এক্সক্লুসিভ
ঢাবি’র ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা
ফাঁস হওয়া প্রশ্নের ৭২টি মিলে গেছে মূল প্রশ্নের সঙ্গে
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
১৩ অক্টোবর ২০১৮, শনিবার, ৯:৪৫ পূর্বাহ্ন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিটের অধীনে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষায় আবারো প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে টানা তিনবার ইউনিটটিতে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। এর আগে গতকাল সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত চলে এ ভর্তিযুদ্ধ। পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগ থেকে হোয়াটস অ্যাপ, ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে হাতে লেখা প্রশ্ন সরবারহ করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। পরীক্ষা চলাকালে হাতে লেখা এসব প্রশ্নের নমুনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে এক সহকারী প্রক্টরের হাতে জমাও দিয়েছেন কয়েকজন সাংবাদিক। যেগুলো পরীক্ষায় আসা প্রশ্নের সঙ্গে হুবহু মিলে যায়। জানা গেছে, ফাঁস হওয়া হাতে লেখা প্রশ্নের বাংলায় ১৯টি, ইংরেজিতে ১৭টি, সাধারণ জ্ঞান ৩৬টিসহ (বাংলাদেশ ১৬, আন্তর্জাতিক ২০) মোট ৭২টি প্রশ্ন ‘ঘ’ ইউনিটের অনুষ্ঠিত প্রশ্নপত্রের সঙ্গে হুবহু মিলে যায়।
ভর্তি পরীক্ষা শেষে জানতে চাইলে সহকারী প্রক্টর সোহেল রানা বলেন, ‘পরীক্ষার আগে প্রশ্নগুলো বের হলে সেটি ফাঁস হওয়া বলা যেতে পারে। কিন্তু পরীক্ষা চলাকালে বের হলে সেটাকে প্রশ্ন ফাঁস বলা যাবে না। আমার মনে হয় কেউ পরীক্ষার হল থেকে ছবি তুলে এসব প্রশ্ন বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছে। এ চক্রকে আমরা ধরার চেষ্টা করছি। আর ‘ঘ’ ইউনিটে ক্যাম্পাসের বাইরে কেন্দ্র বেশি হওয়ার কারণে এটি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।’ এদিকে ভর্তি পরীক্ষা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘ভর্তি কর্তৃপক্ষের কাছে পরীক্ষা চলাকালে কেউ প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ করেনি। তবে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।’ এছাড়াও ভর্তি পরীক্ষা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে দাবি করা হয়। এ বছর ঘ-ইউনিটে ১ হাজার ৬১৫টি (বিজ্ঞানে- ১ হাজার ১৫২টি, বিজনেস স্টাডিজে- ৪১০, মানবিকে- ৫৩টি) আসনের বিপরীতে ৯৫ হাজার ৩৪১জন ভর্তিচ্ছু ছাত্র-ছাত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাইরের ৮১টি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।
ভর্তি পরীক্ষা শেষে জানতে চাইলে সহকারী প্রক্টর সোহেল রানা বলেন, ‘পরীক্ষার আগে প্রশ্নগুলো বের হলে সেটি ফাঁস হওয়া বলা যেতে পারে। কিন্তু পরীক্ষা চলাকালে বের হলে সেটাকে প্রশ্ন ফাঁস বলা যাবে না। আমার মনে হয় কেউ পরীক্ষার হল থেকে ছবি তুলে এসব প্রশ্ন বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছে। এ চক্রকে আমরা ধরার চেষ্টা করছি। আর ‘ঘ’ ইউনিটে ক্যাম্পাসের বাইরে কেন্দ্র বেশি হওয়ার কারণে এটি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।’ এদিকে ভর্তি পরীক্ষা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘ভর্তি কর্তৃপক্ষের কাছে পরীক্ষা চলাকালে কেউ প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ করেনি। তবে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।’ এছাড়াও ভর্তি পরীক্ষা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে দাবি করা হয়। এ বছর ঘ-ইউনিটে ১ হাজার ৬১৫টি (বিজ্ঞানে- ১ হাজার ১৫২টি, বিজনেস স্টাডিজে- ৪১০, মানবিকে- ৫৩টি) আসনের বিপরীতে ৯৫ হাজার ৩৪১জন ভর্তিচ্ছু ছাত্র-ছাত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাইরের ৮১টি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।