বিনোদন
#মিটু নিয়ে একজোট নারী পরিচালকরা
বিনোদন ডেস্ক
১৫ অক্টোবর ২০১৮, সোমবার, ৫:০৮ পূর্বাহ্ন
#মিটু নিয়ে বলিউড পরিচালক সুভাষ ঘাইয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল আগেই। রবিবার ভারসোভা থানার অফিসার জানিয়েছেন, শনিবার রাতে সুভাষের বিরুদ্ধে হেনস্থার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এক অভিনেত্রী-মডেল। এ খবর প্রকাশ করেছে কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজার। খবরটিতে আরো বলা হয়, সেই অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘গত ৬ই আগস্ট উনি (ঘাই) আমাকে বাড়িতে ডেকেছিলেন। সেখানে পাঁচ-ছ’জন লোক ছিল। তিনি আমাকে তার পিঠ এবং মাথায় ম্যাসাজ করে দিতে বলেন। শুনে চমকে যাই। তবু ৭৩ বছরের এক জনকে শ্রদ্ধা দেখানোর জন্য তিন-পাঁচ মিনিট তার মাথায় ম্যাসাজ করে দিয়েছিলাম। তার পরে ওয়াশরুমে যাচ্ছিলাম হাত ধুতে।’ ওই অভিনেত্রী-মডেলের দাবি, সুভাষ তার পিছু পিছু এসে তাকে অন্য ঘরে নিয়ে যান। বলেন, কিছু কথা আছে। অভিনেত্রী-মডেলের কথায়, ‘এর পরে উনি আমার আরো কাছে চলে আসেন। জোর করে আমায় চুমু খাওয়ার চেষ্টা করেন।’ এর পরে ওই অভিনেত্রী-মডেল সুভাষকে বলেছিলেন, তিনি চলে যেতে চান। ঘাই তাকে ভয় দেখিয়ে বলেন, চলে গেলে আর তাকে ছবিতে কাজ দেওয়া হবে না। অভিনেত্রী-মডেলের মন্তব্য ‘তিনি বলেছিলেন, যা কে দিখা! কোথাও যাবে না তুমি, আমার সঙ্গে সারা রাত থাকবে। না হলে তোমায় সুযোগ দেব না। স্টার হওয়া হবে না তোমার।’ অভিযোগকারিণীর দাবি, ঘটনার চার-পাঁচ মাস আগে ঘাইয়ের সঙ্গে আলাপ। অভিযোগে রয়েছে, ‘বিভিন্ন পার্টিতে তিনি আমায় তার বাড়িতে ডাকতেন। তখনই ছবিতে সুযোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। সব সময়েই ফ্লার্ট করার চেষ্টা করতেন।’ সুভাষের বিরুদ্ধে এর আগেই ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আর এক মহিলা। এক সময়ে তিনি সুভাষের ইউনিটে কাজ করেছেন। বিশদে তিনি লিখেছেন, সুভাষ কী ভাবে তাকে জোর করে চুমু খেয়ে পরের দিন মিটমাটের চেষ্টা করেন। পরে পার্টি থেকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নামে হোটেলে ধর্ষণ করেন। তার লেখাটি টুইটারে শেয়ার করেন মহিমা কুকরেজা। সুভাষ অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার বক্তব্য, ‘পরিচিত কাউকে অসম্মান করা ফ্যাশনে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। অতীতের অসত্য কিছু অভিযোগ তুলে আনা হচ্ছে। এই সব মিথ্যে অভিযোগে পাত্তা দিতে চাই না।’ এ দিন কঙ্কনা সেনশর্মা, নন্দিতা দাস, মেঘনা গুলজার, গৌরী শিন্দে, কিরণ রাও, রীমা কাগতি, জোয়া আখতারের মতো মহিলা পরিচালকরা একজোট হয়ে #মিটু আন্দোলনে তাদের সমর্থন জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তারা বলেছেন, ‘মহিলা এবং পরিচালক হিসেবে আমরা #মিটু আন্দোলনের পাশে আছি। যে সব মহিলা হেনস্থা-নিগ্রহর সত্য বিবরণ নিয়ে এগিয়ে আসছেন, তাদের সঙ্গে আছি। ওদের সাহসের জেরে একটা বহু কাঙিক্ষত বিপ্লব শুরু হয়েছে। তাই আমাদের সম্মান এবং প্রশংসা ওদের প্রাপ্ত। কর্মস্থলে বৈষম্যহীন সুরক্ষার পরিবেশ তৈরির জন্য সচেতনতা গড়ে তুলতে চাই আমরা। তাই প্রমাণিত অপরাধীদের সঙ্গে আমরা কোনো কাজ করব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইন্ডাস্ট্রির বাকিদেরও সেই একই অনুরোধ জানাচ্ছি।’ এ দিনই আবার প্রবীণ সাংবাদিক বিনোদ দুয়ার বিরুদ্ধে ফেসবুকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ জানিয়েছেন পরিচালক নিষ্ঠা জৈন। নিজের ফেসবুক পোস্টে ১৯৮৯ সালের একটি ঘটনার উল্লেখ করেছেন নিষ্ঠা। #মিটু সংক্রান্ত অভিযোগ জানানোর জন্য দিল্লি মহিলা কমিশন আলাদা একটি ই-মেল আইডি তৈরি করেছে, [email protected]। এই সংক্রান্ত সাহায্যের জন্য ১৮১ নম্বরে ফোন করার কথাও বলেছে মহিলা কমিশন।
ডিসিপি পরমজিৎ সিংহ দাহিয়া বলেছেন, ‘তদন্ত শুরু হয়েছে।’
ডিসিপি পরমজিৎ সিংহ দাহিয়া বলেছেন, ‘তদন্ত শুরু হয়েছে।’