বাংলারজমিন
মাকে বেঁধে দুই শিশুকে খুন্তির ছেঁকা
বন্দর(নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
১০ অক্টোবর ২০১৮, বুধবার, ৮:৪৪ পূর্বাহ্ন
মোবাইল চোর অপবাদ দিয়ে মা’কে ডাবগাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে দুই শিশুসন্তানকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে লোহার খুন্তি গরম করে শিশু সুমীর (৬) পায়ে ও হাতে এবং মারুফ (৮)কে হাতে ছেঁকা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী মনি আক্তার। মামলার প্রধান আসামি মদনপুর ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য খলিলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করছে না বলে অসহায় মনি আক্তার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ শহরের পাইকপাড়া এলাকার ভাড়াটিয়া সালাউদ্দিন রহমান জীবনের স্ত্রী মনি আক্তার গত বুধবার দুই শিশুসন্তানকে নিয়ে ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান মেম্বারের বাড়িতে খাবার খেয়েছেন। খাবার খেয়ে মনি আক্তার দুই সন্তানকে নিয়ে চলে আসার সময় তাকে মোবাইল চোর আখ্যা দিয়ে মনি আক্তারকে ডাবগাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। এ সময় দুই শিশুসন্তানকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ও লোহার খুন্তি গরম করে শিশু সুমীর (৬) পায়ে ও হাতে এবং মারুফের (৮) হাতে ছেঁকা দেয়। চার ঘণ্টা আটকে রাখার পর অবস্থা বেগতিক দেখে তাদের ছেড়ে দেয় খলিল মেম্বার। ওইদিন রাতেই নির্যাতিতা মনি আক্তার থানায় একটি অভিযোগ করেন। নির্যাতনের শিকার মনি আক্তার অভিযুক্ত মেম্বার ও তার সহযোগীদের বিচারের দাবিতে চার দিন ধরে প্রশাসনের দ্বারস্থ হচ্ছেন। কিন্তু কোনো প্রতিকার না পাওয়ায় বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে বিষয়টি জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন মহলের দৃষ্টিগোচর হয়। পুলিশ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের চাপে পড়ে থানা পুলিশ মনি আক্তারকে ডেকে এনে ইউপি সদস্য খলিল মেম্বারসহ ৩ সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করেন। মামলা করার পর থেকে অভিযুক্ত মেম্বার ও থানা পুলিশের হুমকিতে শিশুসন্তানদের নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন মনি আক্তার। মামলার তদন্তকারী অফিসার ইন্সপেক্টর কুতুবে আলম বলেন, আসামি গ্রেপ্তারের জন্য খলিল মেম্বারের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ- খলিল মেম্বারকে এলাকায় প্রকাশ্যে চলাফেরা করতে দেখেছেন। আওয়ামী লীগ নেতা হওয়ায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করছে না।