দেশ বিদেশ
ফরহাদ খাঁ দম্পতি হত্যা দুই আসামির সাজা কমে যাবজ্জীবন
স্টাফ রিপোর্টার
১৭ অক্টোবর ২০১৮, বুধবার, ১০:১৯ পূর্বাহ্ন
সাংবাদিক ফরহাদ খাঁ ও তার স্ত্রী হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া দুই আসামির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এএসএম আবদুল মবিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল এ রায় দেন। রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ফরহাদ খাঁর ভাগনে নাজিমুজ্জামান ইয়ন ও তার বন্ধু রাজু আহমেদ। এর আগে গত ৭ই আগস্ট আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শুরু হয়ে ১১ই অক্টোবর। শুনানি শেষে রায়ের জন্য ১৬ই অক্টোবর দিন ধার্য করেছিলেন হাইকোর্টের ওই বেঞ্চ। আদালতে আসামি ইয়ন ও রাজুর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী, আব্দুল মতিন খসরু ও আহছান উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান রুবেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম আজাদ খান।
২০১১ সালের ২৮শে জানুয়ারি নয়া পল্টনের ভাড়া বাসায় খুন হন দৈনিক জনতার তখনকার জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক ফরহাদ খাঁ ও তার স্ত্রী রহিমা খানম। পুলিশ বাসার শয়নকক্ষ থেকে ওই দম্পতির গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে। পরে ওই দিনই তার ছোটভাই আব্দুস সামাদ খাঁ অজ্ঞাতদের আসামি করে পল্টন থানায় হত্যা মামলা করেন। ঘটনাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় পরবর্তীতে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় গোয়েন্দা পুলিশকে। ঘটনার পর আসামি ইয়নকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রাজুকেও গ্রেপ্তার করা হয়। রাজু ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। ২০১২ সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচারিক আদালতে বিচার শুরু হয়। ২০১২ সালের ১০ই অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক এক রায়ে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ফরহাদ খাঁর ভাগনে নাজিমুজ্জামান ইয়ন ও তার বন্ধু রাজু আহমেদকে মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) হাইকোর্টে পাঠানো হয়। আসামিরাও আপিল করেন।
২০১১ সালের ২৮শে জানুয়ারি নয়া পল্টনের ভাড়া বাসায় খুন হন দৈনিক জনতার তখনকার জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক ফরহাদ খাঁ ও তার স্ত্রী রহিমা খানম। পুলিশ বাসার শয়নকক্ষ থেকে ওই দম্পতির গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে। পরে ওই দিনই তার ছোটভাই আব্দুস সামাদ খাঁ অজ্ঞাতদের আসামি করে পল্টন থানায় হত্যা মামলা করেন। ঘটনাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় পরবর্তীতে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় গোয়েন্দা পুলিশকে। ঘটনার পর আসামি ইয়নকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রাজুকেও গ্রেপ্তার করা হয়। রাজু ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। ২০১২ সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচারিক আদালতে বিচার শুরু হয়। ২০১২ সালের ১০ই অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক এক রায়ে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ফরহাদ খাঁর ভাগনে নাজিমুজ্জামান ইয়ন ও তার বন্ধু রাজু আহমেদকে মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) হাইকোর্টে পাঠানো হয়। আসামিরাও আপিল করেন।