ভারত
প্রতিরক্ষা চুক্তির মাধ্যমে নতুন সমীকরণের পথে ভারত ও রাশিয়া
কলকাতা প্রতিনিধি
৫ অক্টোবর ২০১৮, শুক্রবার, ৮:১৫ পূর্বাহ্ন
আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে মজবুত করতে ভারত শুক্রবার রাশিয়ার সঙ্গে এস-৪০০ কেনার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সবরকম হুমকিকে অগ্রাহ্য করেই ভারত ৫০০ কোটি ডলারের এই চুক্তিস্বাক্ষর করেছে। কিছুদিন আগে চীনও রাশিয়ার এই এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্রয় করেছে। এদিন নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউসে প্রতিরক্ষা-সহ ২০টি বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করেছে ভারত।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ছাড়াও চুক্তির সময় উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী ইউরি বোরিসোভ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্জেই লাভরোভ, শিল্প-বাণিজ্য মন্ত্রী ডেনিস মান্তুরোভ।
চুক্তি স্বাক্ষরের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, নয়া সমীকরণের পথে এগোচ্ছে ভারত ও রাশিয়া। তিনি বলেন, কৌশলগত চুক্তির ক্ষেত্রে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হল। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে মস্কোকে সবসময় প্রাধান্য দিয়ে এসেছে নয়াদিল্লি। ভারতের উন্নয়নে সবসময় পাশে থেকেছে রাশিয়া। এদিন প্রতিরক্ষা, রেল, মহাকাশ ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে চুক্তি স্বাক্ষরের পর যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন দুই প্রধান।
সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ভারতের বিকাশের জন্য রাশিয়াকে প্রয়োজন। দুই দেশই মাল্টিল্যাটারালিজম বা জোটবদ্ধতায় বিশ্বাসী। সন্ত্রাসবাদ দমন, আবহাওয়া পরিবর্তন ইত্যাদি নানা আন্তর্জাতিক ইস্যুর ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা থাকা খুবই দরকার। এতে দুই দেশের স্বার্থ জড়িত। অন্যদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক স্তরে ভারতকে সবরকমের সাহায্য করবে রাশিয়া। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আরও গভীরে নিয়ে যেতে হবে।
বৃহষ্পতিবার দিল্লিতে পা দিয়েই পুতিন নরেন্দ্র মোদীর বাসভবন ৭ লোককল্যাণ মার্গে গিয়ে বৈঠক করেন। সেখানেই নৈশভোজের টেবিলে একান্তে কথাবার্তা হয়েছে দুজনের। রাশিয়ার নোভোসিবিরস্ক শহরে একটি ইন্ডিয়ান মনিটরিং স্টেশন তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা।
কূটনীতিক ও প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশ কয়েকটি কারণে রাশিয়ার কাছ থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার বিষয়টি জরুরি হয়ে পড়েছিল। কেননা, চীন ও পাকিস্তানের মোকাবিলায় এই ধরনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হাতে থাকা অপরিহার্য। অন্যদিকে, ভারত আমেরিকার দিকে ঝুঁকে পড়ায় উপমহাদেশে চীন, রাশিয়া ও পাকিস্তান একজোট হয়ে উঠেছিল। সেই সমীকরণ ভেঙে ফেলতেই রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বহু পুরনো সম্পর্ককে আরও মজবুত করার প্রয়োজনে এই চুক্তি করা হয়েছে বলে পর্যবেক্ষকদের অভিমত।
এ বছরে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনে ভারতের পূর্ণ সদস্য হওয়ার পিছনে সহযোগিতা ছিল রাশিয়ার। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হতে ভারতের দীর্ঘদিনের দাবিকেও সমর্থন করছে তারা। এনএসজিতে প্রবেশের প্রশ্নেও একই ভাবে ভারতের পাশে রয়েছে রাশিয়া। জানা গেছে, ভারতে কুড্ডাকুলামের পরে রাশিয়ার সহযোগিতায় দ্বিতীয় পরমাণু চুল্লি বসানোর বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। ২০২২ সালে ভারতের মহাকাশ অভিযানেও সাহায্য করবে মস্কো। কথা হয়েছে বাণিজ্য বৃদ্ধি নিয়েও।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ছাড়াও চুক্তির সময় উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী ইউরি বোরিসোভ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্জেই লাভরোভ, শিল্প-বাণিজ্য মন্ত্রী ডেনিস মান্তুরোভ।
চুক্তি স্বাক্ষরের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, নয়া সমীকরণের পথে এগোচ্ছে ভারত ও রাশিয়া। তিনি বলেন, কৌশলগত চুক্তির ক্ষেত্রে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হল। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে মস্কোকে সবসময় প্রাধান্য দিয়ে এসেছে নয়াদিল্লি। ভারতের উন্নয়নে সবসময় পাশে থেকেছে রাশিয়া। এদিন প্রতিরক্ষা, রেল, মহাকাশ ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে চুক্তি স্বাক্ষরের পর যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন দুই প্রধান।
সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ভারতের বিকাশের জন্য রাশিয়াকে প্রয়োজন। দুই দেশই মাল্টিল্যাটারালিজম বা জোটবদ্ধতায় বিশ্বাসী। সন্ত্রাসবাদ দমন, আবহাওয়া পরিবর্তন ইত্যাদি নানা আন্তর্জাতিক ইস্যুর ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা থাকা খুবই দরকার। এতে দুই দেশের স্বার্থ জড়িত। অন্যদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক স্তরে ভারতকে সবরকমের সাহায্য করবে রাশিয়া। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আরও গভীরে নিয়ে যেতে হবে।
বৃহষ্পতিবার দিল্লিতে পা দিয়েই পুতিন নরেন্দ্র মোদীর বাসভবন ৭ লোককল্যাণ মার্গে গিয়ে বৈঠক করেন। সেখানেই নৈশভোজের টেবিলে একান্তে কথাবার্তা হয়েছে দুজনের। রাশিয়ার নোভোসিবিরস্ক শহরে একটি ইন্ডিয়ান মনিটরিং স্টেশন তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা।
কূটনীতিক ও প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশ কয়েকটি কারণে রাশিয়ার কাছ থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার বিষয়টি জরুরি হয়ে পড়েছিল। কেননা, চীন ও পাকিস্তানের মোকাবিলায় এই ধরনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হাতে থাকা অপরিহার্য। অন্যদিকে, ভারত আমেরিকার দিকে ঝুঁকে পড়ায় উপমহাদেশে চীন, রাশিয়া ও পাকিস্তান একজোট হয়ে উঠেছিল। সেই সমীকরণ ভেঙে ফেলতেই রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বহু পুরনো সম্পর্ককে আরও মজবুত করার প্রয়োজনে এই চুক্তি করা হয়েছে বলে পর্যবেক্ষকদের অভিমত।
এ বছরে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনে ভারতের পূর্ণ সদস্য হওয়ার পিছনে সহযোগিতা ছিল রাশিয়ার। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হতে ভারতের দীর্ঘদিনের দাবিকেও সমর্থন করছে তারা। এনএসজিতে প্রবেশের প্রশ্নেও একই ভাবে ভারতের পাশে রয়েছে রাশিয়া। জানা গেছে, ভারতে কুড্ডাকুলামের পরে রাশিয়ার সহযোগিতায় দ্বিতীয় পরমাণু চুল্লি বসানোর বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। ২০২২ সালে ভারতের মহাকাশ অভিযানেও সাহায্য করবে মস্কো। কথা হয়েছে বাণিজ্য বৃদ্ধি নিয়েও।