শেষের পাতা
নি র্বা চ নী হা ল চা ল (হবিগঞ্জ ৪)
ফ্যাক্টর চা শ্রমিক
রাশেদ আহমদ খান, হবিগঞ্জ থেকে
১২ অক্টোবর ২০১৮, শুক্রবার, ১০:০২ পূর্বাহ্ন
হবিগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী মাঠে সক্রিয়। তারা নিয়মিত চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচার-প্রচারণা। একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশীর কারণে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে দলীয় কোন্দল। অন্যদিকে এ আসনে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়সল। তবে আগামী নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কিনা এ নিয়ে এখনো সংশয়ে রয়েছেন নেতাকর্মীরা। তাই এককভাবে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের হাফ ডজনেরও অধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী।
চা বাগান ও বনাঞ্চল বেষ্টিত চুনারুঘাট ও মাধবপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত হবিগঞ্জ-৪ আসন। চুনারুঘাট উপজেলায় রয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ বনাঞ্চল রেমা কালেঙ্গাসহ সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান। রয়েছে বাল্লা স্থলবন্দরসহ বেশকটি চা বাগান। আর মাধবপুর উপজেলায় আছে একাধিক গ্যাসক্ষেত্র, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রসহ চা ও রাবার বাগান। এছাড়া মাধবপুরে গড়ে উঠেছে দেশের অন্যতম শিল্পাঞ্চল। এ কারণে দেশের জাতীয় অর্থনৈতিক দিক বিবেচনায় এ আসটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
স্বাধীনতা-পরবর্তী ১০টি নির্বাচনে এ আসনটিতে ৭ বার বিজয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগ। একবার জাতীয় পার্টি, ১ বার স্বতন্ত্র ও ৯৬ এর ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে বিজয়ী হয় বিএনপি। তবে ’৯১ সালের পর থেকে টানা সবকটি নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগ। চা শ্রমিকদের বড় ভোটব্যাংক থাকার কারণে এ আসনে প্রতিটি নির্বাচনে সহজে জয় পেয়ে চলছে আওয়ামী লীগ। আর জয়ের এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আগামী নির্বাচনেও কাজ করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী। তবে নানা কারণে বর্তমান সংসদ সদস্যের ওপর নাখোশ তৃণমূল আওয়ামী লীগের একটি বড় অংশ। যার কারণে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগে কোন্দল মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। দলীয় সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে একাট্টা হয়ে মাঠে নেমেছেন আওয়ামী লীগের অন্য সকল মনোনয়নপ্রত্যাশী। বর্তমান সংসদ সদস্যকে বাদ দিয়ে অন্য যে কাউকে মনোনয়ন দিতে সভা-সমাবেশ করে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানিয়েছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীদের বড় একটি অংশ। আর দলীয় গ্রুপিং সমাধানকল্পে সংসদ সদস্য মাহবুব আলীও বিশেষ কোনো পদক্ষেপ নেননি। তিনি নিজের মতো করে তার সঙ্গে থাকা নেতা-কর্মীদের নিয়ে উন্নয়ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগে এ পর্যন্ত অন্তত ১০ নেতা মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে মাঠে রয়েছেন। মনোনয়ন চাইবেন বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী। এছাড়া আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে নির্বাচনী মাঠে আলোচনায় রয়েছেন মাধবপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শাহ মুসলিম। প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মাধবপুরে আলোচনায় রয়েছেন শাহ মুসলিম। তিনি স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। সাবেক মেয়র ও চেয়ারম্যান হিসেবে স্থানীয় ভোটারদের কাছেও যথেষ্ট গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে প্রবীণ এ নেতার। অন্যদিকে চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহেরও মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন।
আওয়ামী লীগের ক্রান্তিলগ্ন থেকে দীর্ঘদিন কাজ করার সুবাদে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের কাছে তিনি বেশ জনপ্রিয়। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও দলের মাঠ পর্যায়ের প্রভাবশালী নেতা হিসেবে তার রয়েছে শক্তিশালী কর্মী বাহিনী। তিনি নিয়মিতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়া তরুণ প্রার্থী হিসেবে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ ও ক্রীড়াঙ্গনে বিশেষ ভূমিকা রেখে ইতিমধ্যে চুনারুঘাট উপজেলায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন ব্যারিস্টার সাঈদুল হক সুমন। বিশেষ করে স্বেচ্ছাশ্রমে বিভিন্ন এলাকায় ব্রীজ নির্মাণ করে আলোচনায় রয়েছেন সুমন। মনোনয়ন পাওয়ায় আশায় নিয়মিত এলাকায় কাজ করছেন তরুণ এ প্রার্থী। এছাড়া মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট দেওয়ান মারুফ সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য আরিফুল হাই চৌধুরী রাজিব, সাবেক মন্ত্রীপুত্র নিজামুল হক রানা, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ মুনির, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেন চৌধুরী অসীম ও চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আকবর হোসেন জিতু।
তবে অনেকটা নিষ্ক্রিয় বিএনপি। সক্রিয়ভাবে মাঠে কাজ করছেন না বিএনপির কোনো মনোনয়নপ্রত্যাশী। বিগত নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়সল রয়েছেন অনেকটা নিভৃতে। তিনি নির্বাচন না করলে তার ভাই মাধবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহজাহান মনোনয়ন চাইতে পারেন বলে আলোচনা রয়েছে। তাছাড়া মাধবপুরের বাসিন্দা খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় বিএনপি নেত্রী শাম্মী আক্তার মনোনয়ন চাইবেন বলে জানিয়েছেন তাদের সমর্থকরা। এছাড়া মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে এ আসন থেকে মনোনয়ন চাইবেন কেন্দ্রীয় জাপা নেতা আতিকুর রহমান আতিক।
এ ব্যাপারে মনোনয়নপ্রত্যাশী মুক্তিযোদ্ধা শাহ মুসলিম মানবজমিনকে জানান, এ আসনটি বরাবরই আওয়ামী লীগের ছিল। আগামীতেও আওয়ামী লীগেরই থাকবে বলে আমাদের বিশ্বাস। এখানে আমিসহ একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছে। আমরা নেত্রীর কাছে দাবী জানাব, তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে দলের ত্যাগী নেতা যাচাই করে যাতে মনোনয়ন দেন। চুনারুঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের জানান, আমি দীর্ঘদিন ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ আওয়ামী লীগে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়া ইউপি চেয়ারম্যান থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দিন-রাত কাজ করার সুবাদে সাধারণ মানুষের সুখে-দুখে পাশে থেকেছি। এসব বিবেচনা করে দল আমাকে মনোনয়ন দেবে বলে আমার বিশ্বাস।
তরুণ মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিষ্টার সাঈদুল হক সুমন মানবজমিনকে জানান, এলাকার মানুষের কল্যাণে কাজ করাকে আমি ইবাদত মনে করি। সাধারণ মানুষের দুুর্দশা লাঘব করতে আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৩৮টি রাস্তা সংস্কার, ২১টি কাঠের ব্রীজ নির্মাণ, সাতছড়ি টিপরা পল্লীতে নদী ভাঙ্গন রোধ, বিভিন্ন স্কুলে ২৭০ টি ফ্যান প্রদান, ৫০টি মসজিদে প্রায় ৩০ লাখ টাকা অনুদান, খেলাধুলার সামগ্রী ও টুর্নামেন্টের আয়োজন, গরীব শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহযোগিতা ও চিকিৎসা সহযোগিতা প্রদান করেছি। তরুণ নেতৃত্ব বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রী আমাকে মনোনয়ন দিবেন বলে আমার বিশ্বাস। তবে মনোননয়ন পাই বা না পাই এলাকার উন্নয়নে আমি কাজ করে যাব। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট দেওয়ান মারুফ সিদ্দিকী জানান, প্রধানমন্ত্রীর ভিশন বাস্তবায়ন করতে হলে তরুণ নেতৃত্ব প্রয়োজন। আমি দীর্ঘদিন থেকে এলাকায় কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি বিচক্ষণ নেত্রী সবদিক বিবেচনা করে আমাকে মনোনয়ন দিবেন।
আগামীকাল : কিশোরগঞ্জ-৫
চা বাগান ও বনাঞ্চল বেষ্টিত চুনারুঘাট ও মাধবপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত হবিগঞ্জ-৪ আসন। চুনারুঘাট উপজেলায় রয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ বনাঞ্চল রেমা কালেঙ্গাসহ সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান। রয়েছে বাল্লা স্থলবন্দরসহ বেশকটি চা বাগান। আর মাধবপুর উপজেলায় আছে একাধিক গ্যাসক্ষেত্র, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রসহ চা ও রাবার বাগান। এছাড়া মাধবপুরে গড়ে উঠেছে দেশের অন্যতম শিল্পাঞ্চল। এ কারণে দেশের জাতীয় অর্থনৈতিক দিক বিবেচনায় এ আসটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
স্বাধীনতা-পরবর্তী ১০টি নির্বাচনে এ আসনটিতে ৭ বার বিজয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগ। একবার জাতীয় পার্টি, ১ বার স্বতন্ত্র ও ৯৬ এর ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে বিজয়ী হয় বিএনপি। তবে ’৯১ সালের পর থেকে টানা সবকটি নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগ। চা শ্রমিকদের বড় ভোটব্যাংক থাকার কারণে এ আসনে প্রতিটি নির্বাচনে সহজে জয় পেয়ে চলছে আওয়ামী লীগ। আর জয়ের এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আগামী নির্বাচনেও কাজ করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী। তবে নানা কারণে বর্তমান সংসদ সদস্যের ওপর নাখোশ তৃণমূল আওয়ামী লীগের একটি বড় অংশ। যার কারণে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগে কোন্দল মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। দলীয় সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে একাট্টা হয়ে মাঠে নেমেছেন আওয়ামী লীগের অন্য সকল মনোনয়নপ্রত্যাশী। বর্তমান সংসদ সদস্যকে বাদ দিয়ে অন্য যে কাউকে মনোনয়ন দিতে সভা-সমাবেশ করে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানিয়েছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীদের বড় একটি অংশ। আর দলীয় গ্রুপিং সমাধানকল্পে সংসদ সদস্য মাহবুব আলীও বিশেষ কোনো পদক্ষেপ নেননি। তিনি নিজের মতো করে তার সঙ্গে থাকা নেতা-কর্মীদের নিয়ে উন্নয়ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগে এ পর্যন্ত অন্তত ১০ নেতা মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে মাঠে রয়েছেন। মনোনয়ন চাইবেন বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী। এছাড়া আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে নির্বাচনী মাঠে আলোচনায় রয়েছেন মাধবপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শাহ মুসলিম। প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মাধবপুরে আলোচনায় রয়েছেন শাহ মুসলিম। তিনি স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। সাবেক মেয়র ও চেয়ারম্যান হিসেবে স্থানীয় ভোটারদের কাছেও যথেষ্ট গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে প্রবীণ এ নেতার। অন্যদিকে চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহেরও মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন।
আওয়ামী লীগের ক্রান্তিলগ্ন থেকে দীর্ঘদিন কাজ করার সুবাদে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের কাছে তিনি বেশ জনপ্রিয়। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও দলের মাঠ পর্যায়ের প্রভাবশালী নেতা হিসেবে তার রয়েছে শক্তিশালী কর্মী বাহিনী। তিনি নিয়মিতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়া তরুণ প্রার্থী হিসেবে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ ও ক্রীড়াঙ্গনে বিশেষ ভূমিকা রেখে ইতিমধ্যে চুনারুঘাট উপজেলায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন ব্যারিস্টার সাঈদুল হক সুমন। বিশেষ করে স্বেচ্ছাশ্রমে বিভিন্ন এলাকায় ব্রীজ নির্মাণ করে আলোচনায় রয়েছেন সুমন। মনোনয়ন পাওয়ায় আশায় নিয়মিত এলাকায় কাজ করছেন তরুণ এ প্রার্থী। এছাড়া মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট দেওয়ান মারুফ সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য আরিফুল হাই চৌধুরী রাজিব, সাবেক মন্ত্রীপুত্র নিজামুল হক রানা, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ মুনির, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেন চৌধুরী অসীম ও চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আকবর হোসেন জিতু।
তবে অনেকটা নিষ্ক্রিয় বিএনপি। সক্রিয়ভাবে মাঠে কাজ করছেন না বিএনপির কোনো মনোনয়নপ্রত্যাশী। বিগত নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়সল রয়েছেন অনেকটা নিভৃতে। তিনি নির্বাচন না করলে তার ভাই মাধবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহজাহান মনোনয়ন চাইতে পারেন বলে আলোচনা রয়েছে। তাছাড়া মাধবপুরের বাসিন্দা খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় বিএনপি নেত্রী শাম্মী আক্তার মনোনয়ন চাইবেন বলে জানিয়েছেন তাদের সমর্থকরা। এছাড়া মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে এ আসন থেকে মনোনয়ন চাইবেন কেন্দ্রীয় জাপা নেতা আতিকুর রহমান আতিক।
এ ব্যাপারে মনোনয়নপ্রত্যাশী মুক্তিযোদ্ধা শাহ মুসলিম মানবজমিনকে জানান, এ আসনটি বরাবরই আওয়ামী লীগের ছিল। আগামীতেও আওয়ামী লীগেরই থাকবে বলে আমাদের বিশ্বাস। এখানে আমিসহ একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছে। আমরা নেত্রীর কাছে দাবী জানাব, তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে দলের ত্যাগী নেতা যাচাই করে যাতে মনোনয়ন দেন। চুনারুঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের জানান, আমি দীর্ঘদিন ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ আওয়ামী লীগে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়া ইউপি চেয়ারম্যান থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দিন-রাত কাজ করার সুবাদে সাধারণ মানুষের সুখে-দুখে পাশে থেকেছি। এসব বিবেচনা করে দল আমাকে মনোনয়ন দেবে বলে আমার বিশ্বাস।
তরুণ মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিষ্টার সাঈদুল হক সুমন মানবজমিনকে জানান, এলাকার মানুষের কল্যাণে কাজ করাকে আমি ইবাদত মনে করি। সাধারণ মানুষের দুুর্দশা লাঘব করতে আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৩৮টি রাস্তা সংস্কার, ২১টি কাঠের ব্রীজ নির্মাণ, সাতছড়ি টিপরা পল্লীতে নদী ভাঙ্গন রোধ, বিভিন্ন স্কুলে ২৭০ টি ফ্যান প্রদান, ৫০টি মসজিদে প্রায় ৩০ লাখ টাকা অনুদান, খেলাধুলার সামগ্রী ও টুর্নামেন্টের আয়োজন, গরীব শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহযোগিতা ও চিকিৎসা সহযোগিতা প্রদান করেছি। তরুণ নেতৃত্ব বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রী আমাকে মনোনয়ন দিবেন বলে আমার বিশ্বাস। তবে মনোননয়ন পাই বা না পাই এলাকার উন্নয়নে আমি কাজ করে যাব। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট দেওয়ান মারুফ সিদ্দিকী জানান, প্রধানমন্ত্রীর ভিশন বাস্তবায়ন করতে হলে তরুণ নেতৃত্ব প্রয়োজন। আমি দীর্ঘদিন থেকে এলাকায় কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি বিচক্ষণ নেত্রী সবদিক বিবেচনা করে আমাকে মনোনয়ন দিবেন।
আগামীকাল : কিশোরগঞ্জ-৫