বিনোদন
ওয়েব সিরিজে অশ্লীলতা
এন আই বুলবুল
২৪ অক্টোবর ২০১৮, বুধবার, ৮:০২ পূর্বাহ্ন
প্রযুক্তির কল্যাণে গ্রাম-গঞ্জ, শহর-বন্দর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে ইউটিউব। দর্শক এখন নিমেষেই ইউটিউবে নিজের পছন্দের নাটক-চলচ্চিত্রের পাশাপাশি নানা ধরনের অনুষ্ঠান দেখতে পাচ্ছেন। ইউটিউবের জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে টিভি নাটক নির্মাতারা এখন নির্মাণ করছেন ওয়েব সিরিজ। আমাদের দেশে টিভি নাটকের পাশাপাশি ওয়েব সিরিজের জনপ্রিয়তা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। বিশ্বের অনেক বড় বড় তারকা এখন ওয়েব সিরিজে কাজ করছেন। সম্প্রতি ওয়েব সিরিজে নাম লেখালেন বলিউড কিং শাহরুখ খানও। তার অভিনীত এই ওয়েব সিরিজটি নির্মাণ হচ্ছে বিলাল সিদ্দিকীর সর্বাধিক বিক্রীত উপন্যাস ‘বার্ড অব ব্লাড’ অবলম্বনে। ওয়েব সিরিজটি নির্মাণ করছে শাহরুখের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান রেড চিলিস এন্টারটেইনমেন্ট। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের এই ওয়েব সিরিজগুলোতে কৌশলে দর্শকদের দেখানো হচ্ছে অশ্লীল দৃশ্য। কেউ কেউ বেশি ভিউ এবং আলোচনায় আসার জন্য এই পথ অনুসরণ করছে বলে অনেকে মন্তব্য করেন। অনেক অখ্যাত নির্মাতাও ওয়েব সিরিজকে অপব্যবহার করছেন। তারা সিরিজের নামে যৌনতার উচ্ছৃঙ্খল চিত্রায়ণ তুলে আনছেন। অনেকে গল্প আর চরিত্রের চেয়ে যৌনতা, বিছানা দৃশ্য আর অশ্লীলতায় উস্কানি দেয় এমন সব সংলাপকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন। সম্প্রতি লাইভ টেকনোলজির ইউটিউব চ্যানেলে ওয়েব সিরিজ ‘ফোন এক্স’-এর টিজার প্রকাশ হয়েছে। সোমবার প্রকাশ হলো এই ওয়েভ সিরিজের একটি গান। এটি পরিচালনা করেছেন অনন্য মামুন। গানটি প্রকাশের পর থেকে এটিকে অশ্লীল আখ্যা দিয়ে কমেন্ট বক্সে অনেক নেতিবাচক মন্তব্য পড়ছে। তবে ওয়েব সিরিজটি প্রসঙ্গে নির্মাতা অনন্য মামুন বলেন, আমি
এটি আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য নির্মাণ করেছি। এটিতে অশ্লীলতা বলে কিছু নেই। সিরিজটি প্রকাশের পর সবাই যখন দেখবে তখন গল্পটি বুঝতে পারবে। এর আগে ‘আবাসিক হোটেল’সহ বেশ কিছু ওয়েব সিরিজ অশ্লীলতার কারণে সমালোচনার জন্ম দেয়। ভারতে ওয়েব সিরিজের জন্য সেন্সর বোর্ড চাওয়া হয়েছে শুরু থেকেই। সেই দাবি নিয়ে এবার সরব হয়েছে মুম্বই হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ। বিচারপতি ভূষণ ধর্মাধিকারী এবং বিচারপরতি মুরলীধর গিরাতকর ঘোরতর আপত্তি তুলেছেন, ওয়েব সিরিজে ইচ্ছামতো নগ্নতা, যৌনতা ও হিংসা প্রদর্শনের বিষয়ে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি আইনজীবী দিব্যা গোন্টিয়া ওয়েব সিরিজে হিংসা ও যৌনতা প্রদর্শনের বিষয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন। তার বক্তব্য- নেটফ্লিক্স, আমাজন প্রাইম প্রভৃতি প্ল্যাটফর্মে যেসব ওয়েব সিরিজ প্রদর্শন হচ্ছে, তার অনেকগুলোতেই পর্নোগ্রাফিক কনটেন্ট বিদ্যমান। এই প্রসঙ্গে নির্মাতা-অভিনেতা সালাহউদ্দিন লাভলু বলেন, ভারতে যেখানে ওয়েব সিরিজের জন্য সেন্সর চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে তাহলে বুঝতে হবে এটির ভয়াবহতা কোন পর্যায়ে এসেছে। সারা বিশ্বের মতো আমাদের দেশেও ওয়েব সিরিজের দর্শক হলো তরুণ শ্রেণি। এখন যারা ওয়েব সিরিজ নির্মাণ করছেন তাদের অবশ্যই সচেতন থাকা প্রয়োজন যাতে আমাদের সংস্কৃতি কিংবা তরুণদের মূল্যবোধের অবক্ষয় না ঘটে। তাছাড়া আমি মনে করি, এই বিষয়গুলো সাংগঠনিকভাবে নিয়ন্ত্রণ থাকা প্রয়োজন। নির্মাতা-অভিনেতা গাজী রাকায়েত বলেন, আমি মনে করি এই বিষয়ে সরকারেরও পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। দেশের বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেল থেকে এই ধরনের অশ্লীল সিরিজ প্রকাশ হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। সংশ্লিষ্টদের মতে, চলচ্চিত্রের সেন্সর বোর্ডের মতো ওয়েব সিরিজের জন্য সেন্সর বোর্ড থাকার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিচ্ছে। আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে যায় না কিংবা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন কিছু নির্মাণ হলে যেন প্রদক্ষেপ নেয়া যায় তার জন্য সেন্সরের প্রয়োজন।
এটি আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য নির্মাণ করেছি। এটিতে অশ্লীলতা বলে কিছু নেই। সিরিজটি প্রকাশের পর সবাই যখন দেখবে তখন গল্পটি বুঝতে পারবে। এর আগে ‘আবাসিক হোটেল’সহ বেশ কিছু ওয়েব সিরিজ অশ্লীলতার কারণে সমালোচনার জন্ম দেয়। ভারতে ওয়েব সিরিজের জন্য সেন্সর বোর্ড চাওয়া হয়েছে শুরু থেকেই। সেই দাবি নিয়ে এবার সরব হয়েছে মুম্বই হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ। বিচারপতি ভূষণ ধর্মাধিকারী এবং বিচারপরতি মুরলীধর গিরাতকর ঘোরতর আপত্তি তুলেছেন, ওয়েব সিরিজে ইচ্ছামতো নগ্নতা, যৌনতা ও হিংসা প্রদর্শনের বিষয়ে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি আইনজীবী দিব্যা গোন্টিয়া ওয়েব সিরিজে হিংসা ও যৌনতা প্রদর্শনের বিষয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন। তার বক্তব্য- নেটফ্লিক্স, আমাজন প্রাইম প্রভৃতি প্ল্যাটফর্মে যেসব ওয়েব সিরিজ প্রদর্শন হচ্ছে, তার অনেকগুলোতেই পর্নোগ্রাফিক কনটেন্ট বিদ্যমান। এই প্রসঙ্গে নির্মাতা-অভিনেতা সালাহউদ্দিন লাভলু বলেন, ভারতে যেখানে ওয়েব সিরিজের জন্য সেন্সর চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে তাহলে বুঝতে হবে এটির ভয়াবহতা কোন পর্যায়ে এসেছে। সারা বিশ্বের মতো আমাদের দেশেও ওয়েব সিরিজের দর্শক হলো তরুণ শ্রেণি। এখন যারা ওয়েব সিরিজ নির্মাণ করছেন তাদের অবশ্যই সচেতন থাকা প্রয়োজন যাতে আমাদের সংস্কৃতি কিংবা তরুণদের মূল্যবোধের অবক্ষয় না ঘটে। তাছাড়া আমি মনে করি, এই বিষয়গুলো সাংগঠনিকভাবে নিয়ন্ত্রণ থাকা প্রয়োজন। নির্মাতা-অভিনেতা গাজী রাকায়েত বলেন, আমি মনে করি এই বিষয়ে সরকারেরও পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। দেশের বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেল থেকে এই ধরনের অশ্লীল সিরিজ প্রকাশ হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। সংশ্লিষ্টদের মতে, চলচ্চিত্রের সেন্সর বোর্ডের মতো ওয়েব সিরিজের জন্য সেন্সর বোর্ড থাকার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিচ্ছে। আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে যায় না কিংবা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন কিছু নির্মাণ হলে যেন প্রদক্ষেপ নেয়া যায় তার জন্য সেন্সরের প্রয়োজন।