বিশ্বজমিন
আন্তঃকোরিয়া সামিট
কোরিয়া উপদ্বীপকে শান্তির ভূমিতে পরিণত করার অঙ্গীকার
মানবজমিন ডেস্ক
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ১০:০৫ পূর্বাহ্ন
উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে দু’দিনব্যাপী আন্তঃকোরিয়া সামিট গতকাল শেষ হয়েছে। এতে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন বৈরিতা ভুলে পরস্পরের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এগিয়ে নেয়ার বিষয়ে একমত হয়েছেন। তারা কোরিয়া উপদ্বীপকে একটি শান্তির ভূমিতে পরিণত করার অঙ্গীকার করেছেন। গতকাল পিয়ংইয়ংয়ে উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দল ওয়ার্কার্স পার্টির প্রধান কার্যালয়ে আন্তঃকোরিয়া সামিট শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে দু’দেশের সরকার প্রধান এসব কথা বলেন। এসময় তারা একটি চুক্তিপত্রেও স্বাক্ষর করেন।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, আন্তঃকোরিয়া সামিটে যোগ দিতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন তিনদিনের সফরে উত্তর কোরিয়ায় রয়েছেন। মঙ্গলবার সস্ত্রীক পিয়ংইয়ং পৌঁছান তিনি। বিমান থেকে নামার পর তাকে জড়িয়ে ধরে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। সেখান থেকে অতিথি ভবনে যাওয়ার পথে তার ওপর পুষ্পবর্ষণ করে স্বাগত জানায় উত্তর কোরিয়ার লাখো জনতা। এসময় দু’দেশের সরকার প্রধান একটি ছাদখোলা গাড়িতে চড়ে সমবেত জনতার অভিবাদন গ্রহণ করেন। পরে ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দু’দিনব্যাপী আন্তঃকোরিয়া সামিটে অংশ নেন মুন জায়ে ইন।
সেখানে বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা আনয়নে দক্ষিণ কোরিয়ার ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন উত্তর কোরিয়ার নেতা। প্রথম দিনের অধিবেশন শেষে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পিয়ংইয়ংয়ে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে রাতযাপন করেন। গতকাল আন্তঃকোরিয়া সামিটের দ্বিতীয় দিনের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। অধিবেশন শেষে দুই নেতা এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন। সেখানে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, বিদেশি বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে উত্তর কোরিয়া প্রধান একটি পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার স্থাপনা ধ্বংস করতে সম্মত হয়েছে। এটা স্থায়ীভাবে ধ্বংস করা হবে যেন ভবিষ্যতে আর ব্যবহার না করা যায়।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন এ বক্তব্যের প্রতি সমর্থন জানান। যৌথ সংবাদ সম্মেলনে দু’দেশের সরকার প্রধান বলেন, তারা কোরিয়া উপদ্বীপকে পারমাণবিক হুমকি ও পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত একটি শান্তির ভূমিতে পরিণত করতে চান। পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের জন্য উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে একমত হয়েছেন। এটা খুবই অর্থবহ অর্জন। মুন জায়ে ইন বলেন, উত্তর কোরিয়া বিদেশি বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে তাদের ডংচাং-রি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র স্থায়ীভাবে ধ্বংস করতে রাজি হয়েছে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র যদি পরিপূরক কোনো পদক্ষেপ নেয়, তাহলে উত্তর কোরিয়া নিয়ংবিয়নে অবস্থিত তাদের প্রধান পারমাণবিক স্থাপনাও বন্ধ করতে আগ্রহী। এছাড়া, দুই কোরিয়ার মধ্যবর্তী স্থল ও নৌ-সীমান্তে ‘বাফার জোন’ স্থাপন করার বিষয়ে একমত হয়েছেন কিম জং ও মুন জায়ে ইন।
পরে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বলেন, ‘কয়েক দশক ধরে চলা ঐতিহাসিক দ্বন্দ্ব ও বৈরিতা নিরসনে আমরা একটি চুক্তি করেছি। আমরা কোরিয়া উপদ্বীপকে একটি শান্তির ভূমিতে পরিণত করার জন্য কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার বিষয়ে একমত হয়েছি।’ সিউল সফর করার জন্য কিম জং উনকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন। এ আমন্ত্রণ গ্রহণ করে অদূর ভবিষ্যতে সিউল সফরে যাওয়ার ঘোষণা দেন কিম জং উন। বাস্তবেই তিনি সিউল সফরে গেলে তা হবে উত্তর কোরিয়ার কোন নেতার প্রথম সিউল সফর।
এছাড়া, আন্তঃকোরিয়া সম্মেলনে দু’দেশের সরকার প্রধান ২০৩২ সালে অলিম্পিক গেমসের আয়োজক স্বত্ব পাওয়ার জন্য যৌথ প্রচেষ্টা চালাতে একমত হয়েছেন। একই সঙ্গে ২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিকসহ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাগুলোতে একসঙ্গে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা দেন তারা।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, আন্তঃকোরিয়া সামিটে যোগ দিতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন তিনদিনের সফরে উত্তর কোরিয়ায় রয়েছেন। মঙ্গলবার সস্ত্রীক পিয়ংইয়ং পৌঁছান তিনি। বিমান থেকে নামার পর তাকে জড়িয়ে ধরে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। সেখান থেকে অতিথি ভবনে যাওয়ার পথে তার ওপর পুষ্পবর্ষণ করে স্বাগত জানায় উত্তর কোরিয়ার লাখো জনতা। এসময় দু’দেশের সরকার প্রধান একটি ছাদখোলা গাড়িতে চড়ে সমবেত জনতার অভিবাদন গ্রহণ করেন। পরে ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দু’দিনব্যাপী আন্তঃকোরিয়া সামিটে অংশ নেন মুন জায়ে ইন।
সেখানে বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা আনয়নে দক্ষিণ কোরিয়ার ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন উত্তর কোরিয়ার নেতা। প্রথম দিনের অধিবেশন শেষে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পিয়ংইয়ংয়ে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে রাতযাপন করেন। গতকাল আন্তঃকোরিয়া সামিটের দ্বিতীয় দিনের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। অধিবেশন শেষে দুই নেতা এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন। সেখানে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, বিদেশি বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে উত্তর কোরিয়া প্রধান একটি পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার স্থাপনা ধ্বংস করতে সম্মত হয়েছে। এটা স্থায়ীভাবে ধ্বংস করা হবে যেন ভবিষ্যতে আর ব্যবহার না করা যায়।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন এ বক্তব্যের প্রতি সমর্থন জানান। যৌথ সংবাদ সম্মেলনে দু’দেশের সরকার প্রধান বলেন, তারা কোরিয়া উপদ্বীপকে পারমাণবিক হুমকি ও পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত একটি শান্তির ভূমিতে পরিণত করতে চান। পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের জন্য উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে একমত হয়েছেন। এটা খুবই অর্থবহ অর্জন। মুন জায়ে ইন বলেন, উত্তর কোরিয়া বিদেশি বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে তাদের ডংচাং-রি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র স্থায়ীভাবে ধ্বংস করতে রাজি হয়েছে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র যদি পরিপূরক কোনো পদক্ষেপ নেয়, তাহলে উত্তর কোরিয়া নিয়ংবিয়নে অবস্থিত তাদের প্রধান পারমাণবিক স্থাপনাও বন্ধ করতে আগ্রহী। এছাড়া, দুই কোরিয়ার মধ্যবর্তী স্থল ও নৌ-সীমান্তে ‘বাফার জোন’ স্থাপন করার বিষয়ে একমত হয়েছেন কিম জং ও মুন জায়ে ইন।
পরে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বলেন, ‘কয়েক দশক ধরে চলা ঐতিহাসিক দ্বন্দ্ব ও বৈরিতা নিরসনে আমরা একটি চুক্তি করেছি। আমরা কোরিয়া উপদ্বীপকে একটি শান্তির ভূমিতে পরিণত করার জন্য কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার বিষয়ে একমত হয়েছি।’ সিউল সফর করার জন্য কিম জং উনকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন। এ আমন্ত্রণ গ্রহণ করে অদূর ভবিষ্যতে সিউল সফরে যাওয়ার ঘোষণা দেন কিম জং উন। বাস্তবেই তিনি সিউল সফরে গেলে তা হবে উত্তর কোরিয়ার কোন নেতার প্রথম সিউল সফর।
এছাড়া, আন্তঃকোরিয়া সম্মেলনে দু’দেশের সরকার প্রধান ২০৩২ সালে অলিম্পিক গেমসের আয়োজক স্বত্ব পাওয়ার জন্য যৌথ প্রচেষ্টা চালাতে একমত হয়েছেন। একই সঙ্গে ২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিকসহ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাগুলোতে একসঙ্গে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা দেন তারা।