ভারত
ভারতে নির্বাচনের দামামা বেজেছে
কলকাতা প্রতিনিধি
৭ অক্টোবর ২০১৮, রবিবার, ১১:১৪ পূর্বাহ্ন
আগামী বছরের এপ্রিল-মে মাসে ভারতে লোকসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। তার আগে ৫টি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণার মধ্য দিয়ে নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণ নির্বাচনের আগে এই ৫ রাজ্যের ৬৭৯টি আসনের নির্বাচন এক অর্থে শাসক ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির কাছে সেমিফাইনালের সমান। এই নির্বাচনই ইঙ্গিত দিতে চলেছে ভারতে আগামী ৫ বছর মোদি সরকারই কায়েম থাকবে নাকি বিকল্প জোটের ক্ষমতায় আসা নিশ্চিত হবে। শনিবার ভারতের নির্বাচন কমিশন দেশটির ৫টি রাজ্যের বিধানসভার দিন ঘোষণা করেছে। রাজস্থান (২০০ টি আসন), মধ্যপ্রদেশ(২৩০ টি আসন), ছত্তিশগড়(৯০ টি আসন) ও মিজোরামে(৪০ টি আসন) বিধানসভার মেয়াদ এ বছরের ডিসেম্বরে শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। তাই এই চার রাজ্যে নির্বাচন হওয়া জরুরি ছিল। অন্যদিকে তেলেঙ্গানা(১১৯ টি আসন) রাজ্যে বিধানসভা গত মাসেই ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। তাই চার রাজ্যের সঙ্গে তেলেঙ্গানা রাজ্যেরও নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। দেশটির মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ওমপ্রকাশ রাওয়াত সাংবাদিকদের বলেছেন, ছত্তিশগড়ে দুই দফায় নির্বাচন হবে। প্রথম দফায় রাজ্যটির ১৮টি বিধানসভার আসনে নির্বাচন হবে ১২ নভেম্বর এবং দ্বিতীয় দফায় ৭২টি আসনে নির্বাচন হবে ২০ নভেম্বর। অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশ ও মিজোরামে ২৮ নভেম্বর একই দিনে নির্বাচন হবে। আর রাজস্থান ও তেলেঙ্গানায় নির্বাচন হবে ৭ ডিসেম্বর। ৫ রাজ্যের নির্বাচন শেষ হবার পর ভোট গণনা হবে ১১ ডিসেম্বর। ৬টি রাজ্যের মধ্যে মধ্যপ্রদেশে, রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে রয়েছে বিজেপির সরকার। তেলেঙ্গানায় ক্ষমতায় তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি। একমাত্র মিজোরামে কংগ্রেস ক্ষমতায়। এই ৫ রাজ্যের নির্বাচনকে ঘিরে শাসক ও বিরোধী শিবিরের মধ্যে জোরদার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। বিজেপি এই নির্বাচনের আগে নানা প্রকল্পের ঘোষণা করে ভোটারদের খুশি করতে চাইছে বলে বিরোধীরা অভিযোগ করেছে। তবে জ্বালানি তেলের দামের অব্যাহত বৃদ্ধি এবং শেয়ার বাজারে ধারাবাহিক পতনের ধাক্কায় সরকার বেশ খানিকটা অস্বস্তিতে রয়েছে বলে বিশ্লেষকদের ধারনা। এই নির্বাচন থেকেই বিদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিতাড়নের ইস্যুকে বিজেপি প্রধান হাতিয়ার করতে চলেছে। অন্যদিকে বিরোধী জোট এখনও দানা বাঁধেনি। বরং বহুজন সমাজ পার্টির নেত্রী মায়াবতী এই বিধানসভা নির্বাচনে এককভাবে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে বিরোধী জোটে ফাটল ধরিয়ে দিয়েছেন। তবে বিভিন্ন সমীক্ষায় কংগ্রেসের জনসমর্থন বৃদ্ধির যে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে তাতে হিন্দি বলয়ে বিজেপির সঙ্গে মূল লড়াই হবে কংগ্রেসের।