অনলাইন

শিক্ষকের প্রেমের ফাঁদে দুই শিক্ষিকা। অতঃপর ...

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

১২ অক্টোবর ২০১৮, শুক্রবার, ৬:৪৯ পূর্বাহ্ন

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে কোচিং শিক্ষক রাজিবের প্রেমের ফাঁদে পড়ে বিপাকে পড়েছে দুই শিক্ষিকা। শেষমেশ শিক্ষিকা দুজনই বিয়ে করেছেন রাজিবকে। এমনি একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে উপজেলার পাইকরা ইউনিয়নের হাওড়াপাড়া গ্রামে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার  হাওড়া পাড়া এলাকায় 'এক্টিভ' নামে একটি কোচিং সেন্টার পরিচালনা করে আসছিলেন রাজিব। ওই কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করতেন স্থানীয় গোপালপুর গ্রামের আব্দুল্লাহর মেয়ে রিমু আক্তার (২২) ও  পৌজান গ্রামের আলতাফ হোসেনের মেয়ে মরিয়ম আক্তার (২২) নামে দুই শিক্ষিকা। ওই শিক্ষিকাদ্বয়কে কৌশলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন রাজিব। সম্প্রতি মরিয়ম আক্তারের সঙ্গে অনৈতিক কাজে লিপ্ত বস্থায় স্থানীয়রা হাতে নাতে ধরে ফেলে। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও এলাকাবাসীর মধ্যস্থতায় ৭ লাখ টাকা দেনমোহরে রাজিব ও মরিয়মের বিয়ে হয়।

বিয়ের পরদিন রাজিব আরেক শিক্ষিকা রিমু আক্তারকে নিয়ে ঢাকায় পাড়ি জমায়। সেখানে তারা নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ৮ লাখ টাকা দেনমোহরে বিবাহ করে। ৫ দিন পর দ্বিতীয় স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরে রাজিব।
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এবং উৎসুক জনতা প্রতিদিন বাড়িতে ভীড় জমাতে থাকে। কোন উপায় না দেখে রাজিব বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।

রিমু আক্তার জানান, দীর্ঘ ৫ বছর যাবৎ আমার সঙ্গে রাজিবের প্রেমের সম্পর্ক। আমি দুই শিফটে কোচিংয়ে শিক্ষকতা করে বেতনের অর্ধেকাংশ আমি নিতাম এবং বাকিটা রাজিবকে সংসারের আসবাবপত্র বানানোর জন্য দিতাম। দীর্ঘদিন বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসলেও সে আমাকে বিয়ে করেনি। কিন্তু যখন পারিবারিকভাবে জোরপূর্বক মরিয়মের সঙ্গে তার বিয়ে দেয়া হয়, তার পরের দিনই সকালে সে আমাকে ডেকে ঢাকায় নিয়ে বিয়ে করে।
রিমু আরও জানান, রাজিবের পরিবার কোনভাবেই আমাকে মেনে নিতে পারছে না। আমি রাজিবের এক প্রতিবেশীর বাড়িতে মানবেতর জীবন-যাপন করছি।

রাজিবের প্রথম স্ত্রী মরিয়ম আক্তার বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ কোচিংয়ে শিক্ষকতা করার সুবাদে রাজিবের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক এক পর্যায়ে শারীরিক সম্পর্কে রূপ নেয়। সে আমাকে বিবাহ না করার জন্য তালবাহানা করলে তখন আমি বিয়ের দাবিতে রাজিবের বাড়িতে গিয়ে উঠি। পরে সামাজিকভাবে এলাকাবাসী ও রাজিবের পরিবারের লোকজন আমাদেরকে বিবাহ দেয়।
এ বিষয়ে শিক্ষক রাজিবের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আজাদ হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা বেশ কয়েকবার মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। এক সপ্তাহের মধ্যে রাজিব ও তার প্রেমিকার দুই পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে এ সমস্যার সমাধান করবে বলে তিনি জানান।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status