বিশ্বজমিন

প্যারিসে যৌনদাসী- পর্ব ৩

যেমন করে যুবতী পতিতা হয়ে ওঠেন ম্যাডাম

মানবজমিন ডেস্ক

৯ অক্টোবর ২০১৮, মঙ্গলবার, ১:৪৬ পূর্বাহ্ন

নাইজেরিয়ান যুবতীদের অবাধ যৌন বাণিজ্যের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে প্যারিস। এখানে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে যুবতীদের নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর বাধ্য করা হয় পতিতাবৃত্তিতে। তবে তাতেও তাদের শান্তি নেই। নতুন যেসব যুবতীকে এ ব্যবসায় আনা হয়, তাদের সঙ্গে একরকম সাংঘর্ষিক অবস্থার সৃষ্টি হয় পুরনোদের। কারণ, নতুন যুবতী এ পেশায় এলে পুরনোদের চাহিদা কমে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কমে যায় তাদের উপার্জন। এভাবে যখন আস্তে আস্তে তাদের চাহিদা কমে যেতে থাকে তখন তাদের কেউ কেউ পাচার হয়ে যাওয়া যুবতীদের কিনে নেয়। তাদেরকে দিয়ে নিজে যৌন বাণিজ্য খুলে বসে। আর এর মধ্য দিয়ে তিনি হয়ে ওঠেন যৌন ব্যবসার ম্যাডাম। নিজে মুক্ত হয়ে যান এ ব্যবসা থেকে। আর তখনই তারা ইউরোপের ধনী হতে থাকেন। কারণ, তাদের অধীনে থাকা যুবতীরা দেহ বিলিয়ে যে অর্থ পান তা চলে যায় এসব ম্যাডামের হাতে। ফলে সহজেই তারা বহু অর্থের মালিক হন। এসব ম্যাডাম বিভিন্ন ক্লাব গড়ে তোলেন। কখনো কখনো তারা ফেসবুকে পেজ খোলেন। তারা বড়সড় পার্টি আয়োজন করেন। আর তাতে প্রবেশ ফি নেয়া হয়। এ থেকে যে লাভ হয় তা দিয়ে তারা আরো যুবতীকে কিনে নেন। তাতে তাদের ব্যবসার প্রসার হয়। নাদেজে নামের সেই নাইজেরিয়ান যুবতী বলেছেন, তিনি যে ম্যাডামের অধীনে থাকতেন, দেহব্যবসা করতেন তার কাছে ইউরোপের বিভিন্ন প্রান্তের যুবতী ছিলেন। এসব যুবতী স্পেন থেকে রাশিয়া পর্যন্ত সব দেশের। তারা ওই ম্যাডামের কাছে জিম্মি ছিলেন।
প্যারিসে পতিতাদের বিষয়ে কাজ করে দাতব্য সংস্থা লেস আমিস ডু বাস ডেস ফেমেস (এলএবিএফ)। তারাবলছে, ২০ বছর ধরে নাইজেরিয়া থেকে প্যারিসে যৌন বাণিজ্যের জন্য নারী পাচারের রুট খোলা। তবে ২০১৫ সাল থেকে এক্ষেত্রে তারা ব্যতিক্রম দেখতে পায়। তারা দেখে যে, নাইজেরিয়ার অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েদের সংখ্যা এ পেশায় বেড়ে যাচ্ছে। তাদের গবেষণায় দেখা গেছে, প্যারিসের রাজপথে ১২ বছর বয়সী বালিকাও দেহ ব্যবসা করছে। এ বিষয়ে নাদেজে নামের সেই যুবতী বলেন, প্যারিসের ভিনসেন্স-এ নিজেদের ব্রেন ও মেধা নষ্ট করছে এসব বালিকা। তারা গাইতে পারে। তারা নাচতে পারে। কিন্তু শপথ করে বলতে পারি, পতিতাবৃত্তি হলো একটি আতঙ্ক, যা সবকিছুকে গ্রাস করে ফেলে। নাদেজে যখন পরিণত বয়সের দিকে অগ্রসর হন তখন তিনি নাইজেরিয়ার সিনেমাজগত নলিউডে অভিনয় করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন তার মিলিয়ে গেছে বাতাসে। তাকে অন্য পুরুষের মনোরঞ্জন করে চলতে হয়।
(চলবে)
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status