বাংলারজমিন
মৌলভীবাজারে রাতের খাবার খেয়ে ১৩ জন অসুস্থ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
১১ অক্টোবর ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৮:৩৩ পূর্বাহ্ন
মৌলভীবাজারে রাতের খাবার খেয়ে তিন পরিবারের ১৩ জন অসুস্থ হয়েছেন। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে শহরের সৈয়ারপুর এলাকার লক্ষ্মীবালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সড়কের দুটি বাসায় এ ঘটনা ঘটেছে। অসুস্থদের ৯ জনকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং একজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
অসুস্থরা হচ্ছেন মৌলভীবাজার শহরের লক্ষ্মীবালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সড়কের সানন্দা ভিলার ড. রণজিত সিংহের স্ত্রী কুঞ্জ রানি সিনহা (৪৫) ও মেয়ে পুষ্পাঞ্জলি সিনহা (২০)। একই ভবনের অন্য ফ্ল্যাটের খুশি কান্ত দাস (৪০), তার স্ত্রী অঞ্জনা দাস (৩৫), ছেলে অমিত দাস (১০) ও অপূর্ব দাস (৫), ভাতিজী সুমি দাস (২০) ও ভাতিজা নয়ন দাস (১৬)। তাদের পাশের বাসা নিখিল দাস (৫৫), তার স্ত্রী অপর্ণা দেব (৪৫), ছেলে নির্মল দেব (২৪), নিশু দেব (২২) ও নিতু দেব (১৬)। তাদেরকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরমধ্যে নিখিল দাসকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতাল, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতের খাবার খাওয়ার পরই এরা সকলে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে রাতেই তাদেরকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনটি পরিবারেরই রান্না ঘরের চুলার দিকের জানালা খোলা ছিল। সানন্দা ভিলার বাসিন্দা ড. রণজিৎ সিংহ জানান, সন্ধ্যা রাতে রান্না করার সময় তার স্ত্রী কুঞ্জ রানি সিনহা (৪৫) জানালার পাশে একটি ছায়া দেখতে পান। চিনতে পারেননি। পালিয়ে যায়। পরে রান্না করা খাবার খেয়ে তার স্ত্রী ও কন্যা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি রাতে কিছু খাননি তাই সুস্থ আছেন। এদিকে গত ৬ই অক্টোবর দিবাগত রাতে একই ধরনের ঘটনা ফরেস্ট অফিস সড়কের একই ভবনের দুই বাসায়। আলাদাভাবে রাতে বাসার খাবার খেয়ে দুই পরিবারের অন্তত ৭ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারা ২৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। সংশ্লিষ্ট ডাক্তার তখন জানান, খাবারের সঙ্গে কড়া ঘুমের ওষুধ দেয়া হতে পারে। তাই এমন হয়েছিল। এদিকে ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে আলাপ করলে তারা জানান, তাদের ধারণা জানালার বাইরে থেকে কেউ কোনো কিছু খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে দিতে পারে।
মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের আবাসিক ডাক্তার পলাশ রায় গতকাল এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে ঘুমের ওষুধ (সিডেটিভ) খাদ্যে মেশানো হয়েছিল। এখন মোটামুটি ভালো আছে সবাই।’ মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুহেল আহাম্মদ গতকাল বলেন, ‘এমন ঘটনার কোনো কিছু বুঝতে পারছি না। চেষ্টা করছি কারণ উদঘাটনের।’
অসুস্থরা হচ্ছেন মৌলভীবাজার শহরের লক্ষ্মীবালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সড়কের সানন্দা ভিলার ড. রণজিত সিংহের স্ত্রী কুঞ্জ রানি সিনহা (৪৫) ও মেয়ে পুষ্পাঞ্জলি সিনহা (২০)। একই ভবনের অন্য ফ্ল্যাটের খুশি কান্ত দাস (৪০), তার স্ত্রী অঞ্জনা দাস (৩৫), ছেলে অমিত দাস (১০) ও অপূর্ব দাস (৫), ভাতিজী সুমি দাস (২০) ও ভাতিজা নয়ন দাস (১৬)। তাদের পাশের বাসা নিখিল দাস (৫৫), তার স্ত্রী অপর্ণা দেব (৪৫), ছেলে নির্মল দেব (২৪), নিশু দেব (২২) ও নিতু দেব (১৬)। তাদেরকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরমধ্যে নিখিল দাসকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতাল, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতের খাবার খাওয়ার পরই এরা সকলে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে রাতেই তাদেরকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনটি পরিবারেরই রান্না ঘরের চুলার দিকের জানালা খোলা ছিল। সানন্দা ভিলার বাসিন্দা ড. রণজিৎ সিংহ জানান, সন্ধ্যা রাতে রান্না করার সময় তার স্ত্রী কুঞ্জ রানি সিনহা (৪৫) জানালার পাশে একটি ছায়া দেখতে পান। চিনতে পারেননি। পালিয়ে যায়। পরে রান্না করা খাবার খেয়ে তার স্ত্রী ও কন্যা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি রাতে কিছু খাননি তাই সুস্থ আছেন। এদিকে গত ৬ই অক্টোবর দিবাগত রাতে একই ধরনের ঘটনা ফরেস্ট অফিস সড়কের একই ভবনের দুই বাসায়। আলাদাভাবে রাতে বাসার খাবার খেয়ে দুই পরিবারের অন্তত ৭ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারা ২৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। সংশ্লিষ্ট ডাক্তার তখন জানান, খাবারের সঙ্গে কড়া ঘুমের ওষুধ দেয়া হতে পারে। তাই এমন হয়েছিল। এদিকে ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে আলাপ করলে তারা জানান, তাদের ধারণা জানালার বাইরে থেকে কেউ কোনো কিছু খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে দিতে পারে।
মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের আবাসিক ডাক্তার পলাশ রায় গতকাল এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে ঘুমের ওষুধ (সিডেটিভ) খাদ্যে মেশানো হয়েছিল। এখন মোটামুটি ভালো আছে সবাই।’ মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুহেল আহাম্মদ গতকাল বলেন, ‘এমন ঘটনার কোনো কিছু বুঝতে পারছি না। চেষ্টা করছি কারণ উদঘাটনের।’