অনলাইন

পাষণ্ড পিতা!

স্টাফ রিপোর্টার নোয়াখালী থেকে

২১ অক্টোবর ২০১৮, রবিবার, ৫:৫২ পূর্বাহ্ন

শহীদ উল্যা (৩৫) এক মেয়ে ও তিন ছেলের জনক। নোয়াখালীর ছিলোনীয়া বাজারে রয়েছে তার চায়ের দোকান। গত ২মাস থেকে প্রতিদিন রাতে দোকান বন্ধ করে পরিবারের সঙ্গে রাতের খাবার সারে শহীদ। ঘটনাটি স্বাভাবিক মনে হলেও ভয়ংকর অপকর্ম করে আসছে সে। প্রায় রাতে স্ত্রী আমেনা খাতুন ও সপ্তম শ্রেণি পড়–য়া মেয়ে (১৪) এর খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিতো শহীদ। ঘুমের ওষুধে প্রভাব শুরু হলে নিজের মেয়েকে ধর্ষণ করতো বর্বর পিতা শহীদ উল্যা।

কয়েকদিন আগে ঘটনা টের পেয়ে ভিকটিম তার মাকে বিষয়টি জানায়। এর সূত্র ধরে গত কয়েকদিন আগে শহীদ আসার আগে তারা রাতের খাওয়া শেষ করে শুয়ে যেত এবং আমেনা মেয়েকে পাহারা দিতো। একপর্যায়ে গত দু’দিন আগে শহীদ তার মেয়ের রুমে গিয়ে ঘুমের মধ্যে ভিকটিমকে ধর্ষণ করার সময় তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে আমেনা। পরে বিষয়টি কাউকে বললে তাদের মা-মেয়েকে হত্যা করার হুমকি দেয় শহীদ। কিন্তু এরমধ্যে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়ে গেলে স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায় ভিকটিমের। পরবর্তীতে নিরুপায় হয়ে গতকাল শনিবার বিকেলে ভিকটিম বাদী হয়ে সেনবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার সূত্রধরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ ছিলোনীয়া বাজারে অভিযান চালিয়ে শহীদ উল্যাকে গ্রেপ্তার করে। স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, শহীদ উল্যা একজন মাদক সেবি ও জুয়াড়ি। এর আগেও সে মাদক ও জুয়া খেলার অপরাধে একাধিকবার পুলিশের হাতে আটক হয়েছিল। সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে মানবজমিনকে জানান, প্রাথমিকভাবে মেয়েকে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছে গ্রেপ্তারকৃত শহীদ উল্যা।

গ্রেপ্তারকৃত শহীদ উল্যাকে আজ রবিবার দুপুরে কারাগারে প্রেরণ ও ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status