খেলা

জিম্বাবুয়ে সিরিজেই মাশরাফির চোখ বিশ্বকাপে

স্পোর্টস রিপোর্টার

২১ অক্টোবর ২০১৮, রবিবার, ৮:৪০ পূর্বাহ্ন

আরব আমিরাতে এশিয়া কাপ থেকেই বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ ভাবনা শুরু হয়ে গেছে। ২০১৯ বিশ্বকাপে কেমন হবে দল তা নিয়ে অধিনায়ক মাশরাফি আগেই নিজের সেরা  সৈন্যদের বেছে নিচ্ছেন। কিন্তু এশিয়া কাপে বেশ কয়েকটি ইনজুরির কারণে পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেইভাবে সম্ভব হয়নি টাইগার অধিনায়কের। তবে ঘরের মাঠে সুযোগ এসেছে নিজের সেরা দলটি সাজিয়ে নেয়ার। আজ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে গড়াচ্ছে ওয়ানডে সিরিজ। দলের দুই তারকা সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল না থাকায় মাশরাফির জন্য নতুন ও তরুণদের সুযোগ এসেছে পরীক্ষা করে নেয়ার। তবে খুব বেশি ঝুঁকিও নেয়া যাবে না। কারণ হারলেই প্রভাব পড়বে র‌্যাঙ্কিং পয়েন্টে। তাই অধিনায়কের রয়েছে সতর্ক পরিকল্পনা। গতকাল ম্যাচ পূর্ব অধিনায়ক জানিয়েছেন তার সেই লক্ষ্যের কথা। তার কথপোকথনের মূল অংশ তুলে ধরা হলো-

প্রশ্ন: সাকিব-তামিমবিহীন দলে প্রত্যাশা?
মাশরাফি: অবশ্যই সবাই আত্মবিশ্বাসী। সাকিব তামিম থাকবে না, এটা আগে থেকেই সবাই জানে। সেভাবেই সবাই প্রস্তুতি নিয়েছে, সেরা পারফরমেন্স দেয়ার জন্য যা যা দরকার করেছে। কাল (আজ) খেলা, সবাই যেটা চাচ্ছে, সেটা যেন করতে পারে।

প্রশ্ন: সিরিজের চ্যালেঞ্জটা কী?
মাশরাফি: চ্যালেঞ্জটা প্রতি ম্যাচে যেটা থাকে সেটাই। সবার প্রত্যাশা, আমরা জিতবো এবং জেতার আশাই করছে সবাই। সেটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, অন্য দলের সঙ্গে যেই চ্যালেঞ্জটা নিয়ে খেলেছি, গত এশিয়া কাপে যেভাবে খেলেছি, সেটাই থাকবে। আর ওদের (জিম্বাবুয়ে) প্রায় সব সিনিয়র প্লেয়াররা কাম ব্যাক করেছে। আর ব্জিম্বাবুয়ে দলের বিদেশের মাটিতে সবচেয়ে ভালো রেকর্ড বাংলাদেশেই। সুতরাং আমাদের ১০০ ভাগ দিয়েই খেলতে হবে।

প্রশ্ন: টিম কম্বিনেশনে বিশ্বকাপের ভাবনা থাকবে কিনা?
মাশরাফি: এশিয়া কাপে যেটা হয়েছে, দলের ওপর দিয়ে অনেক অনিশ্চয়তা গিয়েছে। এক এক ম্যাচে এক একজন করে অসুস্থ হচ্ছিল। দুজন তো দল থেকে বের হয়ে গিয়েছিল। এখন আমরা জানি ওই দুজন খেলবে না। রুবেল হাসপাতালে ছিল, এটাও আপনারা জানেন। ইনজুরির দিক থেকে একটা জায়গা নিয়ে চিন্তা আছে। এছাড়া চেষ্টা থাকবে, সেরা দলটাই গড়া। আর যে কোনো সিরিজের প্রথম ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই, কিছু নতুন প্লেয়ারদের দলে নেয়া হয়েছে সামনে বিশ্বকাপকে চিন্তা করে। তাদের দেখে নেয়ার এটাই সুযোগ। সেটাও মাথায় রাখতে হবে। একই সঙ্গে ম্যাচ জেতাটাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্ন: দলে পেসারদের প্রাধান্য কতটা থাকবে?
মাশরাফি: বাংলাদেশ দলকে শেষ তিন চার বছর অবশ্যই কাছ থেকে দেখেছেন। আমরা গত তিন চার বছর ধরে সব সময় তিনজন ফাস্ট বোলারকে ব্যাকআপ করেছি। তা যেকোনো অবস্থায় ও যেকোনো উইকেটে। আমরা পেস বোলিংকে সবসময় প্রাধান্য দিয়েছি। আর আমাদের পেস বোলিং বিভাগ ভালো করছেও। খারাপও করেছে, কিন্তু ভালোর সংখ্যাটা বেশি এবং ম্যাচ উইনিং পারফরমেন্স অনেক আছে। আমরা অবশ্যই ওই জায়গাতেই আছি। আমরা যতদূর সম্ভব, এটা ব্যাকআপ করেই যাব।

প্রশ্ন: বিশ্বকাপ সামনে রেখে পরিকল্পনা কী এই সিরিজ থেকেই শুরু?
মাশরাফি: আল্লাহ যদি সবাইকে বাঁচিয়ে রাখে কিছু প্লেয়ার আছে যাদের নিয়ে চিন্তা করার সুযোগ নেই সেখানে। নাম বললে সাকিব, মুশফিক, তামিম, রিয়াদের ক্ষেত্রে হয়তো আমাদের চিন্তা করার সুযোগ কম। একই সঙ্গে মোস্তাফিজ আছে লিটন আছে এরাও ভালো করছে। তবে একটি কথা আগেও বলেছি ব্যাকআপ প্লেয়ার আমাদের অনেক কম। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পারফর্ম করার মতো বিকল্প ক্রিকেটার। এখন আস্তে আস্তে ঘরোয়া ক্রিকেট শক্তিশালী হচ্ছে বা ক্রিকেটাররাও নিজে থেকে খেলতে চাচ্ছে। এ রকম খেলতে থাকলে সুযোগ তৈরি হবে এবং ব্যাকআপ প্লেয়ার তাড়াতাড়ি চলে আসবে। সেই ক্ষেত্রে আমি মনে করি কিছু পজিশন আছে সেখানে বিশ্বকাপের কথা যদি চিন্তা করি সাইফউদ্দিন ও ফজলে রাব্বি অবশ্যই। কারণ সাকিবের যদি আল্লাহ না করুক তো কাউকে না কাউকে বাঁহাতি স্পিন ও ব্যাটসম্যান আমাদের চিন্তা করতে হতে পারে। অবশ্য এত কম সময়ে সেটাও হচ্ছে না। কিন্তু সুযোগগুলো আমাদের দেখতে হবে, নিতে হবে। সেই সব জায়গা চিন্তা করেই কিন্তু এরা ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে এসেছে। একই সময়ে এটাও ঠিক আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলো হারা যাবে না। সো আমাদের আরো হিসেবি হতে হবে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status