অনলাইন
এবার ধর্ষণ ও যৌন হেনস্তার অভিযোগ অলোকের বিরুদ্ধে
অনলাইন ডেস্ক
৯ অক্টোবর ২০১৮, মঙ্গলবার, ৮:৩১ পূর্বাহ্ন
যুক্তরাষ্ট্রের মতো বলিউডেও এখন ‘হ্যাশট্যাগ মিটু’ আন্দোলনের বাতাস লেগেছে। আর এ বাতাসে উড়ে যাচ্ছে বছরের পর বছর ধরে মুখে লাগিয়ে রাখা অনেক অভিনেতাদের মুখোশ। সম্প্রতি নানা পাটেকারের বিরুদ্ধে তনুশ্রীর করা যৌন হেনাস্থার অভিযোগে সরব হয়েছে বলি বহল। এরপর কঙ্গণার, পরিচালক বিশালের বিরুদ্ধে, এক সাংবাদিকের অভিনেতা এবং পরিচালক রজত কাপুরের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ আগুন জ্বেলে দিয়েছে ইন্ডাস্ট্রিতে। আর সেই আগুনে ঘি ঢেলেছে বিনতা নন্দা। টাইমস নাউ নিউজের বরাত দিয়ে জানা যায়, বলিউডের প্রবীণ অভিনেতা অলোক নাথের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনেছেন বিনতা নন্দা।
ছোট পর্দার স্ক্রিপ্ট রাইটার এবং পরিচালক ও প্রযোজক বিনতা সোমবার তার ফেসবুকে লিখেন, ‘অলোক নাথের স্ত্রী ছিলেন তাঁর ভালো বন্ধু। একসঙ্গে থিয়েটার করতেন। এ কারণে অলোক নাথের বাসায় তাঁর যাওয়া-আসা ছিল। তবে নব্বই দশকের মাঝামাঝি এক সময়ে অলোক নাথের বাসার এক পার্টিতে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হলে আমি যাই। তখন তাঁর স্ত্রী ছিলেন শহরের বাইরে। আমরা যেহেতু একসঙ্গে থিয়েটার করতাম, তাই আমাদের কাছে এভাবে পার্টিতে দেখা করা খুব স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু সেদিন পার্টিতে আমার গ্লাসে কিছু মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমি যখন তার বাসা থেকে বের হয়েছি, তখন রাত দুইটা। আমার সঙ্গে গাড়ি ছিল না। রাস্তায় আমি একাই ছিলাম। হঠাৎ অলোক নাথ গাড়ি নিয়ে আসেন। তিনি আমাকে বাসায় নামিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন। আমিও তাকে বিশ্বাস করে গাড়িতে উঠলে আমাকে জোর করে আরও মদ খাওয়ানো হয়। আমি আমার জ্ঞান হারাই। পরদিন ঘুম থেকে উঠলে আমার শরীরের নিচের অংশে খুব ব্যথা অনুভব করি। বুঝতে পারি, শুধু ধর্ষণ নয়, ভয়ানক বর্বতারও শিকার হয়েছি আমি। ব্যাথার যন্ত্রণায় সে সময় বিছানা থেকে উঠতে পারছিলাম না।’
ঘটনাটি আমার কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে ওই সময় জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা সবাই আমাকে ব্যাপারটি চেপে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে।
বিনতা বলেন, ‘ওই ঘটনার পর আমি টিভিতে আরেকটি সিরিয়ালের স্ক্রিপ্ট ও পরিচালনার কাজ পাই। তবে সিরিয়ালে অলোক নাথ গুরুত্বপূর্ণ রোলে থাকায় আমি প্রযোজকের কাছে অনুরোধ করি আমাকে পরিচালনা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য। কিন্তু তারপর এমন পরিবেশ তৈরি হয়, যেখানে আমি হুমকির মুখে পড়ি। সে সময় অলোক নাথ আমাকে আবারও তার বাসায় ডেকে আমার ওপর চড়াও হয়। আমি তাকে সে অনুমতি দিতে বাধ্য হয়েছিলাম কারণ সিরিয়ালের কাজটা আমার দরকার ছিল। ওই সময় আর্থিকভাবে বেশ টানাটানির মধ্য দিয়ে চলছিলাম।’
আরেকটি ঘটনার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘১৯৯৪ সালের দিকে জি টিভির অন্যতম জনপ্রিয় সিরিয়াল ছিল ‘তারা’। আর এই সিরিয়ালের স্ক্রিপ্ট রাইটার ও প্রযোজক ছিলাম আমি। সেই সিরিয়ালের মুখ্য দুটি চরিত্র ছিল অলোক নাথ ও নবনীত নিশানকে ঘিরে। শুটিংয়ের সেটে অলোক নাথ নানাভাবে নবনীত নিশানকে উত্ত্যক্ত করতেন। সেটের সবাই চুপ করে থাকলেও একসময় সহ্য করতে না পেরে তার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের কাছে নবনীত অভিযোগ করেন। কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাবার পর সিরিয়াল থেকে অলোক নাথকে বাদ দিয়ে দেয়।’
বিনতা আরও জানান, ‘অলোক নাথ মদ্যপ, অসভ্য আর বিরক্তিকর একজন মানুষ। তিনি টেলিভিশনের জনপ্রিয় তারকা হওয়ায় তার সকল খারাপ কাজ, অপকর্ম থেকে সহজেই পার পেয়ে যান।’
এতো বছর পরে বিনতা নন্দা কেন এসব কথা বলছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘১৯ বছর ধরে এই সময়টার জন্য অপেক্ষা করেছি।’
বিনতা নন্দার এমন অভিযোগের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ব্যাপারটিকে আমলে নিয়ে সিনে অ্যান্ড টিভি আর্টিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (সিনটা) সংগঠনটির পক্ষে সুশান্ত সিং মঙ্গলবার টুইটারে লিখেন, অলোক নাথকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেবার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তার জবাব পাবার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ছোট পর্দার স্ক্রিপ্ট রাইটার এবং পরিচালক ও প্রযোজক বিনতা সোমবার তার ফেসবুকে লিখেন, ‘অলোক নাথের স্ত্রী ছিলেন তাঁর ভালো বন্ধু। একসঙ্গে থিয়েটার করতেন। এ কারণে অলোক নাথের বাসায় তাঁর যাওয়া-আসা ছিল। তবে নব্বই দশকের মাঝামাঝি এক সময়ে অলোক নাথের বাসার এক পার্টিতে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হলে আমি যাই। তখন তাঁর স্ত্রী ছিলেন শহরের বাইরে। আমরা যেহেতু একসঙ্গে থিয়েটার করতাম, তাই আমাদের কাছে এভাবে পার্টিতে দেখা করা খুব স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু সেদিন পার্টিতে আমার গ্লাসে কিছু মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমি যখন তার বাসা থেকে বের হয়েছি, তখন রাত দুইটা। আমার সঙ্গে গাড়ি ছিল না। রাস্তায় আমি একাই ছিলাম। হঠাৎ অলোক নাথ গাড়ি নিয়ে আসেন। তিনি আমাকে বাসায় নামিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন। আমিও তাকে বিশ্বাস করে গাড়িতে উঠলে আমাকে জোর করে আরও মদ খাওয়ানো হয়। আমি আমার জ্ঞান হারাই। পরদিন ঘুম থেকে উঠলে আমার শরীরের নিচের অংশে খুব ব্যথা অনুভব করি। বুঝতে পারি, শুধু ধর্ষণ নয়, ভয়ানক বর্বতারও শিকার হয়েছি আমি। ব্যাথার যন্ত্রণায় সে সময় বিছানা থেকে উঠতে পারছিলাম না।’
ঘটনাটি আমার কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে ওই সময় জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা সবাই আমাকে ব্যাপারটি চেপে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে।
বিনতা বলেন, ‘ওই ঘটনার পর আমি টিভিতে আরেকটি সিরিয়ালের স্ক্রিপ্ট ও পরিচালনার কাজ পাই। তবে সিরিয়ালে অলোক নাথ গুরুত্বপূর্ণ রোলে থাকায় আমি প্রযোজকের কাছে অনুরোধ করি আমাকে পরিচালনা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য। কিন্তু তারপর এমন পরিবেশ তৈরি হয়, যেখানে আমি হুমকির মুখে পড়ি। সে সময় অলোক নাথ আমাকে আবারও তার বাসায় ডেকে আমার ওপর চড়াও হয়। আমি তাকে সে অনুমতি দিতে বাধ্য হয়েছিলাম কারণ সিরিয়ালের কাজটা আমার দরকার ছিল। ওই সময় আর্থিকভাবে বেশ টানাটানির মধ্য দিয়ে চলছিলাম।’
আরেকটি ঘটনার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘১৯৯৪ সালের দিকে জি টিভির অন্যতম জনপ্রিয় সিরিয়াল ছিল ‘তারা’। আর এই সিরিয়ালের স্ক্রিপ্ট রাইটার ও প্রযোজক ছিলাম আমি। সেই সিরিয়ালের মুখ্য দুটি চরিত্র ছিল অলোক নাথ ও নবনীত নিশানকে ঘিরে। শুটিংয়ের সেটে অলোক নাথ নানাভাবে নবনীত নিশানকে উত্ত্যক্ত করতেন। সেটের সবাই চুপ করে থাকলেও একসময় সহ্য করতে না পেরে তার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের কাছে নবনীত অভিযোগ করেন। কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাবার পর সিরিয়াল থেকে অলোক নাথকে বাদ দিয়ে দেয়।’
বিনতা আরও জানান, ‘অলোক নাথ মদ্যপ, অসভ্য আর বিরক্তিকর একজন মানুষ। তিনি টেলিভিশনের জনপ্রিয় তারকা হওয়ায় তার সকল খারাপ কাজ, অপকর্ম থেকে সহজেই পার পেয়ে যান।’
এতো বছর পরে বিনতা নন্দা কেন এসব কথা বলছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘১৯ বছর ধরে এই সময়টার জন্য অপেক্ষা করেছি।’
বিনতা নন্দার এমন অভিযোগের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ব্যাপারটিকে আমলে নিয়ে সিনে অ্যান্ড টিভি আর্টিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (সিনটা) সংগঠনটির পক্ষে সুশান্ত সিং মঙ্গলবার টুইটারে লিখেন, অলোক নাথকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেবার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তার জবাব পাবার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।