অনলাইন
মাইকিং করে প্রতারণা
স্টাফ রিপোর্টার, যশোর থেকে
২১ অক্টোবর ২০১৮, রবিবার, ৬:৫৪ পূর্বাহ্ন
ভুয়া চিকিৎসক সেজে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের নামে গ্রামের সহজ সরল মানুষকে প্রতারণার দায়ে এক প্রতারক চিকিৎসকসহ তার দুইসহযোগীকে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকার জরিমানা করেছে যশোরের ভ্রাম্যমান আদালত। ঘটনাটি রবিবার যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ঘটে।
স্থানীয় সূত্র ও ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইব্রাহীম জানান, গত কয়েকদিন ধরে যশোর সদর উপজেলার নরেদ্রপুর ও কচুয়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে মাইকিং করে ২০শে অক্টোবর সকাল ৮টা থেকে কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ফ্রি মেডিকেল ও চক্ষু ক্যাম্পের প্রচার করা হয়। ঢাকা মেট্রো চক্ষু হাসপাতালের উদ্যোগে ওই ফ্রি চক্ষু ক্যাম্পে চোখের ছানি পড়া রোগীদের বিনামূল্যে অপারেশন ও বিভিন্ন জটিল রোগেও ফ্রি চিকিৎসা এবং ঔষধপত্র দেওয়ার ঘোষনা শুনে গত শনিবার সকাল থেকে স্থানীয় নরেন্দ্রপুর, কচুয়া, রূপদিয়াসহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের কয়েকশত দরিদ্র মানুষ সেখানে জড়ো হন। ক্যাম্পে আগত রোগীদের ৩০ টাকাার বিনিময়ে রেজিষ্ট্রেশন করানো হয়। এর পর তাদেরকে লম্বা লাইনে দাঁড় করিয়ে বেশ কয়েকবার ফটো সেশন করান আয়োজকরা। পরে রোগীদের নির্দিষ্ট চিকিৎসকের কক্ষে পাঠানো হয়।
সেখানে ডাক্তারী পোষাক আর গলায় টেটিসকোপ নিয়ে পুরো দস্তুর চিকিৎসকের ন্যায় রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও প্রেসক্রিপশন দিতে শুরু করেন চিকিৎসক জিল্লুর রহমান। আর তাকে সহায়তা করতে থাকেন আবু হেনা রিপন ও বাবু নামের ২ জন মেডিকেল এ্যাসিসট্যান্ট।
এছাড়া আরো কয়েকজন স্থানীয় যুবক স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ওই মেডিকেল ক্যাম্প সফল করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে থাকেন। সকাল ১০টার মধ্যে ডাক্তার জিল্লুর রহমান প্রায় ৫০ জন চক্ষু রোগীকে অপারেশনের জন্য মনোনীত করেন। আর বাকী ৬০-৭০ জনকে বিভিন্ন রোগের বিষয়ে প্রেসক্রিপশন করে তাদের কাছে ঔষধ বিক্রি করেন। বিভিন্ন হারবাল ও অখ্যাত কোম্পানীর বেশ কিছু ঔষধ তারা সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু ডাক্তার জিল্লুর রহমানের করা প্রেসক্রিপশন দেখে স্থানীয় কয়েকজন সচেতন মানুষের সন্দেহ হলে তারা সরেজমিনে গিয়ে
দেখেন, মেডিকেল ক্যাম্পে চক্ষু পরীক্ষার কোন আধুনিক মেশিন নেই। নেই কোন মেডিকেল অফিসারের নামমাঙ্কিত সিল মোহর যুক্ত প্যাড বা কোন সিল। এছাড়া যিনি রোগী দেখছেন তিনি বাদে অন্য একজন পাশে বসে ধুমছে প্রেসক্রিপশন লিখছেন। আর একজন প্রত্যেক রোগীর কাছে ২০০/৩০০ টাকার ঔষধ বিক্রি করছেন। কোন কোন রোগীর কাছে ৪০০/৫০০ টাকায় বিক্রি করছেন চোখের চশমা।
এসব দৃশ্যে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা যশোরের সিভিল সার্জন ডাক্তার দিলীপ কুমার রায়কে জানালে তিনি দ্রুত বিষয়টি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট শফিকুল ইসলাম ও কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইন চার্জ অপূর্ব হাসানকে অবহিত করে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান।
ওসি অপূর্ব হাসান সরেজমিনে খোঁজ খবর নিতে গেলে মেডিকেল ক্যাম্পের নামে গ্রামের সহজ সরল মানুষগুলোকে নিয়ে প্রতারনার ফাঁদ পাতার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা খোঁজ নিয়ে জানেন, ডাক্তার সেজে যিনি রোগী দেখছেন ও প্রেসক্রিপশন করছেন সেই জিল্লুর রহমান আসলে কোন চিকিৎসক নন। তিনি এক সময় মেডিসিন কোম্পানীতে সেলস ম্যানের কাজ করতেন।
তার গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার দক্ষিন সাথালিয়া গ্রামের পশু চিকিৎসক সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি বর্তমানে ঢাকা মেট্রো চক্ষু হাসপাতালের একজন ক্যাম্প অর্গানাইজার হিসেবে পার্ট-টাইম জব করেন।
এছাড়াও তার সহযোগী একই গ্রামের রহমানের ছেলে বাবু ও রাজশাগীর বাগমারা থানার সাদীপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আবু হেনা রিপন স্থানীয় একটি বেসরকারী কলেজ থেকে মেডিকেল এ্যাসিসট্যান্ট বিষয়ে পড়াশুনা করেছেন। তারা তিন জন মিলে মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে গ্রামের সহজ সরল মানুষদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ উপার্জনের ফাঁদ পাতে।
বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী ভুয়া ডাক্তার জিল্লুর রহমান ও তার অপর ২ সহযোগী বাবু ও রিপনকে আটকে রেখে গণধোলাই দেয়। পরবর্তীতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘঠনাস্থলে গিয়ে পুলিশের সহায়তায় ওই ভুয়া মেডিকেল টিমকে আটক করে নিজ কার্যালয়ে নিয়ে যান। সেখানে তিনি ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক হিসেবে ভুয়া চিকিৎসক জিল্লুর রহমানকে ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও বাকি ২ সহযোগীকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রট মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ওই প্রতারক চক্র বিগত ৪ বছর ধরে বিভিন্ন স্থানে ভুয়া মেডিকেল ক্যাম্পের নামে সহজ সরল দরিদ্র মানুষ গুলোকে জিম্মি করে হাজার হাজার টাকা উপার্জন করছে। এই রকম একাধিক ভুয়া মেডিকেল ক্যা¤েপর চিকিৎসা গ্রহণকারী অনেক রোগী চিরতরে অন্ধ হয়ে গেছেন।
এ বিষয়ে যশোরের সিভির সার্জন ডাক্তার দিলীফ কুমার রায় বলেন, এভাবে ঘোষনা দিয়ে ভুয়া ডাক্তার সেজে মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে মানুষ ঠকানোর ব্যবসা যশোরাঞ্চলে এর আগে ঘটেনি। কিভাবে তারা প্রকাশ্যে ইউনিয়ন পরিষদে ওই ক্যাম্পের আয়োজনের সুযোগ পেল, কে তাদেরকে এলাকায় নিয়ে আসলো তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আর যারা ওই ক্যাম্পের মাধ্যমে ফ্রি চিকিৎসা সেবা নিতে এসে প্রতারিত হয়েছেন, তাদের ফ্রি চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্র ও ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইব্রাহীম জানান, গত কয়েকদিন ধরে যশোর সদর উপজেলার নরেদ্রপুর ও কচুয়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে মাইকিং করে ২০শে অক্টোবর সকাল ৮টা থেকে কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ফ্রি মেডিকেল ও চক্ষু ক্যাম্পের প্রচার করা হয়। ঢাকা মেট্রো চক্ষু হাসপাতালের উদ্যোগে ওই ফ্রি চক্ষু ক্যাম্পে চোখের ছানি পড়া রোগীদের বিনামূল্যে অপারেশন ও বিভিন্ন জটিল রোগেও ফ্রি চিকিৎসা এবং ঔষধপত্র দেওয়ার ঘোষনা শুনে গত শনিবার সকাল থেকে স্থানীয় নরেন্দ্রপুর, কচুয়া, রূপদিয়াসহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের কয়েকশত দরিদ্র মানুষ সেখানে জড়ো হন। ক্যাম্পে আগত রোগীদের ৩০ টাকাার বিনিময়ে রেজিষ্ট্রেশন করানো হয়। এর পর তাদেরকে লম্বা লাইনে দাঁড় করিয়ে বেশ কয়েকবার ফটো সেশন করান আয়োজকরা। পরে রোগীদের নির্দিষ্ট চিকিৎসকের কক্ষে পাঠানো হয়।
সেখানে ডাক্তারী পোষাক আর গলায় টেটিসকোপ নিয়ে পুরো দস্তুর চিকিৎসকের ন্যায় রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও প্রেসক্রিপশন দিতে শুরু করেন চিকিৎসক জিল্লুর রহমান। আর তাকে সহায়তা করতে থাকেন আবু হেনা রিপন ও বাবু নামের ২ জন মেডিকেল এ্যাসিসট্যান্ট।
এছাড়া আরো কয়েকজন স্থানীয় যুবক স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ওই মেডিকেল ক্যাম্প সফল করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে থাকেন। সকাল ১০টার মধ্যে ডাক্তার জিল্লুর রহমান প্রায় ৫০ জন চক্ষু রোগীকে অপারেশনের জন্য মনোনীত করেন। আর বাকী ৬০-৭০ জনকে বিভিন্ন রোগের বিষয়ে প্রেসক্রিপশন করে তাদের কাছে ঔষধ বিক্রি করেন। বিভিন্ন হারবাল ও অখ্যাত কোম্পানীর বেশ কিছু ঔষধ তারা সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু ডাক্তার জিল্লুর রহমানের করা প্রেসক্রিপশন দেখে স্থানীয় কয়েকজন সচেতন মানুষের সন্দেহ হলে তারা সরেজমিনে গিয়ে
দেখেন, মেডিকেল ক্যাম্পে চক্ষু পরীক্ষার কোন আধুনিক মেশিন নেই। নেই কোন মেডিকেল অফিসারের নামমাঙ্কিত সিল মোহর যুক্ত প্যাড বা কোন সিল। এছাড়া যিনি রোগী দেখছেন তিনি বাদে অন্য একজন পাশে বসে ধুমছে প্রেসক্রিপশন লিখছেন। আর একজন প্রত্যেক রোগীর কাছে ২০০/৩০০ টাকার ঔষধ বিক্রি করছেন। কোন কোন রোগীর কাছে ৪০০/৫০০ টাকায় বিক্রি করছেন চোখের চশমা।
এসব দৃশ্যে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা যশোরের সিভিল সার্জন ডাক্তার দিলীপ কুমার রায়কে জানালে তিনি দ্রুত বিষয়টি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট শফিকুল ইসলাম ও কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইন চার্জ অপূর্ব হাসানকে অবহিত করে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান।
ওসি অপূর্ব হাসান সরেজমিনে খোঁজ খবর নিতে গেলে মেডিকেল ক্যাম্পের নামে গ্রামের সহজ সরল মানুষগুলোকে নিয়ে প্রতারনার ফাঁদ পাতার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা খোঁজ নিয়ে জানেন, ডাক্তার সেজে যিনি রোগী দেখছেন ও প্রেসক্রিপশন করছেন সেই জিল্লুর রহমান আসলে কোন চিকিৎসক নন। তিনি এক সময় মেডিসিন কোম্পানীতে সেলস ম্যানের কাজ করতেন।
তার গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার দক্ষিন সাথালিয়া গ্রামের পশু চিকিৎসক সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি বর্তমানে ঢাকা মেট্রো চক্ষু হাসপাতালের একজন ক্যাম্প অর্গানাইজার হিসেবে পার্ট-টাইম জব করেন।
এছাড়াও তার সহযোগী একই গ্রামের রহমানের ছেলে বাবু ও রাজশাগীর বাগমারা থানার সাদীপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আবু হেনা রিপন স্থানীয় একটি বেসরকারী কলেজ থেকে মেডিকেল এ্যাসিসট্যান্ট বিষয়ে পড়াশুনা করেছেন। তারা তিন জন মিলে মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে গ্রামের সহজ সরল মানুষদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ উপার্জনের ফাঁদ পাতে।
বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী ভুয়া ডাক্তার জিল্লুর রহমান ও তার অপর ২ সহযোগী বাবু ও রিপনকে আটকে রেখে গণধোলাই দেয়। পরবর্তীতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘঠনাস্থলে গিয়ে পুলিশের সহায়তায় ওই ভুয়া মেডিকেল টিমকে আটক করে নিজ কার্যালয়ে নিয়ে যান। সেখানে তিনি ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক হিসেবে ভুয়া চিকিৎসক জিল্লুর রহমানকে ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও বাকি ২ সহযোগীকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রট মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ওই প্রতারক চক্র বিগত ৪ বছর ধরে বিভিন্ন স্থানে ভুয়া মেডিকেল ক্যাম্পের নামে সহজ সরল দরিদ্র মানুষ গুলোকে জিম্মি করে হাজার হাজার টাকা উপার্জন করছে। এই রকম একাধিক ভুয়া মেডিকেল ক্যা¤েপর চিকিৎসা গ্রহণকারী অনেক রোগী চিরতরে অন্ধ হয়ে গেছেন।
এ বিষয়ে যশোরের সিভির সার্জন ডাক্তার দিলীফ কুমার রায় বলেন, এভাবে ঘোষনা দিয়ে ভুয়া ডাক্তার সেজে মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে মানুষ ঠকানোর ব্যবসা যশোরাঞ্চলে এর আগে ঘটেনি। কিভাবে তারা প্রকাশ্যে ইউনিয়ন পরিষদে ওই ক্যাম্পের আয়োজনের সুযোগ পেল, কে তাদেরকে এলাকায় নিয়ে আসলো তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আর যারা ওই ক্যাম্পের মাধ্যমে ফ্রি চিকিৎসা সেবা নিতে এসে প্রতারিত হয়েছেন, তাদের ফ্রি চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।