বাংলারজমিন
বেগমগঞ্জে জমজমাট মাদক ব্যবসা
স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, শুক্রবার, ৯:৪৪ পূর্বাহ্ন
মাদক বিরোধী জোরালো অভিযানের মধ্যেও বেগমগঞ্জ উপজেলার পূর্বাঞ্চলে অপ্রতিরোধ্য গতিতে চলছে মাদক ব্যবসা। মাদক ব্যবসায়ীদের উৎপাতে আতঙ্কের মধ্যে দিনাতিপাত করছে এলাকাবাসী। যুবক শ্রেণিকে নিয়ে নিশ্চিত হয়ে পড়েছে অভিভাবক মহল। সম্প্রতি পূর্বাঞ্চলের চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী ছলিম ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হওয়ার পরও তার সহযোগীরা এখনো বেপরোয়া। এ অবস্থায় দ্রুত চিহ্নিত এসব মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা। জানা গেছে, দুর্গাপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের চুনিভূঁইয়া পোল এলাকার মৃত রহমত উল্যাহর পুত্র ছলিম উল্যাহ দীর্ঘদিন থেকে বেগমগঞ্জের পূর্বাঞ্চলে মাদক সম্রাজ্য গড়ে তোলে। ছলিম তার সহযোগী কুতুবপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিন, রসুলপুর গ্রামের চাঁদ মিয়া, দুর্গাপুরের সোহাগ, রসুলপুরের জমিদারহাট এলাকার ফারুক, দীনেশগঞ্জের নূর নবীকে দিয়ে পূর্বাঞ্চলের শুরেরগো পোল, দোকানঘর, দীনেশগঞ্জ, সেতুভাঙ্গা, জমিদারহাট, কাজীরহাটসহ বিভিন্ন স্থানে মদ, গাঁজা, ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক দ্রব্যের ব্যবসা চালিয়ে আসছে। মাদক ব্যবসা নিয়ে প্রায় সময় তাদের মধ্যে হামলা, সংঘর্ষ ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে এলাকার আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়। তাদের অত্যাচারে এলাকাবাসী আতঙ্কের মধ্যে দিনাতিপাত করছে। বর্তমানে ইয়াবায় সয়লাব হয়ে গেছে বেগমগঞ্জের পূর্বাঞ্চল। হাত বাড়ালেই যে কেউ পাচ্ছে মরণ নেশা ইয়াবা। ফলে যুব সমাজকে নিয়ে চিন্তিত ও উদ্বিগ্ন দিন কাটাচ্ছেন অভিভাবকরা। সম্প্রতি পুলিশের বিশেষ অভিযানে মাদক সম্রাট ও যুবলীগ নেতা ছলিম গ্রেপ্তার হলেও তার উল্লিখিত সাঙ্গপাঙ্গরা এখনো বেপরোয়া। তারা অপ্রতিরোধ্য গতিতে অনেকরা নির্বিঘ্ন্নেই তাদের ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসা চালিয়ে যচ্ছে। তাদের বর্তমানে প্রধান আস্তানা দীনেশগঞ্জ সৌদিয়া মার্কেটসহ আশপাশের এলাকা। এছাড়া শাসক দলের আদলে লক্ষ্মীনারায়ণপুরের পৈইক নেতা, দুর্গাপুরের হারুনসহ সংঘবদ্ধ বাহিনী ক্রসফায়ারের আদেশের পর এখন আরো বেপরোয়ারাভাবে মাদক বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেতুভাঙ্গা ও দীনেশগঞ্জ এলাকার একাধিক অভিভাবক সাংবাদিকদের জানান, প্রশাসন মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে দু’-একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করলেও তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা মাদক ব্যবসা অব্যাহত রাখে। ফলে মাদক ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া গ্রেপ্তাকৃত মাদক ব্যবসায়ী দু’-এক মাস জেল খেটে বেরিয়ে এসে পুনরায় মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। এসব মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয় অভিভাবকরা। সমাজের শান্তি-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে এসব মাদক ব্যবসায়ীকে প্রয়োজনে ক্রসফায়ারে মেরে ফেলারও দাবি জানান স্থানীয়রা। এ ব্যাপারে বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ আলম মোল্লার সাথে আলাপ করলে তিনি মানবজমিনকে জানান, ছলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার সহযোগীদেরও ছাড় দেয়া হবে না। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।