দেশ বিদেশ
নির্বাচনী মেনিফেস্টোতে নদী-পানির অধিকারের দাবি লিপিবদ্ধ করুন-আইএফসি
স্টাফ রিপোর্টার
১২ অক্টোবর ২০১৮, শুক্রবার, ১০:২০ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক নেতারা তাদের নিজ নিজ ও দলগত অবস্থান নিয়ে কথা বলছেন। সেই অবস্থান থেকে নির্বাচনী মেনিফেস্টোতে নদী-পানির অধিকারের দাবি লিপিবদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি (আইএফসি)।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রায় ১৭ কোটি মানুষের আবাসস্থল এই বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বদ্বীপ। তার ভূ-প্রাকৃতিক ভারসাম্য ৫৪টি অভিন্ন নদীর স্বাভাবিক প্রবাহের উপর নির্ভর করে। কিন্তু যেখানে খোদ ভারতের ভেতরে অভিন্ন নদীর উজান এবং ভাটির রাজ্যগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক এবং আইনি লড়াই চলছে, সেখানে বাংলাদেশের বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল এ ব্যাপারে নিশ্চুপ। বৃহৎ প্রতিবেশী ভুল বুঝবে কিনা এই শঙ্কা তাদের মনে কাজ করে।
আমাদের বৃহৎ প্রতিবেশী ভারতের নেতারা ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে চীনের সঙ্গে বোঝাপড়ার জন্য ভাটির দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সহযোগিতা পেতে আগ্রহী। কিন্তু বাংলাদেশের উজানে ভারতে অভিন্ন নদীগুলোর পানি ব্যবস্থাপনার সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের জীবন মরণের প্রশ্ন জড়িত তা বুঝতে পারছেন না। উজানে শতশত বাঁধ নির্মাণের ফলে গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তাসহ বিভিন্ন নদ-নদী ও তাদের শাখা নদীর বাংলাদেশ অংশ শুষ্ক মৌসুমে মরে যাচ্ছে, আর বর্ষাকালে সৃষ্টি করছে ভয়াবহ বন্যা।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো তাদের অবস্থানপত্র বা নির্বাচনী মেনিফেস্টোতে বেসিন-ভিত্তিক সুষম নদী ব্যবস্থাপনার কথা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে লিপিবদ্ধ করে বাংলাদেশের পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষায় তাদের অঙ্গীকার জনগণের কাছে আরো শক্তিশালী করতে পারে। নদীর সুষম ও বেসিন ভিত্তিক ব্যবস্থাপনার কথা রাজনৈতিক বক্তব্যে না থাকলে যেকোনো দল জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হবে।
কাজেই, পরিবেশবাদী এবং আন্তর্জাতিক পানি-অধিকার পর্যবেক্ষণ গ্রুপ, আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির (আইএফসি) দাবি- বাংলাদেশের সকল দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠী তাদের অবস্থানপত্র বা মেনিফেস্টোতে নদী-পানির অধিকারকে বাংলাদেশের মানুষের জীবন-মরণের মূল সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করুন।
বিবৃতিতে সম্মতি ও স্বাক্ষর প্রদান করেছেন- আইএফসি নিউইয়র্ক চেয়ারম্যান, আতিকুর রহমান সালু, সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান সৈয়দ আওলাদ হোসেন, মহাসচিব সৈয়দ টিপু সুলতান; আইএফসি বাংলাদেশ সভাপতি, অধ্যাপক জসিম উদ্দিন আহমাদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি, ড. এস আই খান, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ইরফানুল বারী ও আইএফসি সমন্বয়ক, মোস্তফা কামাল মজুমদার।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রায় ১৭ কোটি মানুষের আবাসস্থল এই বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বদ্বীপ। তার ভূ-প্রাকৃতিক ভারসাম্য ৫৪টি অভিন্ন নদীর স্বাভাবিক প্রবাহের উপর নির্ভর করে। কিন্তু যেখানে খোদ ভারতের ভেতরে অভিন্ন নদীর উজান এবং ভাটির রাজ্যগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক এবং আইনি লড়াই চলছে, সেখানে বাংলাদেশের বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল এ ব্যাপারে নিশ্চুপ। বৃহৎ প্রতিবেশী ভুল বুঝবে কিনা এই শঙ্কা তাদের মনে কাজ করে।
আমাদের বৃহৎ প্রতিবেশী ভারতের নেতারা ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে চীনের সঙ্গে বোঝাপড়ার জন্য ভাটির দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সহযোগিতা পেতে আগ্রহী। কিন্তু বাংলাদেশের উজানে ভারতে অভিন্ন নদীগুলোর পানি ব্যবস্থাপনার সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের জীবন মরণের প্রশ্ন জড়িত তা বুঝতে পারছেন না। উজানে শতশত বাঁধ নির্মাণের ফলে গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তাসহ বিভিন্ন নদ-নদী ও তাদের শাখা নদীর বাংলাদেশ অংশ শুষ্ক মৌসুমে মরে যাচ্ছে, আর বর্ষাকালে সৃষ্টি করছে ভয়াবহ বন্যা।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো তাদের অবস্থানপত্র বা নির্বাচনী মেনিফেস্টোতে বেসিন-ভিত্তিক সুষম নদী ব্যবস্থাপনার কথা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে লিপিবদ্ধ করে বাংলাদেশের পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষায় তাদের অঙ্গীকার জনগণের কাছে আরো শক্তিশালী করতে পারে। নদীর সুষম ও বেসিন ভিত্তিক ব্যবস্থাপনার কথা রাজনৈতিক বক্তব্যে না থাকলে যেকোনো দল জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হবে।
কাজেই, পরিবেশবাদী এবং আন্তর্জাতিক পানি-অধিকার পর্যবেক্ষণ গ্রুপ, আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির (আইএফসি) দাবি- বাংলাদেশের সকল দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠী তাদের অবস্থানপত্র বা মেনিফেস্টোতে নদী-পানির অধিকারকে বাংলাদেশের মানুষের জীবন-মরণের মূল সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করুন।
বিবৃতিতে সম্মতি ও স্বাক্ষর প্রদান করেছেন- আইএফসি নিউইয়র্ক চেয়ারম্যান, আতিকুর রহমান সালু, সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান সৈয়দ আওলাদ হোসেন, মহাসচিব সৈয়দ টিপু সুলতান; আইএফসি বাংলাদেশ সভাপতি, অধ্যাপক জসিম উদ্দিন আহমাদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি, ড. এস আই খান, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ইরফানুল বারী ও আইএফসি সমন্বয়ক, মোস্তফা কামাল মজুমদার।