এক্সক্লুসিভ
ইন্সটাগ্রাম ব্যবহার করে শিশু বিক্রি!
মানবজমিন ডেস্ক
১৪ অক্টোবর ২০১৮, রবিবার, ৯:১৬ পূর্বাহ্ন
ইন্টারনেটে ছবি শেয়ারিং-এর মাধ্যমে ইন্সটাগ্রাম ব্যবহার করে শিশু বিক্রির কার্যক্রম নস্যাৎ করেছে ইন্দোনেশিয়া কর্তৃপক্ষ। পরিবার কল্যাণ সংস্থার নাম দিয়ে খোলা একটি ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে গর্ভবতী নারী, আলট্রাসাউন্ড স্ক্যান ও শিশুদের ছবি আপলোড করা হয়। অ্যাকাউন্টের সঙ্গে একটি নম্বরও জুড়ে দেয়া হয় যাতে ক্রেতারা হোয়্যাটসঅ্যাপের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। দেশটির সুরাবায়া পুলিশকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
পুলিশ জানিয়েছে, কমপক্ষে একটি লেনদেনের খোঁজ তারা পেয়েছেন। তাই বিক্রি হওয়া শিশুটিকে উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। সুব্রায়া পুলিশের গোয়েন্দা কর্মকর্তা কর্নেল সুদামিরান বলেন, শিশু দত্তক নিতে চান তারা ওই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছেন। লেনদেনও হয়েছে হোয়্যাটসঅ্যাপে।
স্থানীয় বার্তা সংস্থা দেতিক জানিয়েছে, পারিবারিক সমস্যা নিরসনে পরামর্শক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সেজে ওই কাজ করছিল শিশু পাচারকারী চক্র। ৭ শতাধিক অনুসারী সহ ওই ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে শিশুদের ছবিও ছিল। যদিও তাদের ছবি অস্পষ্ট করে দেয়া হয়েছে। শিশুদের বয়স, ধর্ম ও বসবাসের স্থানও সেখানে ছিল।
এ ছাড়া অ্যাকাউন্টের পরিচালক ও খদ্দেরদের মধ্যে কথোপকথনের ছবিও আপলোড করা ছিল। একটি স্ক্রিনশটে দেখা যায়, এক নারী বলছেন তিনি ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। কিন্তু তিনি চান না তার পরিবার বিষয়টি জানুক। আরেকটি পোস্টে একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীর ছবি দিয়ে বলা হয়েছে, তার সন্তান যারা দত্তক নিতে চান তারা এই টেলিফোন নম্বরে যোগাযোগ করুন। তবে কোনো পোস্টেই স্পষ্টভাবে সন্তান কেনাবেচার কথা উল্লেখ ছিল না।
পুলিশ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছে, অর্থ লেনদেনের বিষয়টি ধরে ফেলার পর ৪ ব্যক্তিকে আটক করেছে তারা। পুলিশ বলছে, ২২ বছর বয়সী একজন নারী তার ১১ মাস বয়সী শিশুকে বিক্রির চেষ্টা করছিলেন। বিনিময়ে দেড় কোটি রুপি (৮৩ হাজার টাকা) পাবেন ওই নারী। দালাল পাবেন ৫০ লাখ রুপি ও ইন্সটাগ্রাম পেইজের মালিক অ্যাল্টন ফিনানদিতা পাবেন ২৫ লাখ রুপি।
ইন্দোনেশিয়ার শিশু সুরক্ষা কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রিতা প্রানাওয়াতি বলেন, আগেও ইন্দোনেশিয়ায় শিশু পাচারের ঘটনা ঘটেছে। তবে ইন্সটাগ্রামে এমনটা হওয়া বেশ বিরল। যেসব ক্রেতা এসব শিশু কিনছিলেন তাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার ছিল না। কিন্তু প্রানাওয়াতি বলেন, সরকারি নিয়ম পূরণ না করে কেউ শিশু দত্তক নিলে তা অবৈধ হবে। তিনি আরো বলেন, অতীতে দেখা গেছে অবৈধভাবে শিশু দত্তক নেয়া হয় অপরিণত বয়সে পতিতাবৃত্তিতে খাটানোর জন্য।
পুলিশ জানিয়েছে, কমপক্ষে একটি লেনদেনের খোঁজ তারা পেয়েছেন। তাই বিক্রি হওয়া শিশুটিকে উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। সুব্রায়া পুলিশের গোয়েন্দা কর্মকর্তা কর্নেল সুদামিরান বলেন, শিশু দত্তক নিতে চান তারা ওই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছেন। লেনদেনও হয়েছে হোয়্যাটসঅ্যাপে।
স্থানীয় বার্তা সংস্থা দেতিক জানিয়েছে, পারিবারিক সমস্যা নিরসনে পরামর্শক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সেজে ওই কাজ করছিল শিশু পাচারকারী চক্র। ৭ শতাধিক অনুসারী সহ ওই ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে শিশুদের ছবিও ছিল। যদিও তাদের ছবি অস্পষ্ট করে দেয়া হয়েছে। শিশুদের বয়স, ধর্ম ও বসবাসের স্থানও সেখানে ছিল।
এ ছাড়া অ্যাকাউন্টের পরিচালক ও খদ্দেরদের মধ্যে কথোপকথনের ছবিও আপলোড করা ছিল। একটি স্ক্রিনশটে দেখা যায়, এক নারী বলছেন তিনি ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। কিন্তু তিনি চান না তার পরিবার বিষয়টি জানুক। আরেকটি পোস্টে একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীর ছবি দিয়ে বলা হয়েছে, তার সন্তান যারা দত্তক নিতে চান তারা এই টেলিফোন নম্বরে যোগাযোগ করুন। তবে কোনো পোস্টেই স্পষ্টভাবে সন্তান কেনাবেচার কথা উল্লেখ ছিল না।
পুলিশ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছে, অর্থ লেনদেনের বিষয়টি ধরে ফেলার পর ৪ ব্যক্তিকে আটক করেছে তারা। পুলিশ বলছে, ২২ বছর বয়সী একজন নারী তার ১১ মাস বয়সী শিশুকে বিক্রির চেষ্টা করছিলেন। বিনিময়ে দেড় কোটি রুপি (৮৩ হাজার টাকা) পাবেন ওই নারী। দালাল পাবেন ৫০ লাখ রুপি ও ইন্সটাগ্রাম পেইজের মালিক অ্যাল্টন ফিনানদিতা পাবেন ২৫ লাখ রুপি।
ইন্দোনেশিয়ার শিশু সুরক্ষা কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রিতা প্রানাওয়াতি বলেন, আগেও ইন্দোনেশিয়ায় শিশু পাচারের ঘটনা ঘটেছে। তবে ইন্সটাগ্রামে এমনটা হওয়া বেশ বিরল। যেসব ক্রেতা এসব শিশু কিনছিলেন তাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার ছিল না। কিন্তু প্রানাওয়াতি বলেন, সরকারি নিয়ম পূরণ না করে কেউ শিশু দত্তক নিলে তা অবৈধ হবে। তিনি আরো বলেন, অতীতে দেখা গেছে অবৈধভাবে শিশু দত্তক নেয়া হয় অপরিণত বয়সে পতিতাবৃত্তিতে খাটানোর জন্য।