চীনের বিরুদ্ধে আবারো মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ

মার্কিন মধ্যবর্তী নির্বাচনে চীন হস্তক্ষেপ করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে আবারো অভিযোগ তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের চীনবিদ্বেষী বাণিজ্যনীতির কারণেই দেশটি এ ধরনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তবে, পেন্সের এ অভিযোগকে হাস্যকর আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছে চীন। এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
খবরে বলা হয়, বৃহসপতিবার মাইক পেন্স চীনের বিরুদ্ধে মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেন। পেন্স বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের চীন-বিরোধী বাণিজ্য নীতির কারণেই বেইজিং এ নির্বাচনে হস্তক্ষেপের চেষ্টা চালাচ্ছে। বেইজিংয়ের এ ধরনের কার্যকলাপ প্রমাণ করছে যে তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে অন্য কাউকে দেখতে চায়। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পও একই অভিযোগ তুলেছিলেন। পাল্টা জবাবে পেন্সের এ বক্তব্য হাস্যকর আখ্যা দিয়েছে চীন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং বলেন, পেন্সের এ ভিত্তিহীন অভিযোগের প্রতিবাদ জানাচ্ছে বেইজিং। আর যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানানো হচ্ছে এ ধরনের ভিত্তিহীন মন্তব্য করে এ দুই পরাশক্তির মধ্যবর্তী সমপর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করবেন না। তিনি বলেন, শোনা কথাকে প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করে মন্তব্য করার কিছু নেই। এটা শুধু বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। চীন হলো বিশ্বে শান্তির প্রতিষ্ঠাতা। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার কোনো আগ্রহ চীনের নেই। তিনি আরো বলেন, আন্তর্জাতিক মহলের কাছে এখন বিষয়টি পুরোপুরি পরিষ্কার যে কারা ইচ্ছাকৃতভাবে অন্যদের সার্বভৌমত্ব ও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে এবং অন্যদের স্বার্থে আঘাত হানে। প্রসঙ্গত, সমপ্রতি চীনা পণ্যের উপর ডনাল্ড ট্রামপ ২৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার শুল্ক আরোপ করেন। এর প্রেক্ষিতে বিশ্বের দুই বৃহৎ অর্থনীতির মধ্যকার সমপর্কে অবনতি হতে শুরু করেছে।