খেলা
‘বিপদের বন্ধু’ মাহমুদুল্লাহ
স্পোর্টস রিপোর্টার
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, মঙ্গলবার, ৯:৪০ পূর্বাহ্ন
২০০৭-এ অভিষেক। ব্যাটে প্রথম ফিফটি ২০০৯-এ। এর মাঝে খেলেন ২৬ ওয়ানডে। পরিসংখ্যানটা খুব সাদামাটা মনে হলেও পরিস্থিতি বলছে ভিন্ন কথা। সেদিন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ফিফটি না পেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয় আসতো না। তা না হলে হতো না- প্রথমবার বিদেশের মাটিতে কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশকে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করার রেকর্ডও। সেবার ১৩৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছিল দল। ছয়ে নেমে শুরুতে মুশফিকের সঙ্গে ৫০ পরে নাঈম ইসলামকে নিয়ে ৪৯ রানের জুটি গড়ে জয় ছিনিয়ে আনেন। সেই থেকে দলের লেজের ভরসা তিনি। এরপর অনেক চড়াই-উৎরাই দেখেছেন রিয়াদ। ২০১৪-তে এতটাই ব্যর্থ যে বলাবলি শুরু হয়েছিল অধিনায়ক ও ভায়রা মুশফিকের জোরে দলে খেলেন তিনি।
হয়তো আঁধারে চোখ মুছে সয়েছেন সেই অপবাদ। তবে ঠিক সময়ে জবাব দিয়েছেন ২০১৫’র ওয়ানডে বিশ্বকাপে। অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচজয়ী সেই ১০৩ রানের ইনিংস তার ক্যারিয়ারেই নয় বিশ্বকাপের আসরে প্রথম কোনো বাংলাদেশির সেঞ্চুরিও। পরের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পান দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
তার তৃতীয় সেঞ্চুরি কার্ডিফে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। ৩৩ রানে চার উইকেট পতনের পর দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন সাকিবের সঙ্গে রেকর্ডগড়া জুটি বেঁধে। সব শেষ রোববার খেলেন ৭৪ রানের ইনিংস আফগানদের বিপক্ষে। তার ব্যাটেই দল জয়ের পুঁজি পায়। বলতে গেলে মিডল অর্ডার থেকে সাত নম্বরে দলের ‘বিপদের বন্ধু’ এখন ১৬০ ম্যাচ খেলা রিয়াদ।
রোববার ব্যাটে-বলে-ফিল্ডিংয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে আফগানদের বিপক্ষে ৩ রানের নাটকীয় জয়ের অন্যতম নায়ক মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ। তার লড়াইয়ের কারণে দল ২৫০ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিতে পেরেছিল। কিন্তু ম্যাচ শেষে দলের জয়ে তিনি নিজের চেয়ে অন্যদের কৃতিত্ব দিতে ভুললেন না। বিশেষ করে বোলার মোস্তাফিজুর রহমানের। তিনি বলেন, ‘আজ (রোববার) অনেক গরম ছিল। আমি কিছুটা পানিশূন্যতায় ভুগেছি। তবে শেষটা ভালো হয়েছে। মোস্তাফিজকে কৃতিত্ব দিতে হবে। শেষ ওভারে সে যখন বল করতে আসে, তখন আফগানিস্তানের মারকুটে দুই ব্যাটসম্যান ক্রিজে ছিলেন। পরের দিকের ব্যাটসম্যানরাও বিধ্বংসী ছিল। তারা চাপকে জয় করতে পারে। শেষ পর্যন্ত আমরাই চাপকে জয় করেছি। তার প্রচেষ্টাতেই সম্ভব হয়েছে।’
আফগানদের বিপক্ষে এশিয়া কাপে টিকে থাকার লড়াইয়ে দল ৫ উইকেটে হারিয়েছিল ৮৭ রানে। সেখান থেকে ইমরুলকে নিয়ে গড়ে তোলেন দেশের ৬ষ্ঠ উইকেটে রেকর্ড জুটি। আবার বদল হাতেও মাত্র ৫ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে শিকার করেছেন মোহাম্মদ শাহজাদের মূল্যবান উইকেট। দলের জন্য নিজের ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন, ‘দলে অবদান রাখতে পারলে সবসময়ই ভালো লাগে।
ইমরুলের সঙ্গে আমার ভালো একটা জুটি হয়েছে। আমরা শেষ করে আসতে চেয়েছি। তবে আমাদের বোলাররা শেষ পর্যন্ত আফগানদের আটকে ফেলতে পেরেছে। ফাইনালে যেতে আমাদের এখন পাকিস্তানের বিপক্ষে জিততেই হবে।’ সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে পাকিস্তনের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। জিততে পারলেই ভারতের সঙ্গে আরেকটি ফাইনাল ফের দেখা হবে টাইগাররা।
অন্যদিকে মাহমুদুল্লাহর পরিবর্তে ৬ ও ৭ নাম্বার পজিশনে অনেককে চেষ্টা করা হয়েছে। এর মধ্যে সাব্বির রহমান অন্যতম। কিন্তু এ তরুণ একের পর এক সুযোগ পেলেও এখনো হতে পারেননি দলের ভরসা। এবারের এশিয়া কাপে তো জয়গাই হয়নি তার। মূলত এ এশিয়া কাপ থেকেই শুরু হয়ে গেছে টাইগারদের ২০১৯ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি। যেখানে মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, মুফিকুর রহীম, মাহমুদুল্লাহর মতো সিনিয়রই নয়, ভূমিকা রাখতে হবে তরুণদেরও। কিন্তু মাহমুদুল্লাহর জায়গা নিতে পারেন, এখনো কোনো তরুণ নিজেকে তেমন আলোতে আনতে পারেননি। তবে রিয়াদের দেখানো পথে কেউ না কেউ আসবেন এটি বিশ্বাস টাইগারভক্তদের। কারণ মাহমুদুল্লাহও এক সময় হারিয়ে যেতে যেতে এখন দেশের ভরসা।
হয়তো আঁধারে চোখ মুছে সয়েছেন সেই অপবাদ। তবে ঠিক সময়ে জবাব দিয়েছেন ২০১৫’র ওয়ানডে বিশ্বকাপে। অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচজয়ী সেই ১০৩ রানের ইনিংস তার ক্যারিয়ারেই নয় বিশ্বকাপের আসরে প্রথম কোনো বাংলাদেশির সেঞ্চুরিও। পরের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পান দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
তার তৃতীয় সেঞ্চুরি কার্ডিফে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। ৩৩ রানে চার উইকেট পতনের পর দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন সাকিবের সঙ্গে রেকর্ডগড়া জুটি বেঁধে। সব শেষ রোববার খেলেন ৭৪ রানের ইনিংস আফগানদের বিপক্ষে। তার ব্যাটেই দল জয়ের পুঁজি পায়। বলতে গেলে মিডল অর্ডার থেকে সাত নম্বরে দলের ‘বিপদের বন্ধু’ এখন ১৬০ ম্যাচ খেলা রিয়াদ।
রোববার ব্যাটে-বলে-ফিল্ডিংয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে আফগানদের বিপক্ষে ৩ রানের নাটকীয় জয়ের অন্যতম নায়ক মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ। তার লড়াইয়ের কারণে দল ২৫০ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিতে পেরেছিল। কিন্তু ম্যাচ শেষে দলের জয়ে তিনি নিজের চেয়ে অন্যদের কৃতিত্ব দিতে ভুললেন না। বিশেষ করে বোলার মোস্তাফিজুর রহমানের। তিনি বলেন, ‘আজ (রোববার) অনেক গরম ছিল। আমি কিছুটা পানিশূন্যতায় ভুগেছি। তবে শেষটা ভালো হয়েছে। মোস্তাফিজকে কৃতিত্ব দিতে হবে। শেষ ওভারে সে যখন বল করতে আসে, তখন আফগানিস্তানের মারকুটে দুই ব্যাটসম্যান ক্রিজে ছিলেন। পরের দিকের ব্যাটসম্যানরাও বিধ্বংসী ছিল। তারা চাপকে জয় করতে পারে। শেষ পর্যন্ত আমরাই চাপকে জয় করেছি। তার প্রচেষ্টাতেই সম্ভব হয়েছে।’
আফগানদের বিপক্ষে এশিয়া কাপে টিকে থাকার লড়াইয়ে দল ৫ উইকেটে হারিয়েছিল ৮৭ রানে। সেখান থেকে ইমরুলকে নিয়ে গড়ে তোলেন দেশের ৬ষ্ঠ উইকেটে রেকর্ড জুটি। আবার বদল হাতেও মাত্র ৫ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে শিকার করেছেন মোহাম্মদ শাহজাদের মূল্যবান উইকেট। দলের জন্য নিজের ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন, ‘দলে অবদান রাখতে পারলে সবসময়ই ভালো লাগে।
ইমরুলের সঙ্গে আমার ভালো একটা জুটি হয়েছে। আমরা শেষ করে আসতে চেয়েছি। তবে আমাদের বোলাররা শেষ পর্যন্ত আফগানদের আটকে ফেলতে পেরেছে। ফাইনালে যেতে আমাদের এখন পাকিস্তানের বিপক্ষে জিততেই হবে।’ সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে পাকিস্তনের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। জিততে পারলেই ভারতের সঙ্গে আরেকটি ফাইনাল ফের দেখা হবে টাইগাররা।
অন্যদিকে মাহমুদুল্লাহর পরিবর্তে ৬ ও ৭ নাম্বার পজিশনে অনেককে চেষ্টা করা হয়েছে। এর মধ্যে সাব্বির রহমান অন্যতম। কিন্তু এ তরুণ একের পর এক সুযোগ পেলেও এখনো হতে পারেননি দলের ভরসা। এবারের এশিয়া কাপে তো জয়গাই হয়নি তার। মূলত এ এশিয়া কাপ থেকেই শুরু হয়ে গেছে টাইগারদের ২০১৯ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি। যেখানে মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, মুফিকুর রহীম, মাহমুদুল্লাহর মতো সিনিয়রই নয়, ভূমিকা রাখতে হবে তরুণদেরও। কিন্তু মাহমুদুল্লাহর জায়গা নিতে পারেন, এখনো কোনো তরুণ নিজেকে তেমন আলোতে আনতে পারেননি। তবে রিয়াদের দেখানো পথে কেউ না কেউ আসবেন এটি বিশ্বাস টাইগারভক্তদের। কারণ মাহমুদুল্লাহও এক সময় হারিয়ে যেতে যেতে এখন দেশের ভরসা।