খেলা
বাংলাদেশ ০-২ ফিলিস্তিন
এবার ফিলিস্তিনে স্বপ্নভঙ্গ
সামন হোসেন, কক্সবাজার থেকে
১১ অক্টোবর ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:২০ পূর্বাহ্ন
সমুদ্রনগরী কক্সবাজারে নিম্নচাপের প্রভাবে সারাদিনই ঝরেছে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি। বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামের কর্দমাক্ত মাঠে ফিলিস্তিনকে খেলতে হয়েছে কঠিন পরিস্থিতিতে। এমন মাঠে হরহামেশাই খেলে অভ্যস্ত বাংলাদেশ অবশ্য সুযোগ নিতে পারেনি। শুরুতেই গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়া স্বাগতিকরা সুযোগ তৈরি করেছিল ম্যাচজুড়েই। দুর্দান্ত চেষ্টা চালিয়েও ফিনিশিংয়ে দুর্বলতার কারণে প্রতিপক্ষের জালে বল জড়াতে পারেননি বিপলু-জীবনরা। শেষে আরো একটি গোল হজম করতে হয়। তাতে সেমিফাইনালে ফিলিস্তিনদের কাছে ২-০ গোলের হারে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ থেকে বিদায় নিলো স্বাগতিক বাংলাদেশ। আগামীকাল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে তাজিকিস্তানের মুখোমুখি হবে তারা।
তিন বছর আগেও বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে ফাইনালে খেলেছিলো বাংলাদেশ। সেবার সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ফাইনালে নেপালের কাছে হার নিয়ে স্বপ্নভঙ্গ হয় বাংলাদেশের। তবে এবার সেমিফাইনালে দু’দলের পার্থক্যটা ছিল বিস্তর। ফিফা র্যাঙ্কিং কিংবা মাঠের পারফরম্যান্স; সব মিলিয়ে ফিলিস্তিনিই ফেভারিট। গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচের দুই জয় নিয়ে সেমিফাইনালে ওঠে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১০০ নাম্বারে থাকা দলটি। সেই দলটির বিপক্ষে মরণপণ লড়াইয়ে দর্শকদের আড়মোড়া ভাঙার আগেই গোল হজম করে স্বাগতিকরা। ম্যাচের ৮ মিনিটে মুসা বাটাটের ক্রসে ডিবক্সে খালি দাঁড়িয়ে থাকা প্রায় সোয়া ছয়ফুট উচ্চতার মোহাম্মদ বালা হেডে গোল করেন (১-০)। পরের মিনিটে কর্নারে আরো একটি গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল ফিলিস্তিন। এবারো উচ্চতাকে কাজে লাগিয়ে দারুণ হেড করেন খালেদ সালিম, ভাগ্য সহায় থাকায় ক্রসপিচে লেগে সে যাত্রায় রক্ষা পায় বাংলাদেশ। ফিলিস্তিন আক্রমণ সামাল দিতে এদিন তৎপর ছিল বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা। বিশেষ করে স্টপার তপু বর্মন ও টুটুল হোসেন বাদশা দারুণ খেলেছেল ভেজা মাঠে। ব্যথা নিয়েও লেফটব্যাক ওয়ালি ফয়সাল খারাপ করেনি।
ম্যাচে প্রথম সুযোগ বাংলাদেশ পেয়েছিল ২০তম মিনিট। মাহবুবুর রহমান সুফিল গোলরক্ষককে ওয়ান টু ওয়ানে পেয়েও ভারসাম্য রাখতে না পারায় সমতা বঞ্চিত হয় স্বাগতিকরা। পরের মিনিটে বামপ্রান্ত দিয়ে নাবীন নেওয়াজ জীবন গোলরক্ষককে কাটিয়েও বাইরে মারেন। প্রথমার্ধের অন্তিম মুহূর্তে আবারো জীবন এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে যে শটটি নিলেন তাও অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। দ্বিতীয়ার্ধে কৌশলে পরিবর্তন করে বিল্ডআপ ফুটবল খেলতে থাকে বাংলাদেশ। ভেজা মাঠের সুবিধা কাজে লাগিয়ে মাঠ বড় করে খেলতে থাকে স্বাগতিকরা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই টানা তিনটি কর্নার আদায় করে স্বাগতিকরা। ফিলিস্তিনের লম্বা ডিফেন্ডারদের কারণে কর্নার থেকে কোনো সুফল আদায় করতে পারেনি জীবন-সুফিলরা। তবে ম্যাচের ৫৬তম মিনিটে বিশ্বনাথের লম্বা থ্রোতে সুযোগ এসেছিল। তপুর ব্যাকহেডে বক্সে জটলার মধ্যে পেয়ে গিয়েছিলেন জীবন, কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারেনি আবাহনীর এই ফরোয়ার্ড। শেষ ২০ মিনিটে জোড়া পরিবর্তন করে জেমি ডে চেষ্টা করেছেন গোল পরিশোধের। কিন্তু ইমন বাবুর বদলি হিসেবে নামা রবিউল ও বিপলুর পরিবর্তে নামা সবুজ কোচের সিদ্ধান্তকে যথার্থ প্রমাণ করতে পারেননি। ম্যাচের ৭১তম মিনিটে ফিলিস্তিনির খালেদ সালেমের একটি আক্রমণ একাই রুখে দেন গোলরক্ষক আশরাফুল রানা। বক্সের ভেতর থেকে তার নেয়া জোরালো শটটি ফিস্ট করেন এই গোলরক্ষক। ৮৮ মিনিটে বাতরান ইসলামে আড়াআড়ি শটে রানা পরাস্ত হলেও বল সাইডবার ঘেঁষে চলে যায় বাইরে। গোল পরিশোধে মরিয়া বাংলাদেশ দ্বিতীয় গোল হজম করে ম্যাচের যোগকরা সময়ে। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোলটি করেন মারাবা। আগামীকাল ফাইনালে ফিলিস্তিনিদের প্রতিপক্ষ তাজিকিস্তান। যাদের গ্রুপ পর্বে এক গোলে হারিয়ে গ্রুপ সেরা হয়েছিল তারা।
বাংলাদেশ দল
আশরাফুল ইসলাম রানা (গোলরক্ষক), তপু বর্মণ, টুটুল হোসেন বাদশা, ওয়ালি ফয়সাল (রহমত মিয়া), বিশ্বনাথ ঘোষ, জামাল ভুইয়া, ইমন বাবু (রবিউল), মাসুম মিয়া জনি, বিপলু আহমেদ (সবুজ), মাহবুবুর রহমান সুফিল, নাবীন নেওয়াজ জীবন।
তিন বছর আগেও বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে ফাইনালে খেলেছিলো বাংলাদেশ। সেবার সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ফাইনালে নেপালের কাছে হার নিয়ে স্বপ্নভঙ্গ হয় বাংলাদেশের। তবে এবার সেমিফাইনালে দু’দলের পার্থক্যটা ছিল বিস্তর। ফিফা র্যাঙ্কিং কিংবা মাঠের পারফরম্যান্স; সব মিলিয়ে ফিলিস্তিনিই ফেভারিট। গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচের দুই জয় নিয়ে সেমিফাইনালে ওঠে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১০০ নাম্বারে থাকা দলটি। সেই দলটির বিপক্ষে মরণপণ লড়াইয়ে দর্শকদের আড়মোড়া ভাঙার আগেই গোল হজম করে স্বাগতিকরা। ম্যাচের ৮ মিনিটে মুসা বাটাটের ক্রসে ডিবক্সে খালি দাঁড়িয়ে থাকা প্রায় সোয়া ছয়ফুট উচ্চতার মোহাম্মদ বালা হেডে গোল করেন (১-০)। পরের মিনিটে কর্নারে আরো একটি গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল ফিলিস্তিন। এবারো উচ্চতাকে কাজে লাগিয়ে দারুণ হেড করেন খালেদ সালিম, ভাগ্য সহায় থাকায় ক্রসপিচে লেগে সে যাত্রায় রক্ষা পায় বাংলাদেশ। ফিলিস্তিন আক্রমণ সামাল দিতে এদিন তৎপর ছিল বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা। বিশেষ করে স্টপার তপু বর্মন ও টুটুল হোসেন বাদশা দারুণ খেলেছেল ভেজা মাঠে। ব্যথা নিয়েও লেফটব্যাক ওয়ালি ফয়সাল খারাপ করেনি।
ম্যাচে প্রথম সুযোগ বাংলাদেশ পেয়েছিল ২০তম মিনিট। মাহবুবুর রহমান সুফিল গোলরক্ষককে ওয়ান টু ওয়ানে পেয়েও ভারসাম্য রাখতে না পারায় সমতা বঞ্চিত হয় স্বাগতিকরা। পরের মিনিটে বামপ্রান্ত দিয়ে নাবীন নেওয়াজ জীবন গোলরক্ষককে কাটিয়েও বাইরে মারেন। প্রথমার্ধের অন্তিম মুহূর্তে আবারো জীবন এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে যে শটটি নিলেন তাও অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। দ্বিতীয়ার্ধে কৌশলে পরিবর্তন করে বিল্ডআপ ফুটবল খেলতে থাকে বাংলাদেশ। ভেজা মাঠের সুবিধা কাজে লাগিয়ে মাঠ বড় করে খেলতে থাকে স্বাগতিকরা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই টানা তিনটি কর্নার আদায় করে স্বাগতিকরা। ফিলিস্তিনের লম্বা ডিফেন্ডারদের কারণে কর্নার থেকে কোনো সুফল আদায় করতে পারেনি জীবন-সুফিলরা। তবে ম্যাচের ৫৬তম মিনিটে বিশ্বনাথের লম্বা থ্রোতে সুযোগ এসেছিল। তপুর ব্যাকহেডে বক্সে জটলার মধ্যে পেয়ে গিয়েছিলেন জীবন, কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারেনি আবাহনীর এই ফরোয়ার্ড। শেষ ২০ মিনিটে জোড়া পরিবর্তন করে জেমি ডে চেষ্টা করেছেন গোল পরিশোধের। কিন্তু ইমন বাবুর বদলি হিসেবে নামা রবিউল ও বিপলুর পরিবর্তে নামা সবুজ কোচের সিদ্ধান্তকে যথার্থ প্রমাণ করতে পারেননি। ম্যাচের ৭১তম মিনিটে ফিলিস্তিনির খালেদ সালেমের একটি আক্রমণ একাই রুখে দেন গোলরক্ষক আশরাফুল রানা। বক্সের ভেতর থেকে তার নেয়া জোরালো শটটি ফিস্ট করেন এই গোলরক্ষক। ৮৮ মিনিটে বাতরান ইসলামে আড়াআড়ি শটে রানা পরাস্ত হলেও বল সাইডবার ঘেঁষে চলে যায় বাইরে। গোল পরিশোধে মরিয়া বাংলাদেশ দ্বিতীয় গোল হজম করে ম্যাচের যোগকরা সময়ে। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোলটি করেন মারাবা। আগামীকাল ফাইনালে ফিলিস্তিনিদের প্রতিপক্ষ তাজিকিস্তান। যাদের গ্রুপ পর্বে এক গোলে হারিয়ে গ্রুপ সেরা হয়েছিল তারা।
বাংলাদেশ দল
আশরাফুল ইসলাম রানা (গোলরক্ষক), তপু বর্মণ, টুটুল হোসেন বাদশা, ওয়ালি ফয়সাল (রহমত মিয়া), বিশ্বনাথ ঘোষ, জামাল ভুইয়া, ইমন বাবু (রবিউল), মাসুম মিয়া জনি, বিপলু আহমেদ (সবুজ), মাহবুবুর রহমান সুফিল, নাবীন নেওয়াজ জীবন।