দেশ বিদেশ
মুসলিম বন্দি শিবিরের বৈধতা দিলো চীন
মানবজমিন ডেস্ক
১২ অক্টোবর ২০১৮, শুক্রবার, ৯:১০ পূর্বাহ্ন
চীনে লাখ লাখ মুসলিমকে বন্দি শিবিরে আটকে রাখা হয়েছে বলে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো। এতদিন সে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করলেও অবশেষে চীন তা স্বীকার করেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অব্যাহত উদ্বেগের মুখে চীন আইন করে মুসলিম বন্দি শিবিরগুলোর বৈধতা দিয়েছে। যার নাম দেয়া হয়েছে ‘পুনঃশিক্ষা শিবির’। বিবিসি’র খবরে বলা হয়েছে, অবশেষে চীনা কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে যে, বহু উইঘুর মুসলিমকে বন্দি শিবিরে নিয়ে রাখা হয়েছে। বলা হচ্ছে, ইসলামী কট্টরবাদ মোকাবিলার অংশ হিসেবে আটক উইঘুরদের আদর্শ শেখানো, তাদের চিন্তা-চেতনায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। চীন প্রদেশটিতে কি করছে চীনা কর্তৃপক্ষের স্বীকারোক্তির মাধ্যমে এই প্রথম তার একটি ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। দেশটির নতুন আইনে বলা হয়েছে, যেসব আচরণের কারণে বন্দি শিবিরে আটক করা হতে পারে তার মধ্যে রয়েছে- হালাল পণ্য ব্যবহার, রাষ্ট্রীয় টিভি দেখতে অস্বীকার করা, রাষ্ট্রীয় রেডিও শুনতে অস্বীকার করা, রাষ্ট্রীয় শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বাচ্চাদের দূরে রাখা। চীন বলছে, এসব বন্দি শিবিরে চীনা ভাষা শেখানো হবে, চীনের আইন শেখানো হবে এবং বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। সম্প্রতি মানবাধিকার বিষয়ক একটি বৈঠকে একজন চীনা কর্মকর্তা বলেন, ‘ধর্মীয় উগ্রবাদের শিকার উইঘুরদের নতুন করে শিক্ষা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
তবে কীভাবে তা করা হচ্ছে সে বিষয়ে চীনা কর্মকর্তারা বিস্তারিত কিছু বলেননি। কিন্তু মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দাবি, এসব শিবিরে প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে উইঘুরদের শপথ নিতে বাধ্য করা হচ্ছে। একইসঙ্গে তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে আত্মসমালোচনা করানো হচ্ছে।
জিনজিয়াং-এ গত কয়েকবছর ধরে অব্যাহত সহিংসতা চলছে। চীন তার জন্য ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী ইসলামী সন্ত্রাসীদের’ দায়ী করেছে। চীন সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল যে, তারা বিপুল সংখ্যক উইঘুর মুসলিমকে কতগুলো বন্দি শিবিরের ভেতরে আটকে রেখেছে। সম্প্রতি জাতিসংঘের একটি রিপোর্টে বলা হয়, ১০ লাখের মতো উইঘুর মুসলিমকে পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং প্রদেশের কয়েকটি শিবিরে বন্দি করে রাখা হয়েছে।
তবে কীভাবে তা করা হচ্ছে সে বিষয়ে চীনা কর্মকর্তারা বিস্তারিত কিছু বলেননি। কিন্তু মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দাবি, এসব শিবিরে প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে উইঘুরদের শপথ নিতে বাধ্য করা হচ্ছে। একইসঙ্গে তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে আত্মসমালোচনা করানো হচ্ছে।
জিনজিয়াং-এ গত কয়েকবছর ধরে অব্যাহত সহিংসতা চলছে। চীন তার জন্য ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী ইসলামী সন্ত্রাসীদের’ দায়ী করেছে। চীন সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল যে, তারা বিপুল সংখ্যক উইঘুর মুসলিমকে কতগুলো বন্দি শিবিরের ভেতরে আটকে রেখেছে। সম্প্রতি জাতিসংঘের একটি রিপোর্টে বলা হয়, ১০ লাখের মতো উইঘুর মুসলিমকে পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং প্রদেশের কয়েকটি শিবিরে বন্দি করে রাখা হয়েছে।