বিশ্বজমিন
এবার পোপকে উত্তর কোরিয়ায় নিমন্ত্রণ জানালেন কিম
মানবজমিন ডেস্ক
৯ অক্টোবর ২০১৮, মঙ্গলবার, ৫:৪৪ পূর্বাহ্ন
পোপ ফ্রান্সিসকে উত্তর কোরিয়া সফরের নিমন্ত্রণ জানিয়েছেন দেশটির নেতা কিম জং উন। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, আগামী সপ্তাহে ভ্যাটিকান সিটি সফরে যাবেন দক্ষিণের প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন। তখন তিনি উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণপত্র পোপের হাতে তুলে দেবেন। পোপ ফ্রান্সিস যদি এ নিমন্ত্রণে ইতিবাচক সাড়া দেন, তাহলে এটা হবে ইতিহাসে কোন পোপের প্রথম উত্তর কোরিয়া সফর। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ভ্যাটিকান সিটির সরাসরি কোন কূটনৈতিক যোগাযোগ নেই। সে কারণে পোপ ফ্রান্সিসকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়ে সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত দক্ষিণ কোরিয়াকে জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। কয়েকদিন পর প্রেসিডেন্ট মুন তার ইউরোপ সফর শুরু করবেন। এসময় তার ভ্যাটিকান সিটিতেও যাওয়ার কথা রয়েছে। তখন পোপ ফ্রান্সিসকে উত্তর কোরিয়া সফরের আমন্ত্রণ জানাবেন তিনি। এর আগে পোপ দ্বিতীয় পল উত্তর কোরিয়া সফরের নিমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। কিন্তু চুড়ান্তভাবে তার উত্তর কোরিয়া সফর আলোর মুখ দেখেনি। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র কিম ইয়ুই কিয়োম বলেন, পোপ ফ্রান্সিস যদি পিয়ংইয়ং সফর করেন, তাহলে চেয়ারম্যান কিম জং উন এটাকে স্বাগত জানাবেন। ভ্যাটিকান সিটি সফরের সময় প্রেসিডেন্ট মুন এ বার্তা পোপ ফ্রান্সিসের কাছে পৌছে দেবেন।
পোপকে নিমন্ত্রণ জানানো উত্তর কোরিয়ার ইতিবাচক পদক্ষেপগুলোতে নতুন সংযোজন। এর আগে চেয়ারম্যান কিম জং উন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে নজিরবিহীন বৈঠক করেছেন। এছাড়া, তিন দফা আন্ত:কোরিয়া সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কয়েক বছর আগে যা ছিল নিতান্তই অসম্ভব কল্পনা।
২০০০ সালে পোপ দ্বিতীয় পল বলেছিলেন, তিনি যদি উত্তর কোরিয়া যেতে পারেন, তাহলে সেটা হবে একটি ‘অলৌকিক ঘটনা’। এর পর কিম জং উনের পিতা কিম জং ইল পোপকে উত্তর কোরিয়া সফরে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। দক্ষিণ কোরিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট কিম দায়ে জুংয়ের সঙ্গে নির্ধারিত সম্মেলনে পোপকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু নানা জটিলতায় পোপের উত্তর কোরিয়া সফর বাস্তবায়ন হয়নি। তখন ভ্যাটিকানের পক্ষ থেকে বলা হয়, উত্তর কোরিয়া যদি ক্যাথলিক যাজকদের গ্রহণ করে, তাহলেই পোপ পিয়ংইয়ং সফর করবেন। উত্তর কোরিয়া এ শর্ত মেনে নেয়নি।
উত্তর কোরিয়ার সংবিধানে ধর্ম-বিশ্বাস পালনের অধিকার দেয়া হয়েছে। সেখানে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত চার্চও রয়েছে। কিন্তু মানবাধিকার কর্মীদের অভিযোগ, এগুলো শুধু দেখানোর জন্যই। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের গবেষক আর্নল্ড ফ্যাং বলেন, বাস্তবে উত্তর কোরিয়ায় কোন ধর্মীয় স্বাধীনতা নেই। ২০১৪ সালে জাতিসংঘের একটি রিপোর্টে বলা হয়, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা যদি রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত চার্চের বাইরে তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করেন, তাহলে তাদেরকে বিচার ও কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়। এনকে নিউজের খবরে বলা হয়েছে, রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে ক্যাথলিক চার্চ থাকলেও দাপ্তরিকভাবে এটির সঙ্গে ভ্যাটিকান সিটির কোন সম্পর্ক নেই। সেখানে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ক্যাথলিক অ্যাসোসিয়েশনও পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু এটিরও ভ্যাটিকানের সঙ্গে কোন যোগাযোগ নেই। বার্তা সংস্থা এএফপি’র খবরে বলা হয়েছে, কোরিয়ান ক্যাথলিক অ্যাসোসিয়েশনের হিসাব অনুসারে উত্তর কোরিয়ায় ৩ হাজার ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বী রয়েছে। কিন্তু জাতিসংঘের রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই সংখ্যা ৮শ’র কাছাকাছি।
এছাড়া, উত্তর কোরিয়া বিদেশী মিশনারীদের প্রতিও বেশ কঠোর মনোভাব দেখায়। ২০১৩ সালে কোরিয়ান বংশোদ্ভূত মার্কিন ইভানজেলিস্ট কেনেথ বায়েকে মিশনারী কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগে ১৫ বছরের সশ্রম সাজা দেয়া হয়। তার বিরুদ্ধে সরকার বিরোধী কার্যক্রম চালানোর অভিযোগ তোলা হয়। পরে ২০১৪ সালে অসুস্থতাজনিত কারণে তাকে মুক্তি দেয় উত্তর কোরিয়া।
খবরে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ভ্যাটিকান সিটির সরাসরি কোন কূটনৈতিক যোগাযোগ নেই। সে কারণে পোপ ফ্রান্সিসকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়ে সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত দক্ষিণ কোরিয়াকে জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। কয়েকদিন পর প্রেসিডেন্ট মুন তার ইউরোপ সফর শুরু করবেন। এসময় তার ভ্যাটিকান সিটিতেও যাওয়ার কথা রয়েছে। তখন পোপ ফ্রান্সিসকে উত্তর কোরিয়া সফরের আমন্ত্রণ জানাবেন তিনি। এর আগে পোপ দ্বিতীয় পল উত্তর কোরিয়া সফরের নিমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। কিন্তু চুড়ান্তভাবে তার উত্তর কোরিয়া সফর আলোর মুখ দেখেনি। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র কিম ইয়ুই কিয়োম বলেন, পোপ ফ্রান্সিস যদি পিয়ংইয়ং সফর করেন, তাহলে চেয়ারম্যান কিম জং উন এটাকে স্বাগত জানাবেন। ভ্যাটিকান সিটি সফরের সময় প্রেসিডেন্ট মুন এ বার্তা পোপ ফ্রান্সিসের কাছে পৌছে দেবেন।
পোপকে নিমন্ত্রণ জানানো উত্তর কোরিয়ার ইতিবাচক পদক্ষেপগুলোতে নতুন সংযোজন। এর আগে চেয়ারম্যান কিম জং উন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে নজিরবিহীন বৈঠক করেছেন। এছাড়া, তিন দফা আন্ত:কোরিয়া সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কয়েক বছর আগে যা ছিল নিতান্তই অসম্ভব কল্পনা।
২০০০ সালে পোপ দ্বিতীয় পল বলেছিলেন, তিনি যদি উত্তর কোরিয়া যেতে পারেন, তাহলে সেটা হবে একটি ‘অলৌকিক ঘটনা’। এর পর কিম জং উনের পিতা কিম জং ইল পোপকে উত্তর কোরিয়া সফরে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। দক্ষিণ কোরিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট কিম দায়ে জুংয়ের সঙ্গে নির্ধারিত সম্মেলনে পোপকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু নানা জটিলতায় পোপের উত্তর কোরিয়া সফর বাস্তবায়ন হয়নি। তখন ভ্যাটিকানের পক্ষ থেকে বলা হয়, উত্তর কোরিয়া যদি ক্যাথলিক যাজকদের গ্রহণ করে, তাহলেই পোপ পিয়ংইয়ং সফর করবেন। উত্তর কোরিয়া এ শর্ত মেনে নেয়নি।
উত্তর কোরিয়ার সংবিধানে ধর্ম-বিশ্বাস পালনের অধিকার দেয়া হয়েছে। সেখানে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত চার্চও রয়েছে। কিন্তু মানবাধিকার কর্মীদের অভিযোগ, এগুলো শুধু দেখানোর জন্যই। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের গবেষক আর্নল্ড ফ্যাং বলেন, বাস্তবে উত্তর কোরিয়ায় কোন ধর্মীয় স্বাধীনতা নেই। ২০১৪ সালে জাতিসংঘের একটি রিপোর্টে বলা হয়, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা যদি রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত চার্চের বাইরে তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করেন, তাহলে তাদেরকে বিচার ও কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়। এনকে নিউজের খবরে বলা হয়েছে, রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে ক্যাথলিক চার্চ থাকলেও দাপ্তরিকভাবে এটির সঙ্গে ভ্যাটিকান সিটির কোন সম্পর্ক নেই। সেখানে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ক্যাথলিক অ্যাসোসিয়েশনও পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু এটিরও ভ্যাটিকানের সঙ্গে কোন যোগাযোগ নেই। বার্তা সংস্থা এএফপি’র খবরে বলা হয়েছে, কোরিয়ান ক্যাথলিক অ্যাসোসিয়েশনের হিসাব অনুসারে উত্তর কোরিয়ায় ৩ হাজার ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বী রয়েছে। কিন্তু জাতিসংঘের রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই সংখ্যা ৮শ’র কাছাকাছি।
এছাড়া, উত্তর কোরিয়া বিদেশী মিশনারীদের প্রতিও বেশ কঠোর মনোভাব দেখায়। ২০১৩ সালে কোরিয়ান বংশোদ্ভূত মার্কিন ইভানজেলিস্ট কেনেথ বায়েকে মিশনারী কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগে ১৫ বছরের সশ্রম সাজা দেয়া হয়। তার বিরুদ্ধে সরকার বিরোধী কার্যক্রম চালানোর অভিযোগ তোলা হয়। পরে ২০১৪ সালে অসুস্থতাজনিত কারণে তাকে মুক্তি দেয় উত্তর কোরিয়া।