খেলা
ওয়ানডে অভিষেকে ‘আনলাকি থার্টিন’ রাব্বি
স্পোর্টস রিপোর্টার
২২ অক্টোবর ২০১৮, সোমবার, ৯:০৮ পূর্বাহ্ন
ফজলে রাব্বি মাহমুদ, ৩০ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে একমাত্র চমকের নাম। ঘরোয়া ক্রিকেটে দীর্ঘদিনের এই পরীক্ষিত ক্রিকেটারকে নির্বাচকরা সুযোগ করে দিয়েছেন স্বপ্ন পূরণের। গতকাল দেশের ১২৯তম ওয়ানডে ক্রিকেটার হিসেবে তার মাথায় ক্যাপ পরিয়ে দেন সাবেক অধিনায়ক ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান।
ষষ্ঠ বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ৩০ পেরিয়ে ওয়ানডেতে অভিষিক্ত হয়েছেন ফজলে রাব্বি। তার আগের পাঁচজনের কেউই অভিষেক ম্যাচে দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। আর সে ধারা বজায় রাখলেন ফজলে রাব্বি। গতকাল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে তিন নম্বরে ব্যাট হাতে ‘ডাক’ মারেন ফজলে রাব্বি মাহমুদ। ১৩তম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে অভিষেকে শূন্য রানে আউট হলেন রাব্বি। প্রস্তুতি ম্যাচে বিসিবি একাদশের হয়ে মাত্র ১৩ রান করে আউট হলেও তার ওপর আস্থা হারায়নি দল। জাতীয় দলে তিনি সুযোগ পেয়েছেন শুধু দেশই নয় বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের বিকল্প হিসেবে। ইনজুরির কারণে টাইগারদের এই মহাতারকার ছিটকে পড়াটা দলের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। তাই প্রশ্ন এসেছে ব্যাটে-বলে সেই ক্ষতি পোষাতে পারবেন তো রাব্বি! তবে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা চান তাকে পর্যাপ্ত সুযোগ দিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার। যেমনটা করা হয়েছে লিটন কুমার দাসের ক্ষেত্রে। গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা মাঠে টসে জিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। কিন্তু শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না টাইগারদের। এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথম ও একমাত্র সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে নিজেকে প্রমাণ করেন লিটন। কিন্তু গতকাল দেখা গেল না তার ছিটেফোঁটাও। ৬ষ্ঠ ওভারে ব্যক্তিগত ৪ রানে আউট হন ওপেনার লিটন কুমার দাস। একবার জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন তিনি। ব্যাট হাতে ক্রিজে যান অভিষিক্ত ফজলে রাব্বি। কিন্তু একই ওভারের শেষ বলে টেন্ডাই চাতারার পেসে পরাস্ত রাব্বি উইকেটের পেছনে ব্রেন্ডন টেইলরের গ্লাভসে ক্যাচ দেন। তার বিদায়ে ৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৭/২-এ।
ওয়ানডেতে অভিষেকে শূন্য রানে উইকেট খোয়ানো ১৩তম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান ফজলে রাব্বি। আর বাংলাদেশের যে ১২ জন এর আগে অভিষেকেই ‘ডাক’ মেরেছেন তাদের মধ্যে দলে নিজের জায়গা পাকা করতে পেরেছিলেন শুধু একজন। এই তালিকায় গাজী আশরাফ হোসেন লিপু কিংবা জাহাঙ্গীর শাহ বাদশাদের কথা আলাদা। বাংলাদেশের অভিষেক ওয়ানডে ম্যাচে ০ রানে আউট হন বাদশাহ-লিপু। ১৯৮৬ সালে এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে পেসার ওয়াসিম আকরামের বলে যথাক্রমে তিন ও আট নম্বরে ব্যাট হাতে সরাসরি বোল্ড হয়ে যান লিপু ও বাদশাহ। ততদিনে তারা ক্যারিয়ারের প্রায় শেষ দেখে ফেলেছিলেন। কিন্তু ডলার মাহমুদ, এনামুল হক জুনিয়র, মনিরুজ্জামান, রফিকুল ইসলাম, জাকির হোসেন, জিয়াউর রহমানদের ক্ষেত্রে প্রেক্ষাপট ভিন্ন। অভিষেকে শূন্য রানে আউট হওয়া আগের ১২ ব্যাটসম্যানের মধ্যে জাতীয় দলে জায়গা পাকা করতে পেরেছিলেন শুধু আফতাব আহমেদ। ওয়ানডেতে ৩০ বছর বয়সে অভিষেক ঘটেছে মোট ছয়জনের। এর মধ্যে তিনজনের ঘটনা বাংলাদেশের অভিষেক ম্যাচে। রকিবুল হাসান ও সামিউর রহমানের অভিষেক ঘটেছিল ৩৩-এ। আর বোলিং অলরাউন্ডার জাহাঙ্গীর শাহ বাদশাহ তখন ৩৭ ছুঁই ছুঁই। ওপেনার রকিবুল হাসান করেন ৫ রান। আর আট ও এগারো নম্বরে ব্যাট হাতে শূন্য রানে উইকেট দেন বাদশাহ-সামিউর। ওই ম্যাচে পেসার বাদশাহ ২ উইকেট পান। ১৯৮৮ সালে ৩০ বছর বয়সে অভিষিক্ত হলেও ওয়াহিদুল গনি শুধু বল করতে পেরেছিলেন। ক্যারিয়ারের একমাত্র সেই আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৬ ওভার বল করে উইকেটশূন্য থাকেন লেগস্পিনার ওয়াহিদুল গনি। বাংলাদেশ ওয়ানডে মর্যাদা পাওয়ার পর এর আগে কেবল একজন খেলোয়াড়েরই অভিষেক ঘটেছে ৩০ বছর বয়সে। ১৯৯৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক হয় ব্যাটসম্যান মাহবুবুর রহমান সেলিমের। ক্যারিয়ারের একমাত্র ওডিআই ম্যাচে ৩ রান করেছিলেন সেলিম।
ষষ্ঠ বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ৩০ পেরিয়ে ওয়ানডেতে অভিষিক্ত হয়েছেন ফজলে রাব্বি। তার আগের পাঁচজনের কেউই অভিষেক ম্যাচে দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। আর সে ধারা বজায় রাখলেন ফজলে রাব্বি। গতকাল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে তিন নম্বরে ব্যাট হাতে ‘ডাক’ মারেন ফজলে রাব্বি মাহমুদ। ১৩তম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে অভিষেকে শূন্য রানে আউট হলেন রাব্বি। প্রস্তুতি ম্যাচে বিসিবি একাদশের হয়ে মাত্র ১৩ রান করে আউট হলেও তার ওপর আস্থা হারায়নি দল। জাতীয় দলে তিনি সুযোগ পেয়েছেন শুধু দেশই নয় বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের বিকল্প হিসেবে। ইনজুরির কারণে টাইগারদের এই মহাতারকার ছিটকে পড়াটা দলের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। তাই প্রশ্ন এসেছে ব্যাটে-বলে সেই ক্ষতি পোষাতে পারবেন তো রাব্বি! তবে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা চান তাকে পর্যাপ্ত সুযোগ দিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার। যেমনটা করা হয়েছে লিটন কুমার দাসের ক্ষেত্রে। গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা মাঠে টসে জিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। কিন্তু শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না টাইগারদের। এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথম ও একমাত্র সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে নিজেকে প্রমাণ করেন লিটন। কিন্তু গতকাল দেখা গেল না তার ছিটেফোঁটাও। ৬ষ্ঠ ওভারে ব্যক্তিগত ৪ রানে আউট হন ওপেনার লিটন কুমার দাস। একবার জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন তিনি। ব্যাট হাতে ক্রিজে যান অভিষিক্ত ফজলে রাব্বি। কিন্তু একই ওভারের শেষ বলে টেন্ডাই চাতারার পেসে পরাস্ত রাব্বি উইকেটের পেছনে ব্রেন্ডন টেইলরের গ্লাভসে ক্যাচ দেন। তার বিদায়ে ৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৭/২-এ।
ওয়ানডেতে অভিষেকে শূন্য রানে উইকেট খোয়ানো ১৩তম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান ফজলে রাব্বি। আর বাংলাদেশের যে ১২ জন এর আগে অভিষেকেই ‘ডাক’ মেরেছেন তাদের মধ্যে দলে নিজের জায়গা পাকা করতে পেরেছিলেন শুধু একজন। এই তালিকায় গাজী আশরাফ হোসেন লিপু কিংবা জাহাঙ্গীর শাহ বাদশাদের কথা আলাদা। বাংলাদেশের অভিষেক ওয়ানডে ম্যাচে ০ রানে আউট হন বাদশাহ-লিপু। ১৯৮৬ সালে এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে পেসার ওয়াসিম আকরামের বলে যথাক্রমে তিন ও আট নম্বরে ব্যাট হাতে সরাসরি বোল্ড হয়ে যান লিপু ও বাদশাহ। ততদিনে তারা ক্যারিয়ারের প্রায় শেষ দেখে ফেলেছিলেন। কিন্তু ডলার মাহমুদ, এনামুল হক জুনিয়র, মনিরুজ্জামান, রফিকুল ইসলাম, জাকির হোসেন, জিয়াউর রহমানদের ক্ষেত্রে প্রেক্ষাপট ভিন্ন। অভিষেকে শূন্য রানে আউট হওয়া আগের ১২ ব্যাটসম্যানের মধ্যে জাতীয় দলে জায়গা পাকা করতে পেরেছিলেন শুধু আফতাব আহমেদ। ওয়ানডেতে ৩০ বছর বয়সে অভিষেক ঘটেছে মোট ছয়জনের। এর মধ্যে তিনজনের ঘটনা বাংলাদেশের অভিষেক ম্যাচে। রকিবুল হাসান ও সামিউর রহমানের অভিষেক ঘটেছিল ৩৩-এ। আর বোলিং অলরাউন্ডার জাহাঙ্গীর শাহ বাদশাহ তখন ৩৭ ছুঁই ছুঁই। ওপেনার রকিবুল হাসান করেন ৫ রান। আর আট ও এগারো নম্বরে ব্যাট হাতে শূন্য রানে উইকেট দেন বাদশাহ-সামিউর। ওই ম্যাচে পেসার বাদশাহ ২ উইকেট পান। ১৯৮৮ সালে ৩০ বছর বয়সে অভিষিক্ত হলেও ওয়াহিদুল গনি শুধু বল করতে পেরেছিলেন। ক্যারিয়ারের একমাত্র সেই আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৬ ওভার বল করে উইকেটশূন্য থাকেন লেগস্পিনার ওয়াহিদুল গনি। বাংলাদেশ ওয়ানডে মর্যাদা পাওয়ার পর এর আগে কেবল একজন খেলোয়াড়েরই অভিষেক ঘটেছে ৩০ বছর বয়সে। ১৯৯৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক হয় ব্যাটসম্যান মাহবুবুর রহমান সেলিমের। ক্যারিয়ারের একমাত্র ওডিআই ম্যাচে ৩ রান করেছিলেন সেলিম।