দেশ বিদেশ
আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন তিন বিচারপতি
জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রতিবাদ সভা সুপ্রিম কোর্ট বারের
স্টাফ রিপোর্টার
১০ অক্টোবর ২০১৮, বুধবার, ৯:৫১ পূর্বাহ্ন
শপথ নিয়েছেন আপিল বিভাগে নবনিযুক্ত তিন বিচারপতি। গতকাল সকালে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে বিচারপতি জিনাত আরা, বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকী এবং বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান- এই তিন বিচারপতিকে শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। এর আগে সোমবার আপিল বিভাগে নতুন তিনজন বিচারপতিকে নিয়োগ দেয়া হয়। নতুন তিনজনকে নিয়ে আপিল বিভাগে বিচারকের সংখ্যা এখন সাতজন। গতকাল শপথের পর আপিল বিভাগের এক নম্বর এজলাস কক্ষে নতুন তিন বিচারপতিকে সংবর্ধনা দেয় বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ও অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়। তবে, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ছিল না। বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতি এজলাসে বসেন। পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম পর্যায়ক্রমে নবনিযুক্ত তিন বিচারপতির সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত তুলে ধরেন। এ সময় বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন তিন বিচারপতিকে অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য দেন। বক্তব্যে বিচারপতি জিনাত আরা মামলা জটকে একটি বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে তা নিরসনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে বার এবং আইনজীবীদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
এদিকে আপিল বিভাগে তিন বিচারপতি নিয়োগে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ। একই সঙ্গে নবনিযুক্ত তিন বিচারপতি নিয়োগের নিন্দা জানিয়ে তাদের সংবর্ধনা না দেয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন তারা। আপিল বিভাগে বিচারক নিয়োগে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনের অভিযোগে গতকাল সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের শামসুল হক চৌধুরী মিলনায়তনে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে সুপ্রিম কোর্ট বার। এ সময় সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছিলাম যে আপিল বিভাগে বিচারক স্বল্পতা পূরণ করতে হবে। কিন্তু তা পূরণ করতে হবে মেধা, যোগ্যতা দিয়ে। কিন্তু আপিল বিভাগে তিন বিচারক নিয়োগে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনে আমরা হতাশ। উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে দ্রুত নীতিমালার তাগিদ দেন জয়নুল আবেদীন। তিনি বলেন, নীতিমালার মাধ্যমে বিচারক নিয়োগ না হলে আইনজীবী সমিতি বসে থাকবে না। সমিতির সম্পাদক এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, এই সরকারের আমলে বিচার বিভাগকে লণ্ডভণ্ড করে দেয়া হয়েছে। নির্বাহী বিভাগ বিচার বিভাগকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। এ থেকে কীভাবে উত্তরণ হবে তা আমরা জানি না। তিনি বলেন, এই তিন বিচারপতি নিয়োগে উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনে পূর্বের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিবাদ সভায় তিনি বলেন, আমরা এই তিন বিচারক নিয়োগের নিন্দা জানাচ্ছি এবং তাদেরকে সংবর্ধনা না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এদিকে আপিল বিভাগে তিন বিচারপতি নিয়োগে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ। একই সঙ্গে নবনিযুক্ত তিন বিচারপতি নিয়োগের নিন্দা জানিয়ে তাদের সংবর্ধনা না দেয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন তারা। আপিল বিভাগে বিচারক নিয়োগে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনের অভিযোগে গতকাল সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের শামসুল হক চৌধুরী মিলনায়তনে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে সুপ্রিম কোর্ট বার। এ সময় সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছিলাম যে আপিল বিভাগে বিচারক স্বল্পতা পূরণ করতে হবে। কিন্তু তা পূরণ করতে হবে মেধা, যোগ্যতা দিয়ে। কিন্তু আপিল বিভাগে তিন বিচারক নিয়োগে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনে আমরা হতাশ। উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে দ্রুত নীতিমালার তাগিদ দেন জয়নুল আবেদীন। তিনি বলেন, নীতিমালার মাধ্যমে বিচারক নিয়োগ না হলে আইনজীবী সমিতি বসে থাকবে না। সমিতির সম্পাদক এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, এই সরকারের আমলে বিচার বিভাগকে লণ্ডভণ্ড করে দেয়া হয়েছে। নির্বাহী বিভাগ বিচার বিভাগকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। এ থেকে কীভাবে উত্তরণ হবে তা আমরা জানি না। তিনি বলেন, এই তিন বিচারপতি নিয়োগে উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনে পূর্বের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিবাদ সভায় তিনি বলেন, আমরা এই তিন বিচারক নিয়োগের নিন্দা জানাচ্ছি এবং তাদেরকে সংবর্ধনা না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।