের এক্সপ্রেস ট্রিবিউন পত্রিকাকে বলেছেন, তিনি তার মক্কেলের পক্ষে এখনও আদালতে দাঁড়াতে চান। কিন্তু নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে সরকারের।
আসিয়া বিবির মৃত্যুদ- পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনকারী দলটির নাম তেহরিক-ই-লাব্বাইক। দলটির সঙ্গে সমঝোতার অংশ হিসেবে সরকার বলেছে, আসিয়ার মৃত্যুদ- বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে যে পিটিশন দায়ের করা হবে, তাতে আপত্তি জানানো হবে না। এছাড়া সকল প্রতিবাদকারীদের মুক্তি দেওয়া হবে।