খেলা
দৃষ্টিহীনদের অন্য লড়াই
স্পোর্টস রিপোর্টার
১৭ অক্টোবর ২০১৮, বুধবার, ৯:২৫ পূর্বাহ্ন
দৃষ্টিহীনদের নিয়ে প্রতিবছরই টুর্নামেন্টের আয়োজন করে বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন। এসব টুর্নামেন্টে ব্যাপক সাড়াও পড়ে। সারা দেশ থেকে দৃষ্টিহীন দাবাড়ুরা অংশ নেন এই টুর্নামেন্টে। গতকাল শুরু হওয়া ওয়ালটন দৃষ্টিহীন দাবা প্রতিযোগিতায় প্রায় ৬২ জন দাবাড়ু অংশ নিয়েছেন। দৃষ্টিহীনদের দাবা একটু অন্যরকম। চোখে দেখেন না বলে হাতড়ে হাতড়ে চাল দিতে হয় এসব দাবাড়ুদের। এতে সময়ও বেশি লাগে। কারণ, প্রতিপক্ষের দাবাড়ু কি চাল দিয়েছেন, তার পুরোটাই তাকে দেখতে হয় হাতড়ে। প্রতিপক্ষের চালটা ঠিকমতো হয়েছে কিনা, তাও নিজেরাই পরখ করে দেখছেন। এক রাউন্ড খেলতে দৃষ্টিহীনদের সময় লাগে প্রায় দেড় ঘণ্টা। যা সাধারণ দাবাড়ুদের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ।
দৃষ্টিহীন বলে পিছিয়ে নেই এদেশের ছেলে মেয়েরা। গতকাল দাবা ফেডারেশনে গিয়ে তারই প্রমাণ মিলেছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনেক দৃষ্টিহীন অংশ নিচ্ছেন এবারের টুর্নামেন্টে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শাহীন মিয়া। ইসলামী শিক্ষা বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র। থাকেন বিজয় একাত্তর হলে। জন্ম থেকেই অন্ধ শাহীন বলেন, ‘আর দশটা মানুষের মতোই আমি জীবন যাপন করি। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে পড়ছি। হলে থাকছি। সবই করতে পারছি। অন্যদের সঙ্গে আমার পার্থক্য একটাই, আমি চোখে দেখতে পাই না।’ তাই বলে খেলাধুলা করতে পারবো না তাতো হতে পারে না। তাই দাবা খেলা শিখেছি। খুব বেশি দিন হয়নি আমি দাবা খেলছি। অন্য কোথাও খেলি না। কেবলমাত্র দাবা ফেডারেশনে খেলা হলেই আমি খেলতে আসি। আসলে পেশা হিসেবে দাবাকে নিবো নাতো তাই এতটা মনোযোগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে আমি অন্য পেশাকে বেছে নিতে চাই।’ ইডেন কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে লেখাপড়া করছেন মেহেরুননেছা। একেবারে অন্ধ নন মেহেরুননেছা। মোটা লেন্সের চশমা পরে কিছুটা হয়তো দেখতে পান। তবে তা পর্যাপ্ত নয়। দৃষ্টিহীনদের দাবায় খেলতে এলেও একেবারে নতুন তিনি। টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে এই দাবাড়ু বলেন, ‘দু’বছর হয় আমি দাবা শিখেছি। গত বছর এসে কিছুটা খেলেছি। এবার খেলতে এলাম প্রস্তুতি নিয়ে। তবে এখনো শিখছি আমি।’ চোখে না দেখলেও খেলায় মনোযোগ রয়েছে এসব দৃষ্টিহীনদের। মনের চোখেই যে খেলে থাকেন তারা।
দৃষ্টিহীন বলে পিছিয়ে নেই এদেশের ছেলে মেয়েরা। গতকাল দাবা ফেডারেশনে গিয়ে তারই প্রমাণ মিলেছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনেক দৃষ্টিহীন অংশ নিচ্ছেন এবারের টুর্নামেন্টে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শাহীন মিয়া। ইসলামী শিক্ষা বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র। থাকেন বিজয় একাত্তর হলে। জন্ম থেকেই অন্ধ শাহীন বলেন, ‘আর দশটা মানুষের মতোই আমি জীবন যাপন করি। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে পড়ছি। হলে থাকছি। সবই করতে পারছি। অন্যদের সঙ্গে আমার পার্থক্য একটাই, আমি চোখে দেখতে পাই না।’ তাই বলে খেলাধুলা করতে পারবো না তাতো হতে পারে না। তাই দাবা খেলা শিখেছি। খুব বেশি দিন হয়নি আমি দাবা খেলছি। অন্য কোথাও খেলি না। কেবলমাত্র দাবা ফেডারেশনে খেলা হলেই আমি খেলতে আসি। আসলে পেশা হিসেবে দাবাকে নিবো নাতো তাই এতটা মনোযোগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে আমি অন্য পেশাকে বেছে নিতে চাই।’ ইডেন কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে লেখাপড়া করছেন মেহেরুননেছা। একেবারে অন্ধ নন মেহেরুননেছা। মোটা লেন্সের চশমা পরে কিছুটা হয়তো দেখতে পান। তবে তা পর্যাপ্ত নয়। দৃষ্টিহীনদের দাবায় খেলতে এলেও একেবারে নতুন তিনি। টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে এই দাবাড়ু বলেন, ‘দু’বছর হয় আমি দাবা শিখেছি। গত বছর এসে কিছুটা খেলেছি। এবার খেলতে এলাম প্রস্তুতি নিয়ে। তবে এখনো শিখছি আমি।’ চোখে না দেখলেও খেলায় মনোযোগ রয়েছে এসব দৃষ্টিহীনদের। মনের চোখেই যে খেলে থাকেন তারা।