বিশ্বজমিন
‘গাজা এখন যুদ্ধের খুব কাছাকাছি’
মানবজমিন ডেস্ক
৬ অক্টোবর ২০১৮, শনিবার, ২:৫৭ পূর্বাহ্ন
ইসরাইল এবং হামাস দু’পক্ষই যদি এই মুহূর্তে একটি বিষয়ে একমত হতে চায় তাহলে তা হবে যুদ্ধ। কারণ, গাজা এখন যুদ্ধের খুব কাছাকাছি রয়েছে। কমপক্ষে চার বছর আগে যেমন একটি যুদ্ধ শেষ হয়েছে ঠিক একই রকম যুদ্ধের খুব কাছে এই ফিলিস্তিনি ভূখন্ড। এক সাক্ষাতকারে এমনটা বলেছেন গাজায় যোদ্ধাগোষ্ঠী হামাসের নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার। তিনি ইসরাইলি দৈনিক পত্রিকা ইয়েডিওট আহরোনোত’কে দেয়া সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেন। তিনি ওই সাক্ষাতকারে বলেছেন, যদি আরেকটি যুদ্ধ শুরু হয় তাহলে তা হবে সবচেয়ে ভয়াবহ। তৃতীয় যুদ্ধ, দ্বিতীয় যুদ্ধ বা প্রথম যুদ্ধ যেভাবে শেষ হয়েছিল এবার তেমনটা হবে না। ইসরাইলি ওই পত্রিকার পক্ষে সাক্ষাতকারটি নেন সাংবাদিক ফ্রানেসেস্কা বোরি। এতে ইয়াহিয়া সিনওয়ার বলেন, নতুন করে যদি যুদ্ধ শুরু হয় তা কারো স্বার্থে যাবে না।
২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে গাজায় হামাসের নেতার দায়িত্ব পান সিনওয়ার। তারপর বিদেশী, বিশেষ করে অনারবীয় ভাষার কোনো মিডিয়াকে দেয়া এটাই তার প্রথম পূর্ণাঙ্গ সাক্ষাতকার। এ সময়ে তিনি বিস্তৃত ইস্যুতে কথা বলেন। তার ওই সাক্ষাতকারটি একই সঙ্গে প্রকাশিত হয়েছে ইতালির দৈনিক পত্রিকা লা রিপাবলিকা’তে। এতে তিনি রকেট হামলা থেকে শুরু করে গাজা-ইসরাইল সীমান্ত বেড়া বরাবর বিক্ষোভ, শান্তি প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়বদ্ধতা নিয়ে আলোচনা করেন সিনওয়ার। গাজায় সাপ্তাহিক বিক্ষোভের সময় যে লড়াই হয় তাতে এ পর্যন্ত কয়েক লাখ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গত মার্চে নতুন করে শুরু হওয়া উত্তেজনা ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে সেখানে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে, এ লড়াইয়ে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ২০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইলের সেনারা। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। তবে ইসরাইলের বক্তব্য এক্ষেত্রে ভিন্ন। তারা বলে, তারা নিজেদের দেশের সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করতে কাজ করছে। এক্ষেত্রে জুলাইয়ের একটি ঘটনার কথা তুলে ধরে তারা। বলে, ওই সময় গাজার ‘সন্ত্রাসীরা’ গুলি করে তাদের একজন সেনা সদস্যকে হত্যা করেছে। গত দু’তিন মাস ধরে গাজা থেকে ইসরাইলের দিকে রকেট ছুটতে দেখা যায় হামাস সদস্যদের। আর বিমান হামলা চালিয়ে এর জবাব দিয়েছে ইসরাইল। ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে মিশর ও জাতিসংঘ। কিন্তু তারাও এ বিষয়ে অনেকটা নীরব। কোনো বড় ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে না কাউকে।
ইসরাইলের সেনারা বলেছে, নীরব থাকলে তারাও নীরব থাকবে। যদি হামাস গাজায় বিক্ষোভ বন্ধ করে, রকেট না ছোড়ে ইসরাইলের দিকে তাহলে তারাও গাজায় কোনো আক্রমণ চালাবে না। তবে সিনওয়ার বলেন, তিনি এমন যুক্তির সঙ্গে একমত। কিন্তু নীরব থাকার বিভিন্ন রকম সংজ্ঞা আছে। ২০০৭ সালে গাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে হামাস। তার পর থেকে সেখানে অবরোধ আরোপ করেছে ইসরাইল ও মিশর। নিরাপত্তার অজুহাতে এমনটা করা হয়েছে। ফলে বর্তমানে গাজায় বসবাসকারীদের ওষুধপত্র, পানিয় জল, বিদ্যুতের মারাত্মক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সারাদিনে সেখানে মাত্র চার ঘন্টা বিদ্যুত থাকে। দীর্ঘস্থায়ী স্বস্তি ফেরাতে হলে বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর জোর দেন সিনওয়ার। বলেন, উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। মানুষের সুযোগ বাড়াতে হবে। তা হবে কাজের সুযোগ, পড়াশোনার সুযোগ ও বিদেশে যাওয়ার সুযোগ।
সিনওয়ার বলেন, রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান কোনোদিন সামরিক সমাধানের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয় না। গাজার হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে নতুন অস্ত্রবিরতি চুক্তি হতে পারে শুধুই একটি রাজনৈতিক সমাধান। এ সময় তিনি মিডিয়ার ওপর ক্ষোভ ঝারেন। সিনওয়ার বলেন, গাজায় সাম্প্রতিক রক্তপাত এ অঞ্চলকে আবার সংবাদ শিরোনাম বানিয়েছে। এক্ষেত্রে মিডিয়া কভারেজকেও দায়ী করা যায়। তিনি বলেন, যখনই রক্তপাত হয় তখনই আমরা সংবাদ হই। রক্তপাত না হলে আমাদেরকে নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশিত হয় না। যদি রক্তপাত নেই তো খবরও নেই।
২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে গাজায় হামাসের নেতার দায়িত্ব পান সিনওয়ার। তারপর বিদেশী, বিশেষ করে অনারবীয় ভাষার কোনো মিডিয়াকে দেয়া এটাই তার প্রথম পূর্ণাঙ্গ সাক্ষাতকার। এ সময়ে তিনি বিস্তৃত ইস্যুতে কথা বলেন। তার ওই সাক্ষাতকারটি একই সঙ্গে প্রকাশিত হয়েছে ইতালির দৈনিক পত্রিকা লা রিপাবলিকা’তে। এতে তিনি রকেট হামলা থেকে শুরু করে গাজা-ইসরাইল সীমান্ত বেড়া বরাবর বিক্ষোভ, শান্তি প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়বদ্ধতা নিয়ে আলোচনা করেন সিনওয়ার। গাজায় সাপ্তাহিক বিক্ষোভের সময় যে লড়াই হয় তাতে এ পর্যন্ত কয়েক লাখ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গত মার্চে নতুন করে শুরু হওয়া উত্তেজনা ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে সেখানে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে, এ লড়াইয়ে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ২০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইলের সেনারা। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। তবে ইসরাইলের বক্তব্য এক্ষেত্রে ভিন্ন। তারা বলে, তারা নিজেদের দেশের সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করতে কাজ করছে। এক্ষেত্রে জুলাইয়ের একটি ঘটনার কথা তুলে ধরে তারা। বলে, ওই সময় গাজার ‘সন্ত্রাসীরা’ গুলি করে তাদের একজন সেনা সদস্যকে হত্যা করেছে। গত দু’তিন মাস ধরে গাজা থেকে ইসরাইলের দিকে রকেট ছুটতে দেখা যায় হামাস সদস্যদের। আর বিমান হামলা চালিয়ে এর জবাব দিয়েছে ইসরাইল। ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে মিশর ও জাতিসংঘ। কিন্তু তারাও এ বিষয়ে অনেকটা নীরব। কোনো বড় ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে না কাউকে।
ইসরাইলের সেনারা বলেছে, নীরব থাকলে তারাও নীরব থাকবে। যদি হামাস গাজায় বিক্ষোভ বন্ধ করে, রকেট না ছোড়ে ইসরাইলের দিকে তাহলে তারাও গাজায় কোনো আক্রমণ চালাবে না। তবে সিনওয়ার বলেন, তিনি এমন যুক্তির সঙ্গে একমত। কিন্তু নীরব থাকার বিভিন্ন রকম সংজ্ঞা আছে। ২০০৭ সালে গাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে হামাস। তার পর থেকে সেখানে অবরোধ আরোপ করেছে ইসরাইল ও মিশর। নিরাপত্তার অজুহাতে এমনটা করা হয়েছে। ফলে বর্তমানে গাজায় বসবাসকারীদের ওষুধপত্র, পানিয় জল, বিদ্যুতের মারাত্মক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সারাদিনে সেখানে মাত্র চার ঘন্টা বিদ্যুত থাকে। দীর্ঘস্থায়ী স্বস্তি ফেরাতে হলে বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর জোর দেন সিনওয়ার। বলেন, উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। মানুষের সুযোগ বাড়াতে হবে। তা হবে কাজের সুযোগ, পড়াশোনার সুযোগ ও বিদেশে যাওয়ার সুযোগ।
সিনওয়ার বলেন, রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান কোনোদিন সামরিক সমাধানের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয় না। গাজার হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে নতুন অস্ত্রবিরতি চুক্তি হতে পারে শুধুই একটি রাজনৈতিক সমাধান। এ সময় তিনি মিডিয়ার ওপর ক্ষোভ ঝারেন। সিনওয়ার বলেন, গাজায় সাম্প্রতিক রক্তপাত এ অঞ্চলকে আবার সংবাদ শিরোনাম বানিয়েছে। এক্ষেত্রে মিডিয়া কভারেজকেও দায়ী করা যায়। তিনি বলেন, যখনই রক্তপাত হয় তখনই আমরা সংবাদ হই। রক্তপাত না হলে আমাদেরকে নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশিত হয় না। যদি রক্তপাত নেই তো খবরও নেই।