ষোলো আনা
জ্যোতিষী পাখির কারিশমা
পিয়াস সরকার
২ নভেম্বর ২০১৮, শুক্রবার, ৯:১১ পূর্বাহ্ন
আপনি কি পরীক্ষার ফল কেমন হবে জানতে চান? ব্যবসায় লাভের মুখ দেখবেন কিনা জানতে চান? জানতে চান কি আপনার বৈবাহিক জীবন কেমন হবে? লেনদেনে কোনো বিপদ হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি?
‘পরীক্ষায় ভালো ফলাফল হবে। প্রেমে সফলতা পাবেন। বিদেশ যাত্রার সম্ভাবনা আছে। অর্থ লেনদেনে সাবধান। টাকা ধার দিয়ে ফেরত নাও পেতে পারেন।’ শিক্ষার্থী আফিয়া তাবাস্সুমের ভাগ্য বলে দিলো একটি জ্যোতিষী পাখি।
ধানমণ্ডি লেকে রবীন্দ্র সরোবরের কাছে পাখি ও ২৪টি খাম নিয়ে বসেছেন আবদুল মতিন। নিচে গামছা বিছানো। খাঁচার উপরে বসে আছে একটি টিয়া পাখি। বেশ আকর্ষণীয় শরীরের রং। এই পাখিটিই বলে দেয় মানুষের ভাগ্য। লোকজন রাস্তা দিয়ে গেলেই আবদুল মতিন বলছেন, ‘ভাগ্য পরীক্ষা করান, মাত্র ১০ টাকা।’
এবার মধ্য বয়সী এক লোকের ভাগ্য পরীক্ষা করছে পাখিটি। কাঠির উপর বসা আছে পাখিটি। খামের উপর দিয়ে নিয়ে যেতেই শেষের দিক থেকে একটি খাম তুললো টিয়া পাখিটি। ‘বৈবাহিক জীবনে সুখ আসবে। আর্থিক উন্নয়ন ঘটবে। ব্যবসায় লাভের মুখ দেখবেন। অফিসে সুনাম পাবেন। বিদেশ যাত্রা ও সন্তানদের ব্যাপারে মনোযোগী হতে হবে।’
কথা হয় জ্যোতিষী পাখিটির মালিক আবদুল মতিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, এখানে আছে ২৪টা কাগজ। পাখি যেকোনো একটি চিঠি বেছে নেয়। পাখি অবলা জীব। পাখি না বুঝে যেটা তোলে সেটাই তার ভাগ্য।
এখানে তো অনেক চিঠি আছে। তবে শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে উঠে আসে লেখাপড়ার কথা। আর মাঝ বয়সী ব্যক্তিটির ক্ষেত্রে চাকরি, ব্যবসা ও সন্তানের কথা। কীভাবে সম্ভব? জবাবে তিনি বলেন, এটাই পাখির কারিশমা।
রাস্তার ঠিক অপর পাশে একটি বাদামের ভ্রাম্যমাণ দোকান। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বাদাম বিক্রেতা ফিরোজ মিয়া জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে দেখছেন আবদুল মতিন ও তার পাখিকে। প্রথমে দেখেন কে, কোন্ বয়সী মানুষ ভাগ্য পরীক্ষা করাতে চায়। তার চিঠি কয়েকভাগে ভাগ করা। শিক্ষার্থীদের জন্য চিঠি রাখা হয় মাঝামাঝি। মধ্যবয়সীদের জন্য শেষের দিকে। মহিলাদের জন্য শুরুর দিকে। এরপর যখন পাখিটিকে কাঠিতে করে উপর দিয়ে নিয়ে যান তখন বয়স বুঝে বাঁকা করেন কাঠিটি। যখন বাঁকা করেন তখন পাখিটি সেখান থেকে তুলে নেয় একটি চিঠি। এটিই হচ্ছে জ্যোতিষী পাখির কারিশমা।
‘পরীক্ষায় ভালো ফলাফল হবে। প্রেমে সফলতা পাবেন। বিদেশ যাত্রার সম্ভাবনা আছে। অর্থ লেনদেনে সাবধান। টাকা ধার দিয়ে ফেরত নাও পেতে পারেন।’ শিক্ষার্থী আফিয়া তাবাস্সুমের ভাগ্য বলে দিলো একটি জ্যোতিষী পাখি।
ধানমণ্ডি লেকে রবীন্দ্র সরোবরের কাছে পাখি ও ২৪টি খাম নিয়ে বসেছেন আবদুল মতিন। নিচে গামছা বিছানো। খাঁচার উপরে বসে আছে একটি টিয়া পাখি। বেশ আকর্ষণীয় শরীরের রং। এই পাখিটিই বলে দেয় মানুষের ভাগ্য। লোকজন রাস্তা দিয়ে গেলেই আবদুল মতিন বলছেন, ‘ভাগ্য পরীক্ষা করান, মাত্র ১০ টাকা।’
এবার মধ্য বয়সী এক লোকের ভাগ্য পরীক্ষা করছে পাখিটি। কাঠির উপর বসা আছে পাখিটি। খামের উপর দিয়ে নিয়ে যেতেই শেষের দিক থেকে একটি খাম তুললো টিয়া পাখিটি। ‘বৈবাহিক জীবনে সুখ আসবে। আর্থিক উন্নয়ন ঘটবে। ব্যবসায় লাভের মুখ দেখবেন। অফিসে সুনাম পাবেন। বিদেশ যাত্রা ও সন্তানদের ব্যাপারে মনোযোগী হতে হবে।’
কথা হয় জ্যোতিষী পাখিটির মালিক আবদুল মতিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, এখানে আছে ২৪টা কাগজ। পাখি যেকোনো একটি চিঠি বেছে নেয়। পাখি অবলা জীব। পাখি না বুঝে যেটা তোলে সেটাই তার ভাগ্য।
এখানে তো অনেক চিঠি আছে। তবে শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে উঠে আসে লেখাপড়ার কথা। আর মাঝ বয়সী ব্যক্তিটির ক্ষেত্রে চাকরি, ব্যবসা ও সন্তানের কথা। কীভাবে সম্ভব? জবাবে তিনি বলেন, এটাই পাখির কারিশমা।
রাস্তার ঠিক অপর পাশে একটি বাদামের ভ্রাম্যমাণ দোকান। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বাদাম বিক্রেতা ফিরোজ মিয়া জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে দেখছেন আবদুল মতিন ও তার পাখিকে। প্রথমে দেখেন কে, কোন্ বয়সী মানুষ ভাগ্য পরীক্ষা করাতে চায়। তার চিঠি কয়েকভাগে ভাগ করা। শিক্ষার্থীদের জন্য চিঠি রাখা হয় মাঝামাঝি। মধ্যবয়সীদের জন্য শেষের দিকে। মহিলাদের জন্য শুরুর দিকে। এরপর যখন পাখিটিকে কাঠিতে করে উপর দিয়ে নিয়ে যান তখন বয়স বুঝে বাঁকা করেন কাঠিটি। যখন বাঁকা করেন তখন পাখিটি সেখান থেকে তুলে নেয় একটি চিঠি। এটিই হচ্ছে জ্যোতিষী পাখির কারিশমা।