বিশ্বজমিন
হয়রানি প্রতিরোধ করতে গিয়ে হাসপাতালে ৩৪ স্কুলছাত্রী
মানবজমিন ডেস্ক
৯ অক্টোবর ২০১৮, মঙ্গলবার, ৯:৪৮ পূর্বাহ্ন
ভারতের বিহার রাজ্যের একদল কিশোর, তাদের অভিভাবক ও স্থানীয়রা পিটিয়ে আহত করেছে ৩৪ স্কুলছাত্রীকে। তাদেরকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। তাদের অপরাধ, উত্যক্ত করার প্রতিবাদে তারা স্থানীয় কিছু বখাটেকে কথা শুনিয়েছিল। ত্রিবেণীগঞ্জ সরকারি বিদ্যালয়ের ওই স্কুলছাত্রীদের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ ৯ জনকে আটক করেছে। এদের ৬ জন কিশোর। বাকি ৩ জন মহিলা। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
পুলিশ সন্দেহ করছে, ১০-১৬ বছর বয়সী ওই মেয়েদের ওপর ওই হামলায় আরও ৮-১০ জন জড়িত ছিল। সোমবার পুলিশ জানিয়েছে, অনেক আহত স্কুলছাত্রী এখনও হাসপাতালে ভর্তি আছে।
ত্রিবেণীগঞ্জের ওই বোর্ডিং স্কুলের ছাত্রীরা শনিবার তাদের নির্ধারিত মাঠে খেলাধুলা করছিল। এক পর্যায়ে তারা সেখানে ঢুকে পড়া একদল ছেলেকে দেখতে পায়। তাদেরকে তারা সেখান থেকে চলে যেতে বলে। কিন্তু ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার বদলে ওই ছেলেরা ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে নোংরা কথা বলতে থাকে। তখনই পালটা জবাব দেয় মেয়েরা। রাগান্বিত কিছু মেয়ে তাদেরকে চড়ও মারে। এরপর ছেলেরা চলে যায়।
পুলিশ জানায়, এরপরই একদল ছেলে তাদের পিতামাতা ও স্থানীয়দের নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয়। এদের হাতে বাঁশের লাঠি আর রড ছিল। তারা দরজা ভেঙ্গে স্কুলে প্রবেশ করে। শিক্ষার্থীদের পেটাতে থাকে। এমনকি পরিস্থিতি শান্ত করতে যাওয়া শিক্ষকরাও রক্ষা পান নি।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এক শিক্ষার্থীর ভাষ্য, ‘তারা আমাদের চুলের মুঠো ধরে টেনেছে। বাঁশের লাঠি দিয়ে পিঠিয়েছে। লাথি দিয়েছে। ঘুষি মেরেছে। আমাদের হাতে কিছুই ছিল না যে আত্মরক্ষা করবো। আমার অনেক বান্ধবীকে মাটিতে পড়ে যন্ত্রণায় কাঁদতে দেখেছি।’
ওই স্কুলের একজন কর্মচারি জানান, ১৫ জনের মতো নারী-পুরুষ ওই ছাত্রীদেরকে বেত আর রড দিয়ে পেটাচ্ছিল।
তবে রোববারই স্থানীয় বাসিন্দারা ছাত্রীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাস্তায় নামে। এছাড়া জাতীয়ভাবে পরিচিত অনেক ব্যক্তিও আহ্বান জানাচ্ছেন, রাজ্য-পরিচালিত স্কুলে পড়াশোনারত মেয়েদের সুরক্ষা দিতে হবে।
এদিকে দাবি উঠেছে যে, এর আগেও যখন স্থানীয় কিশোরদের দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে মেয়েরা তখন পুলিশের কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ তখন কিছুই করেনি। পুলিশ এখন বলছে যে, এই দাবিও তদন্ত করা হবে।
প্রসঙ্গত, যৌন সহিংসতার ইস্যু বিহারের বড় একটি রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। এ বছর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের অন্যতম দরিদ্রতম রাজ্যেটির একটি শিশু কেয়ার হোমে কয়েক ডজন মেয়ে ধর্ষিত হয়েছে।
পুলিশ সন্দেহ করছে, ১০-১৬ বছর বয়সী ওই মেয়েদের ওপর ওই হামলায় আরও ৮-১০ জন জড়িত ছিল। সোমবার পুলিশ জানিয়েছে, অনেক আহত স্কুলছাত্রী এখনও হাসপাতালে ভর্তি আছে।
ত্রিবেণীগঞ্জের ওই বোর্ডিং স্কুলের ছাত্রীরা শনিবার তাদের নির্ধারিত মাঠে খেলাধুলা করছিল। এক পর্যায়ে তারা সেখানে ঢুকে পড়া একদল ছেলেকে দেখতে পায়। তাদেরকে তারা সেখান থেকে চলে যেতে বলে। কিন্তু ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার বদলে ওই ছেলেরা ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে নোংরা কথা বলতে থাকে। তখনই পালটা জবাব দেয় মেয়েরা। রাগান্বিত কিছু মেয়ে তাদেরকে চড়ও মারে। এরপর ছেলেরা চলে যায়।
পুলিশ জানায়, এরপরই একদল ছেলে তাদের পিতামাতা ও স্থানীয়দের নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয়। এদের হাতে বাঁশের লাঠি আর রড ছিল। তারা দরজা ভেঙ্গে স্কুলে প্রবেশ করে। শিক্ষার্থীদের পেটাতে থাকে। এমনকি পরিস্থিতি শান্ত করতে যাওয়া শিক্ষকরাও রক্ষা পান নি।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এক শিক্ষার্থীর ভাষ্য, ‘তারা আমাদের চুলের মুঠো ধরে টেনেছে। বাঁশের লাঠি দিয়ে পিঠিয়েছে। লাথি দিয়েছে। ঘুষি মেরেছে। আমাদের হাতে কিছুই ছিল না যে আত্মরক্ষা করবো। আমার অনেক বান্ধবীকে মাটিতে পড়ে যন্ত্রণায় কাঁদতে দেখেছি।’
ওই স্কুলের একজন কর্মচারি জানান, ১৫ জনের মতো নারী-পুরুষ ওই ছাত্রীদেরকে বেত আর রড দিয়ে পেটাচ্ছিল।
তবে রোববারই স্থানীয় বাসিন্দারা ছাত্রীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাস্তায় নামে। এছাড়া জাতীয়ভাবে পরিচিত অনেক ব্যক্তিও আহ্বান জানাচ্ছেন, রাজ্য-পরিচালিত স্কুলে পড়াশোনারত মেয়েদের সুরক্ষা দিতে হবে।
এদিকে দাবি উঠেছে যে, এর আগেও যখন স্থানীয় কিশোরদের দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে মেয়েরা তখন পুলিশের কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ তখন কিছুই করেনি। পুলিশ এখন বলছে যে, এই দাবিও তদন্ত করা হবে।
প্রসঙ্গত, যৌন সহিংসতার ইস্যু বিহারের বড় একটি রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। এ বছর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের অন্যতম দরিদ্রতম রাজ্যেটির একটি শিশু কেয়ার হোমে কয়েক ডজন মেয়ে ধর্ষিত হয়েছে।