এক্সক্লুসিভ
সিদ্ধিরগঞ্জে পোশাক শ্রমিকদের ৫ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ
স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, রবিবার, ৯:৩৫ পূর্বাহ্ন
সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেডে অবস্থিত সোয়াদ ফ্যাশন নামে রপ্তানিমুখী একটি পোশাক কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে ও বেতন-বোনাস পরিশোধের দাবিতে সড়ক অবরোধসহ বিক্ষোভ করেছে শ্রমিকরা। শনিবার সকালে ইপিজেড এলাকার প্রধান গেটের সামনে কয়েক হাজার শ্রমিক অবস্থান নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-আদমজী-চিটাগাং রোড সড়ক পাঁচ ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এতে সড়কটিতে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়। চরম ভোগান্তিতে পড়ে হাজার হাজার মানুষ।
শ্রমিকরা জানায়, প্রায় সাড়ে তিন হাজার শ্রমিক এই কারখানায় কর্মরত। তবে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের দুই মাসের বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাস, ছুটি ও ফান্ডের টাকা পরিশোধ না করেই শুক্রবার কারখানা বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়ে দেয়। শনিবার সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগদান করতে এসে কারখানা বন্ধ দেখতে পায়। তারা ইপিজেড কর্তৃপক্ষ বেপজাকে বিষয়টি জানালেও এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এতে শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ঢাকা-আদমজী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। সকাল সাড়ে নয়টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত টানা পাঁচ ঘণ্টা অবরোধের কারণে সড়কের দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ গিয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে শ্রমিকদের আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নেয়।
শ্রমিকদের অভিযোগ, পাওনা বেতন-ভাতা পরিশোধ না করায় বাসা ভাড়াসহ সংসার চালানো নিয়ে তাদের অনেক কষ্টে জীবন কাটাতে হচ্ছে। এছাড়া কারখানা বন্ধ করে দিলে নতুন করে চাকরি পাওয়াও অনিশ্চয়তার ব্যাপার। শ্রমিকরা অবিলম্বে তাদের পাওনা পরিশোধসহ কারখানা খুলে দেয়ার দাবি জানান।
সোয়াদ ফ্যাশনের কর্মরত শ্রমিক আরিফ হোসেন জানান, কর্তৃপক্ষ আমাদের না জানিয়ে হঠাৎ কারখানা বন্ধ করে দেয়। শুনতে পেরেছি মালিক অন্যত্র কারখানা বিক্রি করে দিয়েছে। একই সঙ্গে বিগত ৪ বছরের ছুটি, ফান্ড ও রিজার্ভের টাকাও আমাদের পরিশোধ করা হয়নি।
একই কারখানার শ্রমিক মো. সবুজ জানান, আমরা বেপজার কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করেছি। তারা বলছে, এ ব্যাপারে তারা কিছুই জানে না। অথচ এর আগে মালিকপক্ষ বেতন নিয়ে গড়িমসি করলে আমরা বেপজার কাছে গেলে কারখানা এই সমস্যা সমাধানের জন্য তারা আমাদের বিভিন্ন ধরনের আশ্বাস প্রদান করেন।
মোসা. বেগম জানান, আমাদের সম্পূর্ণ পাওনা পরিশোধ না করে কেন কর্তৃপক্ষ . হঠাৎ কাউকে কিছু না জানিয়ে কারখানা বন্ধ করে দিলো? আমরা ঘরভাড়া দেবো কোথা থেকে আর খাবার জোগাবো কোথা থেকে? এছাড়া আমরা এ মুহূর্তে কোথায় চাকরি পাবো? আমরা আমাদের পরিবার নিয়ে খুবই হতাশায় আছি। আমরা আমাদের সব পাওনা চাই। আমাদের ৪ মাস ১৩ দিনের সম্পূর্ণ বেতন দিতে হবে। এজন্য আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম জানান, কারখানাটির মালিকানা পরিবর্তনের কারণে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে শ্রমিকদের পাওনার বেতন পরিশোধের বিষয়ে শ্রমিক ও মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
ইন্ডস্ট্রিয়াল পুলিশের নারায়ণগঞ্জ জোনের পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, মালিকানা পরিবর্তনের কারণে নতুন মালিক কর্তৃপক্ষ শনিবার সকাল থেকে কারখানার বন্ধ করে লে-অফ ঘোষণা করে। কিন্তু শ্রমিকরা কাজে এসে কারখানা বন্ধ দেখে এবং বকেয়া পাওনার দাবিতে সড়ক অবরোধ করে। পরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ মালিকপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে আগামী ২২শে অক্টোবর বকেয়া পরিশোধের আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ তুলে নেন। তিনি জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ইপিজেড এলাকায় এখনো অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।
শ্রমিকরা জানায়, প্রায় সাড়ে তিন হাজার শ্রমিক এই কারখানায় কর্মরত। তবে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের দুই মাসের বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাস, ছুটি ও ফান্ডের টাকা পরিশোধ না করেই শুক্রবার কারখানা বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়ে দেয়। শনিবার সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগদান করতে এসে কারখানা বন্ধ দেখতে পায়। তারা ইপিজেড কর্তৃপক্ষ বেপজাকে বিষয়টি জানালেও এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এতে শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ঢাকা-আদমজী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। সকাল সাড়ে নয়টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত টানা পাঁচ ঘণ্টা অবরোধের কারণে সড়কের দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ গিয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে শ্রমিকদের আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নেয়।
শ্রমিকদের অভিযোগ, পাওনা বেতন-ভাতা পরিশোধ না করায় বাসা ভাড়াসহ সংসার চালানো নিয়ে তাদের অনেক কষ্টে জীবন কাটাতে হচ্ছে। এছাড়া কারখানা বন্ধ করে দিলে নতুন করে চাকরি পাওয়াও অনিশ্চয়তার ব্যাপার। শ্রমিকরা অবিলম্বে তাদের পাওনা পরিশোধসহ কারখানা খুলে দেয়ার দাবি জানান।
সোয়াদ ফ্যাশনের কর্মরত শ্রমিক আরিফ হোসেন জানান, কর্তৃপক্ষ আমাদের না জানিয়ে হঠাৎ কারখানা বন্ধ করে দেয়। শুনতে পেরেছি মালিক অন্যত্র কারখানা বিক্রি করে দিয়েছে। একই সঙ্গে বিগত ৪ বছরের ছুটি, ফান্ড ও রিজার্ভের টাকাও আমাদের পরিশোধ করা হয়নি।
একই কারখানার শ্রমিক মো. সবুজ জানান, আমরা বেপজার কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করেছি। তারা বলছে, এ ব্যাপারে তারা কিছুই জানে না। অথচ এর আগে মালিকপক্ষ বেতন নিয়ে গড়িমসি করলে আমরা বেপজার কাছে গেলে কারখানা এই সমস্যা সমাধানের জন্য তারা আমাদের বিভিন্ন ধরনের আশ্বাস প্রদান করেন।
মোসা. বেগম জানান, আমাদের সম্পূর্ণ পাওনা পরিশোধ না করে কেন কর্তৃপক্ষ . হঠাৎ কাউকে কিছু না জানিয়ে কারখানা বন্ধ করে দিলো? আমরা ঘরভাড়া দেবো কোথা থেকে আর খাবার জোগাবো কোথা থেকে? এছাড়া আমরা এ মুহূর্তে কোথায় চাকরি পাবো? আমরা আমাদের পরিবার নিয়ে খুবই হতাশায় আছি। আমরা আমাদের সব পাওনা চাই। আমাদের ৪ মাস ১৩ দিনের সম্পূর্ণ বেতন দিতে হবে। এজন্য আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম জানান, কারখানাটির মালিকানা পরিবর্তনের কারণে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে শ্রমিকদের পাওনার বেতন পরিশোধের বিষয়ে শ্রমিক ও মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
ইন্ডস্ট্রিয়াল পুলিশের নারায়ণগঞ্জ জোনের পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, মালিকানা পরিবর্তনের কারণে নতুন মালিক কর্তৃপক্ষ শনিবার সকাল থেকে কারখানার বন্ধ করে লে-অফ ঘোষণা করে। কিন্তু শ্রমিকরা কাজে এসে কারখানা বন্ধ দেখে এবং বকেয়া পাওনার দাবিতে সড়ক অবরোধ করে। পরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ মালিকপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে আগামী ২২শে অক্টোবর বকেয়া পরিশোধের আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ তুলে নেন। তিনি জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ইপিজেড এলাকায় এখনো অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।