বিশ্বজমিন

ধর্ষিত হয়েছিলেন রিগ্যান কন্যা!

মানবজমিন ডেস্ক

২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, রবিবার, ১২:৪০ অপরাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান ও ফার্স্টলেডি ন্যান্সি রিগ্যানের মেয়ে প্যাটি ডেভিসও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। ওয়াশিংটন পোস্টে নিজের লেখা এক প্রবন্ধে তিনি এ স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। এতে তিনি যা বলেছেন, তা শুধু যৌন নির্যাতনই নয়, পুরোপুরি ধর্ষিত হয়েছিলেন তিনি। বলেছেন, এখন থেকে ৪০ বছর আগে সুপরিচিত একজন মিউজিক এক্সিকিউটিভ তাকে যৌন নির্যাতন করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে সুপ্রিম কোর্টে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প মনোনয়ন দিয়েছেন বিচারক ব্রেট কাভানাকে। তার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন ক্রিস্টিন ব্লাসি ফোর্ড। ফোর্ডকে বৃহস্পতিবার সিনেটে শুনানিতে ডাকা হয়েছে। কেন ফোর্ডের মতো অন্যরা যৌন নির্যাতিত হয়ে পুরোপুরি মনে রাখতে পারেন না সে বিষয়টি জানিয়ে তিনি ওয়াশিংটন পোস্টে শুক্রবার একটি মতামত কলাম লিখেছেন। এর শিরোনাম ‘আই ওয়াজ সেক্সুয়ালি অ্যাসল্টেড। হেয়ার ইজ হোয়াই আই ডোন্ট রিমেম্বার ম্যানি অব দ্য ডিটেইলস’। ডেভিস এতে বলেছেন, তিনি একটি গান লিখেছিলেন। সেই গানটি সঙ্গীত বিষয়ক বিখ্যাত গ্রুপ ঈগলসের ‘ওয়ান অব দিজ নাইটস’ অ্যালবামে প্রকাশিত হয়েছে ১৯৭৫ সালে। তখন সঙ্গীত জগতের একজন বিখ্যাত নির্বাহী বা এক্সিকিউটিভ তাকে যৌন নির্যাতন করেছিলেন। অনেকেই হয়তো এটাকে ধর্ষণ হিসেবে মনে করতে পারেন। ডেভিস ওই সময় একজন গীতিকার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ে তোলার জন্য উদগ্রীব ছিলেন। লিখেছেন, তিনি ওই এক্সিকিউটিভের সাক্ষাত পান তার অফিসে। তার এপয়েন্টমেন্ট তিনি পেয়েছিলেন কর্মদিবসের শেষের দিকে। এমন শিডিউল দেয়া সন্দেহজনক বলে মনে করেন ডেভিস। কি নিয়ে সেখানে তাদের মিটিং হয়েছিল তাও তিনি মনে করতে পারেন না। তবে ওই ব্যক্তির মুখাবয়ব, চুল, পোশাক তাকে অস্বস্তিতে ফেলেছিল। তা ছাড়া ওই নির্বাহী তাকে কোকেনের প্রস্তাবও করেছিলেন। ডেভিস লিখেছেন, এর পরে কি ঘটলো! তিনি রুমটির ভিতর এদিক ওদিক হাঁটতে লাগলেন। একটি গাঢ় নীল রঙের কার্পেট ছিল সেখানে। তা সত্ত্বেও তিনি যখন পা ফেলছিলেন তাতে বিকট শব্দ হচ্ছিল। আমার পিছনে গিয়ে দাঁড়ান তিনি। আমার ওপরে যেন উঠে দাঁড়ান। অতি দ্রুততার সঙ্গে তিনি তার হাত ঢুকিয়ে দেন আমার স্কার্টের নিচে। তার মুখ নামিয়ে আনেন আমার মুখের ওপর। এতে আমি যেন জমে যাই। আমাকে শুইয়ে দেয়া হলো। তারপর তিনি আমার শরীরের ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করলেন। আমার শরীরে তার আপত্তিকর অঙ্গ এসে উপস্থিতি জানান দিচ্ছে। আমি তার নিচে পড়েই চিৎকার করলাম। তার নিশ্বাসে কফির মতো ঘ্রাণ। তিনি কোনো কনডম ব্যবহার করেন নি। কিভাবে সেখান থেকে বেরিয়ে এলাম তা স্মরণ করতে পারি। গাড়ি চালিয়ে বাসায় এলাম। রাতটা আমি স্ট্রিটলাইটের দিকে তাকিয়ে এবং বারে রাতের খাবার খাওয়া জীবন্ত মানুষগুলো দেখে কাটালাম। নিজের কাছে নিজেকে নিঃসঙ্গ, লজ্জিত ও বিধ্বস্ত মনে হতে লাগলো। কেন আমি সেখান থেকে বেরিয়ে এলাম না? কেন আমি তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলাম না? কেন আমি জমে বরফের  মতো হয়ে গিয়েছিলাম? এটা কোন মাসের ঘটনা তা স্মরণ করতে পারছি না। যখন আমি তার অফিসে পৌঁছি তখন তার সহকারী সেখানে ছিল কিনা তাও স্মরণ করতে পারছি না। তার অফিস থেকে বেরিয়ে আসার সময় আমি তাকে কিছু বলেছিলাম কিনা তাও বলতে পারবো না।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status