অনলাইন
বিশ্বে শেখ হাসিনার সমতুল্য কেউ নেই: এমপি জগলুল
অনলাইন ডেস্ক
২১ অক্টোবর ২০১৮, রবিবার, ৩:৪৮ পূর্বাহ্ন
যত দিন শেখ হাসিনাকে আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছে, ততদিন এই বাংলার মসনদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি ছাড়া আর কারো বসার সুযোগ নেই। শুধু বাংলা নয়, গোটা বিশ্বে শেখ হাসিনার সমতুল্য কেউ নেই। তাকে প্রধানমন্ত্রী করতে আমি সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে রাজি। গতকাল সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত গণসংবর্ধনা ও সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন, স্থানীয় এমপি জগলুল হায়দার এ কথা বলেন। গণসংবর্ধনায় অনুষ্ঠানে ৫০ হাজারেরও অধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, গত পাঁচ বছর অযথা কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়নি, কাউকে হয়রানি করিনি, কারোর চোখের পানি ঝরায়নি। জনতার উদ্দেশ্যে প্রশ্নছুঁড়ে বলেন, কেউ কি বলতে পারবেন কাউকে হয়রানি করা হয়েছে কি-না? এমপি বলেন, আমাকে যদি শেখ হাসিনা যদি নৌকার মাঝি বানায়, তবে আবারও আপনাদের খেদমতে আসবো। আর যদি অন্য কাউকে মনোনয়ন দেন, তাহলে বিসমিল্লাহ বলে তল্পিতল্পা ঘাড়ে নিয়ে তার পিছু পিছু হাঁটবো। নৌকার পক্ষে ভোট ভিক্ষা করবো।
নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে জগলুল হায়দার বলেন, শ্যামনগর ও কালিগঞ্জে এতো উন্নয়ন হয়েছে যে, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আর হয়নি। শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে দুই উপজেলায় দু’টি স্কুল ও দু’টি কলেজ সরকারিকরণ করা হয়েছে। দু’ুটি সরকারি কারিগরি স্কুল নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। চলতি অর্থ বছরে প্রায় ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে দু’ উপজেলায় দু’টি মিনি স্টেডিয়াম এবং শ্যামনগর উপজেলায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের কাজও শুরু হবে।
এমপি বলেন, নির্বাচনী এলাকার শতশত কিলোমিটার পাকা রাস্তা, ব্রিজ-কালভার্ট, স্কুল-কলেজ, সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে। শ্যামনগর সরকারি কলেজে দু’টি পাঁচ তলা আবাসিক হল নির্মানের কাজ শুরু করা হয়েছে। দু’টি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল কমপ্লেক্সের কাজও দ্রুত শুরু হবে।
তিনি বলেন, শ্যামনগর ও কালিগঞ্জের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া হয়েছে। যাদের বাড়ীতে এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি কিন্তু অস্বচ্ছল ও দরিদ্র তাদেরকে সোলার প্যানেল দেয়া হয়েছে। হাজার হাজার অসুস্থ ও অসহায় মানুষের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে। এমন কোন সেক্টর নেই যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।
জগলুল বলেন, সাধারন মানুষের পাশে থাকতে গ্রামে গ্রামে ঘুরে তাদের খোঁজ নিয়েছি, যথাসাধ্য সাহায্য সহযোগিতা করেছি। রাতদিন ছুঁটে গিয়েছি। ঝড়ের রাতে যখন ৬-৭ নম্বর বিপদ সংকেত সেসময়েও উপকূলীয় এলাকার গ্রামে গ্রামে ঘুরে তাদের সাহস যুগিয়েছি, পাশে থেকেছি।
নৌকা প্রতিকে ভোট প্রার্থনা করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে পুনরায় রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনতে না পারলে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা থেমে যাবে। তিনি প্রধানমন্ত্রী বলেই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শেষ উপজেলায় এতো উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে।
আবেগঘন বক্তৃতায় জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের কবিতার এ ক’টি লাইন উদ্ধৃত করে অভিমানে দূরে থাকা দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে জগলুল হায়দার বলেন, ‘শুন্য এ হৃদয় পাষানি মোর আয়, ফিরে আয়, ফিরে আয়, ফিরে আয়।’ দেশরতœ শেখ হাসিনার মুখের দিকে তাকিয়ে সবাইকে ফিরে আসার আহ্বান জানান।
শনিবারের এই গণসংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান তা জনসমুদ্রে পরিনত হয়। ধলবাড়ীর বিশাল স্কুল মাঠে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। মানুষ তার বক্তব্য শোনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকে। রাত দীর্ঘ ৯টার দিকে তিনি বক্তব্য শুরু করে দীর্ঘ ৪০ মিনিট বক্তব্য দেন। তার ধলবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি বাবু সজল মুখার্জীর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দুই উপজেলার স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, ২০ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারন সম্পাদকসহ অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান শেষে মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, গত পাঁচ বছর অযথা কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়নি, কাউকে হয়রানি করিনি, কারোর চোখের পানি ঝরায়নি। জনতার উদ্দেশ্যে প্রশ্নছুঁড়ে বলেন, কেউ কি বলতে পারবেন কাউকে হয়রানি করা হয়েছে কি-না? এমপি বলেন, আমাকে যদি শেখ হাসিনা যদি নৌকার মাঝি বানায়, তবে আবারও আপনাদের খেদমতে আসবো। আর যদি অন্য কাউকে মনোনয়ন দেন, তাহলে বিসমিল্লাহ বলে তল্পিতল্পা ঘাড়ে নিয়ে তার পিছু পিছু হাঁটবো। নৌকার পক্ষে ভোট ভিক্ষা করবো।
নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে জগলুল হায়দার বলেন, শ্যামনগর ও কালিগঞ্জে এতো উন্নয়ন হয়েছে যে, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আর হয়নি। শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে দুই উপজেলায় দু’টি স্কুল ও দু’টি কলেজ সরকারিকরণ করা হয়েছে। দু’ুটি সরকারি কারিগরি স্কুল নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। চলতি অর্থ বছরে প্রায় ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে দু’ উপজেলায় দু’টি মিনি স্টেডিয়াম এবং শ্যামনগর উপজেলায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের কাজও শুরু হবে।
এমপি বলেন, নির্বাচনী এলাকার শতশত কিলোমিটার পাকা রাস্তা, ব্রিজ-কালভার্ট, স্কুল-কলেজ, সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে। শ্যামনগর সরকারি কলেজে দু’টি পাঁচ তলা আবাসিক হল নির্মানের কাজ শুরু করা হয়েছে। দু’টি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল কমপ্লেক্সের কাজও দ্রুত শুরু হবে।
তিনি বলেন, শ্যামনগর ও কালিগঞ্জের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া হয়েছে। যাদের বাড়ীতে এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি কিন্তু অস্বচ্ছল ও দরিদ্র তাদেরকে সোলার প্যানেল দেয়া হয়েছে। হাজার হাজার অসুস্থ ও অসহায় মানুষের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে। এমন কোন সেক্টর নেই যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।
জগলুল বলেন, সাধারন মানুষের পাশে থাকতে গ্রামে গ্রামে ঘুরে তাদের খোঁজ নিয়েছি, যথাসাধ্য সাহায্য সহযোগিতা করেছি। রাতদিন ছুঁটে গিয়েছি। ঝড়ের রাতে যখন ৬-৭ নম্বর বিপদ সংকেত সেসময়েও উপকূলীয় এলাকার গ্রামে গ্রামে ঘুরে তাদের সাহস যুগিয়েছি, পাশে থেকেছি।
নৌকা প্রতিকে ভোট প্রার্থনা করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে পুনরায় রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনতে না পারলে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা থেমে যাবে। তিনি প্রধানমন্ত্রী বলেই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শেষ উপজেলায় এতো উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে।
আবেগঘন বক্তৃতায় জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের কবিতার এ ক’টি লাইন উদ্ধৃত করে অভিমানে দূরে থাকা দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে জগলুল হায়দার বলেন, ‘শুন্য এ হৃদয় পাষানি মোর আয়, ফিরে আয়, ফিরে আয়, ফিরে আয়।’ দেশরতœ শেখ হাসিনার মুখের দিকে তাকিয়ে সবাইকে ফিরে আসার আহ্বান জানান।
শনিবারের এই গণসংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান তা জনসমুদ্রে পরিনত হয়। ধলবাড়ীর বিশাল স্কুল মাঠে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। মানুষ তার বক্তব্য শোনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকে। রাত দীর্ঘ ৯টার দিকে তিনি বক্তব্য শুরু করে দীর্ঘ ৪০ মিনিট বক্তব্য দেন। তার ধলবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি বাবু সজল মুখার্জীর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দুই উপজেলার স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, ২০ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারন সম্পাদকসহ অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান শেষে মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।