শেষের পাতা
কোটার দাবিতে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শাহবাগে অবরোধ
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
১২ অক্টোবর ২০১৮, শুক্রবার, ১০:০৪ পূর্বাহ্ন
সরকারি চাকরিতে পাঁচ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা বহাল রেখে প্রজ্ঞাপন প্রকাশসহ ১১ দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে মহাসমাবেশ শেষে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদ। গতকাল সকাল ১১টায় সেখানে অবস্থান নিয়ে মহাসমাবেশ করে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা। সমাবেশ শেষে তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। রাত পৌনে ৮টার দিকে পরিষদের আহ্বায়ক আলী হোসেন মানবজমিনকে বলেন, দাবি আদায় না হওয়ায় তারা শাহবাগ মোড়ে অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা সেখানে রাতে থাকবেন।
এ সময় তিনি দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি বলেন, আমরা আশা করছিলাম সরকার আমাদের দাবি মেনে নেবে। কিন্তু গত কয়েকদিনেও সরকার আমাদের দাবি মেনে নেয়নি। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এখন আন্দোলন ছাড়া আর কোনো বিকল্প দেখছি না। এর আগে মহাসমাবেশ শেষে আলী হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রতিবন্ধীদের কোটা তাদের সাংবিধানিক ও মানবিক অধিকার। এই অধিকার থেকে তাদের বঞ্চিত করা হবে অসাংবিধানিক ও অমানবিক। আমরা আশা করি, রাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করবে না।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রতি মানবিক দৃষ্টিতে তাকাবেন।’ এদিকে শাহবাগে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। বরাবরের মতো আজো ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।’ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ১১ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- ‘বিনাশর্তে’ পাঁচ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করে প্রজ্ঞাপন জারি, বিসিএস প্রিলিমিনারি থেকে কোটা কার্যকর, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির সরকারি চাকরিতে পাঁচ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা রাখা, সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে প্রতিবন্ধীদের মধ্যে থেকে অন্তত একজন প্রতিনিধি রাখা, প্রতিবন্ধী বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা এবং সেই মন্ত্রণালয়ে প্রতিবন্ধীদের মধ্যে থেকে মন্ত্রী নিয়োগ করা, সরকারি চাকরির পরীক্ষায় প্রতিবন্ধীদের জন্য ১০মিনিট সময় বেশি দেয়া, প্রতিবন্ধীদের জন্য চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা শিথিল করা এবং জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা।
এ সময় তিনি দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি বলেন, আমরা আশা করছিলাম সরকার আমাদের দাবি মেনে নেবে। কিন্তু গত কয়েকদিনেও সরকার আমাদের দাবি মেনে নেয়নি। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এখন আন্দোলন ছাড়া আর কোনো বিকল্প দেখছি না। এর আগে মহাসমাবেশ শেষে আলী হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রতিবন্ধীদের কোটা তাদের সাংবিধানিক ও মানবিক অধিকার। এই অধিকার থেকে তাদের বঞ্চিত করা হবে অসাংবিধানিক ও অমানবিক। আমরা আশা করি, রাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করবে না।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রতি মানবিক দৃষ্টিতে তাকাবেন।’ এদিকে শাহবাগে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। বরাবরের মতো আজো ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।’ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ১১ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- ‘বিনাশর্তে’ পাঁচ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করে প্রজ্ঞাপন জারি, বিসিএস প্রিলিমিনারি থেকে কোটা কার্যকর, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির সরকারি চাকরিতে পাঁচ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা রাখা, সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে প্রতিবন্ধীদের মধ্যে থেকে অন্তত একজন প্রতিনিধি রাখা, প্রতিবন্ধী বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা এবং সেই মন্ত্রণালয়ে প্রতিবন্ধীদের মধ্যে থেকে মন্ত্রী নিয়োগ করা, সরকারি চাকরির পরীক্ষায় প্রতিবন্ধীদের জন্য ১০মিনিট সময় বেশি দেয়া, প্রতিবন্ধীদের জন্য চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা শিথিল করা এবং জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা।