বিশ্বজমিন
ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের ঘোষণা
মানবজমিন ডেস্ক
৪ নভেম্বর ২০১৮, রবিবার, ৯:১২ পূর্বাহ্ন
ইরানের ওপর পূর্বে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো আবারো কার্যকর করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ছয় বিশ্ব শক্তির সঙ্গে ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় তেহরান এসব নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেয়েছিল। কিন্তু আগামী সোমবার থেকে তা পুনর্বহাল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। হোয়াইট হাউসের তরফে বলা হয়েছে, এটা হবে ইরানের ওপর আরোপিত সবচেয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা। ইরান ও এর ব্যবসায়িক অংশীদার উভয় দেশই এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে। তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, আটটি দেশকে ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য করার সুযোগ দেবে যুক্তরাষ্ট্র। এই দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াও রয়েছে।
বিবিসি’র খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের ঘোষণা দেয়া হয়। এর পরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজের ভেরিফাইড টুইটার অ্যাকাউন্টে টুইট করে বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা আসছে’। যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিলেও ইউরোপীয় দেশগুলো ইরানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তারা বলেছে, ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ইরানের সঙ্গে বৈধ ব্যবসা অব্যাহত রাখবে। এক যৌথ বিবৃতিতে বৃটেন, জার্মানি, ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ও ইইউ’র পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান ফ্রেডেরিকা মোঘেরিনি মার্কিন নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের নিন্দা জানান। বিবৃতিতে তারা বলেন, ইইউ আইন ও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নীতি অনুসারে ইরানের সঙ্গে বৈধ বাণিজ্য করে এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সুরক্ষা দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
যুক্তরাষ্ট্র ধাপে ধাপে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করছে। ইরানের জাহাজ নির্মাণ, পণ্য পরিবহন, অর্থ ও জ্বালানি খাতকে টার্গেট করে এবারের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হচ্ছে। এর ফলে ৭ শতাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, জাহাজ ও উড়োজাহাজ মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মনুচিন বলেন, আন্তর্জাতিক লেনদেনের জন্য ব্যবহৃত ব্রাসেলসভিত্তিক সুইফট নেটওয়ার্কও ইরানি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবে। আর সুইফটের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের অর্থ হলো, ইরান আন্তর্জাতিক অর্থ ব্যবস্থা থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। এসব নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ইরানের প্রতি ১২ দফা দাবি পেশ করেন। এর মধ্যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি প্রক্রিয়া বন্ধ ও জঙ্গিদের প্রতি আর্থিক সহয়তা বন্ধের দাবিও রয়েছে।
নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাহরাম কাসেমি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার পূর্ণ সক্ষমতা ইরানের রয়েছে। আর এসব নিষেধাজ্ঞা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র তাদের দাবি পূরণ করবে এমন কোনো সম্ভাবনাই নেই।
ইরানের পাশে থাকবে রাশিয়া
ইরানের ওপর একতরফা মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে বেআইনি আখ্যা দিয়েছে রাশিয়া। দেশটি নিষেধাজ্ঞা মোকাবিলায় তেহরানের পাশে থাকারও ঘোষণা দিয়েছে। শুক্রবার রুশ জ্বালানি মন্ত্রী আলেক্সান্ডার নোভাক এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার বৃটিশ দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের সঙ্গে কথা বলেন রুশ জ্বালানি মন্ত্রী নোভাক। এসময় তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পরেও তার দেশ ইরান থেকে অপরিশোধিত তেল কেনা অব্যাহত রাখবে। নোভাক বলেন, আমি মনে করি, আমাদের এমন ব্যবস্থার দিকে নজর দেয়া দরকার, যাতে আমাদেরকে ইরানের সঙ্গে পারস্পরিক বাণিজ্য অব্যাহত রাখার সুযোগ দেয়া হয়। রাশিয়া ২০১৪ সালে ইরানের সঙ্গে একটি চুক্তি করে। যার আওতায় মস্কো ইরানি তেল ক্রয় করে তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রি করে। তেল বিক্রির অর্থ দিয়ে ইরান রাশিয়া থেকে আমদানিকৃত বিভিন্ন পণ্যের মূল্য পরিশোধ করে। সোমবার মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার পরেও ইরানের সঙ্গে রাশিয়ার এ বাণিজ্য অব্যাহত থাকবে বলে নিশ্চিত করেন রুশ জ্বালানি মন্ত্রী নোভাক। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওই নিষেধাজ্ঞাকে বেআইনি আখ্যা দিয়ে বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই নিষেধাজ্ঞার শর্তের মধ্যে রয়েছি। এ ছাড়া জাতিসংঘ ছাড়া অন্য কোনো দেশের একতরফা নিষেধাজ্ঞা রাশিয়া মেনে নেবে না।
বিবিসি’র খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের ঘোষণা দেয়া হয়। এর পরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজের ভেরিফাইড টুইটার অ্যাকাউন্টে টুইট করে বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা আসছে’। যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিলেও ইউরোপীয় দেশগুলো ইরানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তারা বলেছে, ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ইরানের সঙ্গে বৈধ ব্যবসা অব্যাহত রাখবে। এক যৌথ বিবৃতিতে বৃটেন, জার্মানি, ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ও ইইউ’র পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান ফ্রেডেরিকা মোঘেরিনি মার্কিন নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের নিন্দা জানান। বিবৃতিতে তারা বলেন, ইইউ আইন ও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নীতি অনুসারে ইরানের সঙ্গে বৈধ বাণিজ্য করে এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সুরক্ষা দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
যুক্তরাষ্ট্র ধাপে ধাপে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করছে। ইরানের জাহাজ নির্মাণ, পণ্য পরিবহন, অর্থ ও জ্বালানি খাতকে টার্গেট করে এবারের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হচ্ছে। এর ফলে ৭ শতাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, জাহাজ ও উড়োজাহাজ মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মনুচিন বলেন, আন্তর্জাতিক লেনদেনের জন্য ব্যবহৃত ব্রাসেলসভিত্তিক সুইফট নেটওয়ার্কও ইরানি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবে। আর সুইফটের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের অর্থ হলো, ইরান আন্তর্জাতিক অর্থ ব্যবস্থা থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। এসব নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ইরানের প্রতি ১২ দফা দাবি পেশ করেন। এর মধ্যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি প্রক্রিয়া বন্ধ ও জঙ্গিদের প্রতি আর্থিক সহয়তা বন্ধের দাবিও রয়েছে।
নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাহরাম কাসেমি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার পূর্ণ সক্ষমতা ইরানের রয়েছে। আর এসব নিষেধাজ্ঞা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র তাদের দাবি পূরণ করবে এমন কোনো সম্ভাবনাই নেই।
ইরানের পাশে থাকবে রাশিয়া
ইরানের ওপর একতরফা মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে বেআইনি আখ্যা দিয়েছে রাশিয়া। দেশটি নিষেধাজ্ঞা মোকাবিলায় তেহরানের পাশে থাকারও ঘোষণা দিয়েছে। শুক্রবার রুশ জ্বালানি মন্ত্রী আলেক্সান্ডার নোভাক এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার বৃটিশ দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের সঙ্গে কথা বলেন রুশ জ্বালানি মন্ত্রী নোভাক। এসময় তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পরেও তার দেশ ইরান থেকে অপরিশোধিত তেল কেনা অব্যাহত রাখবে। নোভাক বলেন, আমি মনে করি, আমাদের এমন ব্যবস্থার দিকে নজর দেয়া দরকার, যাতে আমাদেরকে ইরানের সঙ্গে পারস্পরিক বাণিজ্য অব্যাহত রাখার সুযোগ দেয়া হয়। রাশিয়া ২০১৪ সালে ইরানের সঙ্গে একটি চুক্তি করে। যার আওতায় মস্কো ইরানি তেল ক্রয় করে তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রি করে। তেল বিক্রির অর্থ দিয়ে ইরান রাশিয়া থেকে আমদানিকৃত বিভিন্ন পণ্যের মূল্য পরিশোধ করে। সোমবার মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার পরেও ইরানের সঙ্গে রাশিয়ার এ বাণিজ্য অব্যাহত থাকবে বলে নিশ্চিত করেন রুশ জ্বালানি মন্ত্রী নোভাক। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওই নিষেধাজ্ঞাকে বেআইনি আখ্যা দিয়ে বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই নিষেধাজ্ঞার শর্তের মধ্যে রয়েছি। এ ছাড়া জাতিসংঘ ছাড়া অন্য কোনো দেশের একতরফা নিষেধাজ্ঞা রাশিয়া মেনে নেবে না।