এক্সক্লুসিভ

অমৃতসরে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু ৬১

চালক বুঝতেই পারেননি লাইনে এত মানুষ ছিল

কলকাতা প্রতিনিধি

২১ অক্টোবর ২০১৮, রবিবার, ৮:৪৪ পূর্বাহ্ন

ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের অমৃতসরের কাছে ট্রেনের ধাক্কায় কমপক্ষে ৬১ জনের মৃত্যু হলেও ভারতীয় রেলওয়ে এই দুর্ঘটনার কোনো তদন্ত করছে না। দিচ্ছে না কোনো ক্ষতিপূরণও। ভারতের রেল প্রতিমন্ত্রী মনোজ সিনহা বলেছেন, এটি কোনো  রেল দুর্ঘটনা নয়। তাই ক্ষতিপূরণ দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না। শুক্রবার সন্ধ্যায় দশেরা উপলক্ষে অমৃতসরের চৌরা বাজারের জোড়াফাটকে রাবণ দহন অনুষ্ঠান চলছিল। প্রচুর মানুষ এই অনুষ্ঠান দেখছিল। অনেকেই পাশের রেললাইনের ওপরে দাঁড়িয়ে দেখছিল রাবন বধের অনুষ্ঠান। এই সময়ই একটি লোকাল ট্রেন দ্রুত গতিতে ছুটে যায়। আর ট্রেনের ধাক্কায় বহু মানুষ ছিটকে পড়ে। এদিন পর্যন্ত ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। হাসপাতালে অনেক আহত মানুষ ভর্তি রয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং অবশ্য দুর্ঘটনার ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

রেল প্রতিমন্ত্রী সাফাই দিয়েছেন যে, ট্রেনের চালক নির্ধারিত গতিবেগেই গাড়ি চালিয়েছেন। আর ঘটনাস্থলের আগে বাঁক থাকায় চালক কিছু দেখতে পাননি। ঘাতক জলন্ধর-অমৃতসর ডিএমইউ প্যাসেঞ্জারের ট্রেনের চালককে আটক করে জেরা করা হচ্ছে। চালকের দাবি, তাকে গ্রিন সিগন্যাল ও অল ক্লিয়ার সিগন্যাল দেয়া হয়েছিল। ফলে তিনি বুঝতেই পারেননি, লাইনের ওপর রয়েছেন কয়েক শ’ মানুষ। ভারতীয় রেলওয়ের তরফে এক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, জোড়া ফটকের কাছে ধোবি ঘাটের দশেরা অনুষ্ঠান বিষয়ে অবগত ছিল না রেলওয়ে। রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান অশ্বিনী লোহানি জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাটি ঘটেছে অমৃতসর এবং মানাওয়ালা স্টেশনের মাঝামাঝি জায়গায়। মধ্যবর্তী জায়গায় ট্রেনের যতটা গতি রাখা হয়, সেই গতিতেই ট্রেনটি চলছিল। অশ্বিনী দাবি করেছেন, ঘটনার সময় চালক ব্রেক কষে ট্রেনের গতি অনেকটাই কম করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে ট্রেনের চালক জরুরীকালীন ব্রেক কষলে আরও ভয়াবহ দুর্ঘটনা হতে পারত। প্রত্যক্ষদর্শীরা সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, গত ২০ বছর ধরে জোড়া ফটকের কাছে পরিত্যক্ত ওই জমিতে দশেরার মিলনমেলায় যোগ দিয়ে আসছে স্থানীয়রা। এদিনও ছোটদের হাত ধরে রাবণ দহন দেখতে এসেছিল বহু মানুষ। দুর্ঘটনার কিছু আগেই আরও দুটি ট্রেন সেই লাইন দিয়ে গিয়েছিল।

কিন্তু চালকরা সতর্ক ছিলেন বলেই সবাই লাইন থেকে সরে যাবার সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু ঘাতক ট্রেনের চালক কোনো সতর্কতা অবলম্বন করেননি। অবশ্য যশবন্ত নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী সংবাদসংস্থাকে বলেছেন, রাবণ দাহনের প্রচণ্ড কোলাহল ও বাজির আওয়াজে ট্রেনের হর্নের আওয়াজ শোনা যায়নি। কারোরই কোনো হুঁশও ছিল না। এদিকে রাবণ দহন অনুষ্ঠানের আয়োজকদের পুলিশ খুঁজছেন। এদিকে শনিবার সকালে অমৃতসরের সিভিল হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান নভজ্যোত সিং সিধু। সেখানে তিনি বলেছেন, দুর্ঘটনার পেছনে কারও না কারও গাফলিত ছিল। তবে সেই গাফিলতি ইচ্ছাকৃত নয়। গোটা ঘটনাকে একটি দুর্ঘটনা হিসেবেই দেখা উচিত। তিনি অভিযোগ করেছেন, ঘটনাস্থলে আসার আগে হর্ন দেয়নি ঘাতক ট্রেনটি। অন্যদিকে, কেন রেলের লাইনম্যান ওই জমায়েতের আগাম খবর দিতে পারল না তা রেলওয়ে খতিয়ে দেখছে বলে জানানো হয়েছে। ডিআরএম জানিয়েছেন, ওই ঘটনায় রেলের কোনও ভূমিকা নেই। কোনও অনুমতি নেয়া হয়নি।

ক্ষতিপূরণ দেবে না রেলওয়ে
ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের অমৃতসরের কাছে ট্রেনের ধাক্কায় কমপক্ষে ৬১ জনের মৃত্যু হলেও ভারতীয় রেলওয়ে এই দুর্ঘটনার কোনো তদন্ত করছে না। দিচ্ছে না কোনো ক্ষতিপূরণও। ভারতের রেল প্রতিমন্ত্রী মনোজ সিনহা বলেছেন, এটি কোনো রেলদুর্ঘটনা নয়। তাই ক্ষতিপূরণ দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না। শুক্রবার সন্ধ্যায় দশেরা উপলক্ষে অমৃতসরের চৌরা বাজারের জোড়াফাটকে রাবণ দহন অনুষ্ঠান চলছিল। প্রচুর মানুষ এই অনুষ্ঠান দেখছিল। অনেকেই পাশের রেললাইনের ওপরে দাঁড়িয়ে দেখছিল রাবন বধের অনুষ্ঠান। এই সময়ই একটি লোকাল ট্রেন দ্রুত গতিতে ছুটে যায়। আর ট্রেনের ধাক্কায় বহু মানুষ ছিটকে পড়ে। এদিন পর্যন্ত ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। হাসপাতালে অনেক আহত ব্যক্তি ভর্তি রয়েছেন।

তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং অবশ্য দুর্ঘটনার ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। রেল প্রতিমন্ত্রী সাফাই দিয়েছেন যে, ট্রেনের চালক নির্ধারিত গতিবেগেই গাড়ি চালিয়েছেন। আর ঘটনাস্থলের আগে বাঁক থাকায় চালক কিছু দেখতে পাননি। ঘাতক জলন্ধর-অমৃতসর ডিএমইউ প্যাসেঞ্জারের চালক প্রাথমিকভাবে দাবি করেছেন, গ্রিন সিগন্যাল দেয়া ছিল। তিনি বুঝতেই পারেননি, লাইনের ওপর বসে রয়েছেন কয়েক শ’ মানুষ। ভারতীয় রেলওয়ের তরফে এক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, জোড়া ফটকের কাছে ধোবি ঘাটের দশেরা অনুষ্ঠান বিষয়ে অবগত ছিল না রেলওয়ে। রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান অশ্বিনী লোহানি জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাটি ঘটেছে অমৃতসর এবং মানাওয়ালা স্টেশনের মাঝামাঝি জায়গায়। মধ্যবর্তী জায়গায় ট্রেনের যতটা গতি রাখা হয়, সেই গতিতেই ট্রেনটি চলছিল।

অশ্বিনী দাবি করেছেন, ঘটনার সময় চালক ব্রেক কষে ট্রেনের গতি অনেকটাই কম করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে ট্রেনের চালক জরুরিকালীন ব্রেক কষলে আরও ভয়াবহ দুর্ঘটনা হতে পারত। প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, গত ২০ বছর ধরে জোড়া ফটকের কাছে পরিত্যক্ত ওই জমিতে দশেরার মিলনমেলায় যোগ দিয়ে আসছেন স্থানীয়রা। এদিনও ছোটদের হাত ধরে রাবণ দহন দেখতে এসেছিলেন বহু মানুষ। দুর্ঘটনার কিছু আগেই আরও দুটি ট্রেন সেই লাইন দিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু চালকরা সতর্ক ছিলেন বলেই সবাই লাইন থেকে সরে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু ঘাতক ট্রেনের চালক কোনো সতর্কতা অবলম্বন করেননি। অবশ্য যশবন্ত নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী সংবাদসংস্থাকে বলেছেন, রাবণ দাহনের প্রচণ্ড কোলাহল ও বাজির আওয়াজে ট্রেনের হর্নের আওয়াজ শোনা যায়নি।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status