খেলা
ইতিহাস গড়ে ফাইনালে তাজিকিস্তান
স্পোর্টস রিপোর্টার, কক্সবাজার থেকে
১০ অক্টোবর ২০১৮, বুধবার, ৯:২২ পূর্বাহ্ন
বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে তাজিকিস্তান। গতকাল সমুদ্র শহর কক্সবাজারে ফিলিপাইনকে ২-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে নাম লেখায় দলটি। ফিলিপাইনের বিপক্ষে ইতিহাসে প্রথম জয়ে অবদান রাখেন তুরনসভ ও নাজারভ। আগামী ১২ই অক্টোবর শিরোপা নির্ধারণী লড়াইয়ে বাংলাদেশ-ফিলিস্তিনির মধ্যকার ম্যাচের বিজয়ী দলের মুখোমুখি হবে তাজিকরা। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুরু হবে ফাইনালের মহারণ।
সেমিফাইনালের আগে দুই দলের ভাবনায় ছিল কক্সবাজারের আবহাওয়া। প্রচণ্ড তাপদাহে দুপুরের ম্যাচে স্বাভাবিক খেলা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন দু’দলের ফুটবলাররা। তাদের এই দুশ্চিন্তার কারণেই হয়তো সোমবার রাত থেকেই কক্সবাজারে শুরু হয় বৃষ্টি। বৃষ্টি মাথায় নিয়েও এদিন আন্তর্জাতিক এ ম্যাচ দেখতে মাঠে হাজির হয়েছিলেন হাজার পাঁচেক দর্শক। টানা বৃষ্টির কারণে মাঠ হয়ে উঠেছিল কর্দমাক্ত। ফুটবলাররা খেলতে পারছিলেন না নিজেদের স্বাভাবিক খেলা। ম্যাচ শেষে মাঠ নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছে দুদল। বিশেষ করে ফিলিপাইরে কোচ আন্দ্রেস গঞ্জালোর দাবি, মাঠের কারণেই তারা স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারেনি। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ফিলিপাইনের খেলা হয় আর্টিফিশিয়াল টার্ফে। এমনিতেই ঘাসের মাঠে খেলতে অভ্যস্ত নয় তার দলের ফুটবলাররা। আর ৩৮ বছর বয়সী গঞ্জালো বলেন, এই টুর্নামেন্ট নিয়ে ফেডারেশনের কোনো মাথাব্যথ্যা ছিল না। প্রস্তুতি ছিল না একদিনেরও। টুর্নামেন্ট শুরুর তিন দিন আগে কোচ বিহীন ১১ ফুটবলার সিলেট এলেও বাকিরা এসেছেন প্রথম ম্যাচের ঘণ্টা দুয়েক আগে। যারা এখানে এসেছেন তাদের বেশিরভাগই তরুণ। এসব কারণেই অতীতে তাজিকিস্তানের কাছে না হারলেও এখানে দুই গোলে হারতে হয়েছে। এদিন ভারি মাঠে শুরু থেকেই ফিলিপাইনের ওপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকে তাজিকিস্তান। গোলরক্ষক মাইকেল কাসাস বারবার হতাশ করছিলেন তাজিকিস্তানের ফরোয়ার্ডদের। অবশেষে ৩২ মিনিটে গোল আদায় করেন তাজিক স্ট্রাইকার তুরনসভ কমরন। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে কিছুটা রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ে তাজিকরা। নিজেদের সীমানা সমুন্নত রেখে পাল্টা আক্রমণের কৌশলে যায় তারা। ফিলিপাইন এ অর্ধে বেশ কয়েকবার গোলের সুযোগ তৈরি করলেও তাদের সফল হতে দেয়নি তাজিক ডিফেন্ডাররা। ভারি মাঠের কারণে এসময়ে তাজিক ফুটবলাররা ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলেন বলে জানান দলটির কোচ। তবে ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ফেলে তাজিকরা। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোল পায় তারা। ডান প্রান্ত দিয়ে নজিমের মাইনাসে বক্সের ঠিক বাইরে থেকে বাঁ পায়ের জোরালো শটে গোল আদায় করেন নাজারভ আখতাম (২-০)। কোচ তুকতায়েদ আলী বলেন, এই মাঠে ভালো ফুটবল খেলা কষ্টকর। তারপরেও আমার ছেলেরা ফিলিপাইনের চেয়ে অপেক্ষাকৃত ভালো খেলেই ম্যাচটা জিতেছে। আশা করছি ফাইনালে আমরা স্বাগতিক বাংলাদেশকে পাবো। ওদের মাটিতে ওদের দর্শকের সামনে খেলতে ছেলেরা মুখিয়ে আছে।
সেমিফাইনালের আগে দুই দলের ভাবনায় ছিল কক্সবাজারের আবহাওয়া। প্রচণ্ড তাপদাহে দুপুরের ম্যাচে স্বাভাবিক খেলা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন দু’দলের ফুটবলাররা। তাদের এই দুশ্চিন্তার কারণেই হয়তো সোমবার রাত থেকেই কক্সবাজারে শুরু হয় বৃষ্টি। বৃষ্টি মাথায় নিয়েও এদিন আন্তর্জাতিক এ ম্যাচ দেখতে মাঠে হাজির হয়েছিলেন হাজার পাঁচেক দর্শক। টানা বৃষ্টির কারণে মাঠ হয়ে উঠেছিল কর্দমাক্ত। ফুটবলাররা খেলতে পারছিলেন না নিজেদের স্বাভাবিক খেলা। ম্যাচ শেষে মাঠ নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছে দুদল। বিশেষ করে ফিলিপাইরে কোচ আন্দ্রেস গঞ্জালোর দাবি, মাঠের কারণেই তারা স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারেনি। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ফিলিপাইনের খেলা হয় আর্টিফিশিয়াল টার্ফে। এমনিতেই ঘাসের মাঠে খেলতে অভ্যস্ত নয় তার দলের ফুটবলাররা। আর ৩৮ বছর বয়সী গঞ্জালো বলেন, এই টুর্নামেন্ট নিয়ে ফেডারেশনের কোনো মাথাব্যথ্যা ছিল না। প্রস্তুতি ছিল না একদিনেরও। টুর্নামেন্ট শুরুর তিন দিন আগে কোচ বিহীন ১১ ফুটবলার সিলেট এলেও বাকিরা এসেছেন প্রথম ম্যাচের ঘণ্টা দুয়েক আগে। যারা এখানে এসেছেন তাদের বেশিরভাগই তরুণ। এসব কারণেই অতীতে তাজিকিস্তানের কাছে না হারলেও এখানে দুই গোলে হারতে হয়েছে। এদিন ভারি মাঠে শুরু থেকেই ফিলিপাইনের ওপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকে তাজিকিস্তান। গোলরক্ষক মাইকেল কাসাস বারবার হতাশ করছিলেন তাজিকিস্তানের ফরোয়ার্ডদের। অবশেষে ৩২ মিনিটে গোল আদায় করেন তাজিক স্ট্রাইকার তুরনসভ কমরন। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে কিছুটা রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ে তাজিকরা। নিজেদের সীমানা সমুন্নত রেখে পাল্টা আক্রমণের কৌশলে যায় তারা। ফিলিপাইন এ অর্ধে বেশ কয়েকবার গোলের সুযোগ তৈরি করলেও তাদের সফল হতে দেয়নি তাজিক ডিফেন্ডাররা। ভারি মাঠের কারণে এসময়ে তাজিক ফুটবলাররা ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলেন বলে জানান দলটির কোচ। তবে ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ফেলে তাজিকরা। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোল পায় তারা। ডান প্রান্ত দিয়ে নজিমের মাইনাসে বক্সের ঠিক বাইরে থেকে বাঁ পায়ের জোরালো শটে গোল আদায় করেন নাজারভ আখতাম (২-০)। কোচ তুকতায়েদ আলী বলেন, এই মাঠে ভালো ফুটবল খেলা কষ্টকর। তারপরেও আমার ছেলেরা ফিলিপাইনের চেয়ে অপেক্ষাকৃত ভালো খেলেই ম্যাচটা জিতেছে। আশা করছি ফাইনালে আমরা স্বাগতিক বাংলাদেশকে পাবো। ওদের মাটিতে ওদের দর্শকের সামনে খেলতে ছেলেরা মুখিয়ে আছে।