রকমারি
কোরিয়াতে বিয়ের আগে বরকে পেটানো হয়
২৩ অক্টোবর ২০১৮, মঙ্গলবার, ৭:২৯ পূর্বাহ্ন
বিয়ের সময়ে ‘যেন তেন প্রকারেণ’ বরের জুতো লুকোবেনই মেয়ের বাড়ির লোকজন। আর বরকে নিজের জুতো ছাড়িয়ে নিতে একটা মোটা অঙ্কের টাকা দিতে হবে। ব্যস! তবেই তিনি বউকে নিজের বাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন। এ না হয় গেল আমাদের দেশের নিয়ম। কিন্তু বিদেশে? অন্য দেশগুলোতে হরেক নিয়ম আবার বিয়ের। সেগুলোই দেখে নেওয়া যাক একনজরে।
ফ্রান্সে আবার বিয়ের পর নবদম্পতির সামনে একটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতির তৈরি করেন সে দেশের মানুষজন। বিয়ের পরেই নবদম্পতির কাছের মানুষজন সজোরে বাসনপত্র বাজাতে থাকেন। আর সেই বিরক্তিকর শব্দ থামাতে নবদম্পতিকে তাঁদের কাছের মানুষদের জন্য এলাহি খাবার-দাবারের আয়োজন করতে হয়। এই প্রথা আসলে বেশ পুরনো। কিন্তু আজও ফ্রান্সে এই নিয়ম চালু।
মঙ্গোলিয়াতে আবার অদ্ভুত এক নিয়ম। বিয়ের দিন ক্ষণ চূড়ান্ত হওয়ার আগেই মুরগির ছানাকে আর তার লিভারকে পর্যবেক্ষণ করতে হয়। মুরগি ছানার লিভার ভাল পেলেই তবে বিয়ের দিন চূড়ান্ত হবে। আর ভাল লিভার না পেলে ছুরি দিয়ে একে র পর এক মুরগির ছানা কেটেই যাবেন নবদম্পতি।
স্কটল্যান্ডে আবার বিয়ের পরেই নবদম্পতিকে নানান রকমের আবর্জনা দিয়ে স্নান করানো হয়। আর তা করেন যুগলের নিকট আত্মীয় এবং বন্ধুবান্ধবরাই। আর সেই আবর্জনার তালিকায় থাকে পচা খাবার থেকে শুরু করে পচা মাছ, পচা ডিম —প্রায় সব কিছুই ছুড়ে মারা হয় নবদম্পতিকে।
চিনে হবু বউকে বিয়ের আগে কমপক্ষে এক মাস শুধু কেঁদেই যেতে হয়। সে দেশে এ প্রায় বহু পুরনো রীতি। বিয়ের আগের এক মাস কাঁদার জন্য হবু বউ তাঁর পাশে পেয়ে যান পরিবারের অন্য মহিলাদেরও। আর এই কান্নার অর্থ হল, দুঃখের পর ভাল সময় আসছে। অর্থাৎ বিয়ের মতো একটি সুখের জীবন এগিয়ে আসছে।
ফিজি’র রীতি অনুযায়ী, বিয়ের আগে ছেলের বাবা-মা, মেয়ের মা-বাবাকে একটি তিমি মাছের দাঁত উপহার দেন। মেয়ের হাত চেয়ে নেওয়ার আগেই তাঁর পরিবারকে এই উপহার দেওয়ার রীতি ফিজিতে বহুদিনের।
বিয়ের পরে বর বা বউকে চুমু খাওয়ার নিয়ম রয়েছে সুইডেনে। নববধূ যদি রুম ছেড়ে বেরিয়ে যায় তা হলে বিয়েতে নিমন্ত্রিতরা সকলেই বরকে জড়িয়ে ধরে চুম্বন করেন। আর ঠিক এর উল্টোটা হলে সব চুম্বন বধূর কপালেই জোটে।
জার্মানিতে বিয়েতে নবদম্পতিকে সকলে পোর্সেলিনের বাসনপত্র গিফট করেন। আর বিশেষ করে পোর্সেলিনের বাসনপত্রই গিফট করেন, যাতে তা ভাঙলেও বিরাট আওয়াজ হয়। কারণ, সেখানে নিয়মই হচ্ছে বিয়ের পরে বাসনপত্র ভাঙার। আর সেই আওয়াজেই অশুভ আত্মার বিনাশ হয় বলেই ধারনা জার্মানদের।
গ্রিসে আবার বরযাত্রীদেরকেই ক্ষৌরকারের কাজটাও করতে হয়। তাঁদেরকে পুরো দায়িত্ব নিতে হয় যাতে বরকে পুরোদমে পরিষ্কার দেখায়।
গ্রিসে বিয়ের আরও একটা নিয়ম আছে। বর আর বউ নাচবে আর তাঁদের দিকে তখন তাঁদের পরিবার থেকে আত্মীয়রা সকলে টাকা ওড়াবেন।
চেকোস্লোভাকিয়াতে বর এবং বউকে বিয়ের সময়ে একটি শিশুকে সঙ্গে করে হাঁটতে হয়। ভবিষ্যতে ওই দম্পতিও যাতে সন্তানের জন্ম দিতে পারেন সে জন্যই ওই নিয়ম সে দেশে।
মারকিউসাস আইল্যান্ডে বিয়ে শেষ হতে না হতেই মেঝেতে শুয়ে পড়েন ছেলে ও মেয়ের বাড়ির লোকজন। আর তাঁদের উপর দিয়েই হাঁটতে হয় নবদম্পতিকে।
বিয়ের আগে ছেলেকে পুরোদমে তৈরি দরকার! এমনটাই মনে করেন দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষজন। আর তার জন্যই বিয়ের আগে ছেলের বাড়ির লোকজন ছেলের পায়ে মৃত মাছ বা কঞ্চি দিয়ে মারেন।
কেনিয়ায় আদিবাসী সম্প্রদায়ের বিয়েতে মেয়ের মাথায় থুতু ফেলতে হয় তাঁর বাবাকে। তাঁদের মতে, গুড লাক জানাতেই এমন রীতি চালু কেনিয়াতে।
ফ্রান্সে বিয়ের অনুষ্ঠানে যে খাবারটা বেঁচে যায়, সেটাই আবার পরে নবদম্পতিকে খাওয়ানো হয়। তা-ও আবার যে পাত্রে খাবার দেওয়া হয়, সেটি হুবহু কমোডের মতো দেখতে।
সুত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা
ফ্রান্সে আবার বিয়ের পর নবদম্পতির সামনে একটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতির তৈরি করেন সে দেশের মানুষজন। বিয়ের পরেই নবদম্পতির কাছের মানুষজন সজোরে বাসনপত্র বাজাতে থাকেন। আর সেই বিরক্তিকর শব্দ থামাতে নবদম্পতিকে তাঁদের কাছের মানুষদের জন্য এলাহি খাবার-দাবারের আয়োজন করতে হয়। এই প্রথা আসলে বেশ পুরনো। কিন্তু আজও ফ্রান্সে এই নিয়ম চালু।
মঙ্গোলিয়াতে আবার অদ্ভুত এক নিয়ম। বিয়ের দিন ক্ষণ চূড়ান্ত হওয়ার আগেই মুরগির ছানাকে আর তার লিভারকে পর্যবেক্ষণ করতে হয়। মুরগি ছানার লিভার ভাল পেলেই তবে বিয়ের দিন চূড়ান্ত হবে। আর ভাল লিভার না পেলে ছুরি দিয়ে একে র পর এক মুরগির ছানা কেটেই যাবেন নবদম্পতি।
স্কটল্যান্ডে আবার বিয়ের পরেই নবদম্পতিকে নানান রকমের আবর্জনা দিয়ে স্নান করানো হয়। আর তা করেন যুগলের নিকট আত্মীয় এবং বন্ধুবান্ধবরাই। আর সেই আবর্জনার তালিকায় থাকে পচা খাবার থেকে শুরু করে পচা মাছ, পচা ডিম —প্রায় সব কিছুই ছুড়ে মারা হয় নবদম্পতিকে।
চিনে হবু বউকে বিয়ের আগে কমপক্ষে এক মাস শুধু কেঁদেই যেতে হয়। সে দেশে এ প্রায় বহু পুরনো রীতি। বিয়ের আগের এক মাস কাঁদার জন্য হবু বউ তাঁর পাশে পেয়ে যান পরিবারের অন্য মহিলাদেরও। আর এই কান্নার অর্থ হল, দুঃখের পর ভাল সময় আসছে। অর্থাৎ বিয়ের মতো একটি সুখের জীবন এগিয়ে আসছে।
ফিজি’র রীতি অনুযায়ী, বিয়ের আগে ছেলের বাবা-মা, মেয়ের মা-বাবাকে একটি তিমি মাছের দাঁত উপহার দেন। মেয়ের হাত চেয়ে নেওয়ার আগেই তাঁর পরিবারকে এই উপহার দেওয়ার রীতি ফিজিতে বহুদিনের।
বিয়ের পরে বর বা বউকে চুমু খাওয়ার নিয়ম রয়েছে সুইডেনে। নববধূ যদি রুম ছেড়ে বেরিয়ে যায় তা হলে বিয়েতে নিমন্ত্রিতরা সকলেই বরকে জড়িয়ে ধরে চুম্বন করেন। আর ঠিক এর উল্টোটা হলে সব চুম্বন বধূর কপালেই জোটে।
জার্মানিতে বিয়েতে নবদম্পতিকে সকলে পোর্সেলিনের বাসনপত্র গিফট করেন। আর বিশেষ করে পোর্সেলিনের বাসনপত্রই গিফট করেন, যাতে তা ভাঙলেও বিরাট আওয়াজ হয়। কারণ, সেখানে নিয়মই হচ্ছে বিয়ের পরে বাসনপত্র ভাঙার। আর সেই আওয়াজেই অশুভ আত্মার বিনাশ হয় বলেই ধারনা জার্মানদের।
গ্রিসে আবার বরযাত্রীদেরকেই ক্ষৌরকারের কাজটাও করতে হয়। তাঁদেরকে পুরো দায়িত্ব নিতে হয় যাতে বরকে পুরোদমে পরিষ্কার দেখায়।
গ্রিসে বিয়ের আরও একটা নিয়ম আছে। বর আর বউ নাচবে আর তাঁদের দিকে তখন তাঁদের পরিবার থেকে আত্মীয়রা সকলে টাকা ওড়াবেন।
চেকোস্লোভাকিয়াতে বর এবং বউকে বিয়ের সময়ে একটি শিশুকে সঙ্গে করে হাঁটতে হয়। ভবিষ্যতে ওই দম্পতিও যাতে সন্তানের জন্ম দিতে পারেন সে জন্যই ওই নিয়ম সে দেশে।
মারকিউসাস আইল্যান্ডে বিয়ে শেষ হতে না হতেই মেঝেতে শুয়ে পড়েন ছেলে ও মেয়ের বাড়ির লোকজন। আর তাঁদের উপর দিয়েই হাঁটতে হয় নবদম্পতিকে।
বিয়ের আগে ছেলেকে পুরোদমে তৈরি দরকার! এমনটাই মনে করেন দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষজন। আর তার জন্যই বিয়ের আগে ছেলের বাড়ির লোকজন ছেলের পায়ে মৃত মাছ বা কঞ্চি দিয়ে মারেন।
কেনিয়ায় আদিবাসী সম্প্রদায়ের বিয়েতে মেয়ের মাথায় থুতু ফেলতে হয় তাঁর বাবাকে। তাঁদের মতে, গুড লাক জানাতেই এমন রীতি চালু কেনিয়াতে।
ফ্রান্সে বিয়ের অনুষ্ঠানে যে খাবারটা বেঁচে যায়, সেটাই আবার পরে নবদম্পতিকে খাওয়ানো হয়। তা-ও আবার যে পাত্রে খাবার দেওয়া হয়, সেটি হুবহু কমোডের মতো দেখতে।
সুত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা