বিশ্বজমিন
দেশে-বিদেশে শহিদুল আলমের মুক্তি দাবি
মানবজমিন ডেস্ক
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বুধবার, ১১:২৩ পূর্বাহ্ন
জেলবন্দি বাংলাদেশী ফটোসাংবাদিক ড. শহিদুল আলম ও আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবিতে দেশে ও বিদেশে প্রতিবাদ বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। কয়েক সপ্তাহ আগে কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী জামিন পেয়েছেন। তবে এখনও অজ্ঞাত সংখ্যক আটক আছেন। এরই মধ্য শহিদুল আলমের মৃক্তি দাবি করেছে বেশ কিছু সংখ্যক আন্তর্জাতিক এজেন্সি, নোবেল বিজয়ী, ফটো সাংবাদিক, সাংবাদিক ও মানবাধিকার সংগঠন। এর মধ্যে তার মুক্তি দাবি করে দ্বিতীয়বার বিবৃতি দিয়েছেন ভারতের সুপরিচিত লেখিকা অরুন্ধতী রায়, আমেরিকার নোয়াম চমস্কি, কানাডার লেখক নোয়ামি ক্লেইন, আমেরিকার প্লেরাইট ইভ এনস্লার, ভারতীয় সাংবাদিক বিজয় প্রসাদ। তারা শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ বাতিল করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের কাছে। শহিদুল আলমকে ‘অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল প্রিজনার অব সনসায়েন্স’ বা বিবেকের বন্দি হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এ খবর দিয়েছে অনলাইন গ্লোবাল ভয়েস।
গ্লোবাল ভয়েস আরো লিখেছে, শহিদুল আলমকে আটক করা হয় ৫ই আগস্ট। আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় পরের দিন। তার বিরুদ্ধে আইসিটি আইনের অধীনে মামলা করা হয়। ২৮ শে আগস্ট তার জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। ৪ঠা সেপ্টেম্বর হাই কোর্টের দুই সদস্যের বেঞ্চ এ নিয়ে শুনানিতে বিব্রতবোধ করেন। বাংলাদেশে বিচারিক ক্ষেত্রে বিচারকরা মাঝে মাঝে বিব্রতবোধ করেন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচারের ক্ষেত্রে। বিশেষ করে যদি সেটা হয় কোনো সুপরিচিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে, সরাসরি বা প্রত্যক্ষভাবে, অথবা যদি তারা আতঙ্ক বোধ করেন যে, তাদেরকে হুমকি বা ভয়ভীতি দেখানো হবে তাহলে এমন বিব্রতবোধ করেন। শহিদুল আলমের আইনজীবীরা আপিল করেছিলেন হাইকোর্টের কাছে। সেখান থেকে তাদেরকে পাঠানো হয়েছিল নি¤œ আদালতে।
ফেসবুকে ও টুইটার একাউন্ডে বাংলাদেশের অকার্যকর ট্রাফিক আইনের বিরুদ্ধে ছাত্রবিক্ষোভের খবর প্রকাশ করার কারণে শহিদুল আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া তিনি ফেসবুক লাইভে ওই বিক্ষোখভ সম্পর্কে আলোচনা করেছিলেন। এর বাইরে শহিদুল আলম আল জাজিরা টেলিভিশনকে একটি সাক্ষাতকার দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি ওই সময়ের চলমান ছাত্রবিক্ষোভ নিয়ে কথা বলেন। সমালোচনা করেন সরকারের। দু’জন শিক্ষার্থী বেপরোয়াভাবে চালানো বাসের নিচে পড়ে মারা যাওয়ার পর নিরাপদ সদকের দাবিতে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হাজার হাজার শিক্ষার্থী ঢাকার রাজপথে নেমে আসে ২৯ শে জুলাই। সেই বিক্ষোভ অব্যাহত থাকে এক সপ্তাহের বেশি।
৪ঠা সেপ্টেম্বর দৃক গ্যালারিতে শহিদুল আলতের নির্বাচিত কিছু ছবি নিয়ে একটি প্রদর্শনী হয়। এর শিরোনাম ‘এ স্ট্রাগল ফর ডেমোক্রেসি’ অর্থাৎ গণতন্ত্রের জন্য লড়াই। ২৯ বচজর আগে তিনি এই গ্যালারি প্রতিষ্ঠা করেছেন। তার সংগ্রাম ও সম্মানকে ফুটিয়ে তোলার জন্য এর আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া শহিদুল আলম প্রতিষ্ঠা করেন পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইন্সটিটিউট ও ছবি মেলা। ৯ই সেপ্টেম্বর রাজধানীর শাহবাগে শহিদুল আলম ও শিক্ষার্থীদের আটক রাখার প্রতিবাদে একটি জনসমাবেশ হয়। এর শিরোনাম ‘লেট ডেমোক্রেসি বি ফ্রি’ অর্থাৎ গণতন্ত্রকে স্বাধীনতা দেয়া হোক। লন্ডন, নিউ ইয়র্ক ও ওয়াশিংটন ডিসির মাে শহরেও এই বিক্ষোভের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বিক্ষোভ হয়েছে। শহিদুল আলমের ভাতিজি সোফি করিম বসবাস করেন লন্ডনে। চাচাকে আটকের প্রতিবাদে তিনি ইন্সটাগ্রামে সক্রিয় থেকে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তার ইন্সটাগ্রামের একাউন্টে প্রতিবাদ জানিয়ে বহু আর্ট বা ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। এ ছাড়া তিনি সাক্ষাতকার দিয়েছেন বিবিসিতে। শহিদুল আলমকে জামিন না দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন লন্ডনভিত্তিক বাংলাদেশী আইনী পরামর্শক ড. রায়হান রশিদ।
গ্লোবাল ভয়েস আরো লিখেছে, শহিদুল আলমকে আটক করা হয় ৫ই আগস্ট। আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় পরের দিন। তার বিরুদ্ধে আইসিটি আইনের অধীনে মামলা করা হয়। ২৮ শে আগস্ট তার জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। ৪ঠা সেপ্টেম্বর হাই কোর্টের দুই সদস্যের বেঞ্চ এ নিয়ে শুনানিতে বিব্রতবোধ করেন। বাংলাদেশে বিচারিক ক্ষেত্রে বিচারকরা মাঝে মাঝে বিব্রতবোধ করেন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচারের ক্ষেত্রে। বিশেষ করে যদি সেটা হয় কোনো সুপরিচিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে, সরাসরি বা প্রত্যক্ষভাবে, অথবা যদি তারা আতঙ্ক বোধ করেন যে, তাদেরকে হুমকি বা ভয়ভীতি দেখানো হবে তাহলে এমন বিব্রতবোধ করেন। শহিদুল আলমের আইনজীবীরা আপিল করেছিলেন হাইকোর্টের কাছে। সেখান থেকে তাদেরকে পাঠানো হয়েছিল নি¤œ আদালতে।
ফেসবুকে ও টুইটার একাউন্ডে বাংলাদেশের অকার্যকর ট্রাফিক আইনের বিরুদ্ধে ছাত্রবিক্ষোভের খবর প্রকাশ করার কারণে শহিদুল আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া তিনি ফেসবুক লাইভে ওই বিক্ষোখভ সম্পর্কে আলোচনা করেছিলেন। এর বাইরে শহিদুল আলম আল জাজিরা টেলিভিশনকে একটি সাক্ষাতকার দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি ওই সময়ের চলমান ছাত্রবিক্ষোভ নিয়ে কথা বলেন। সমালোচনা করেন সরকারের। দু’জন শিক্ষার্থী বেপরোয়াভাবে চালানো বাসের নিচে পড়ে মারা যাওয়ার পর নিরাপদ সদকের দাবিতে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হাজার হাজার শিক্ষার্থী ঢাকার রাজপথে নেমে আসে ২৯ শে জুলাই। সেই বিক্ষোভ অব্যাহত থাকে এক সপ্তাহের বেশি।
৪ঠা সেপ্টেম্বর দৃক গ্যালারিতে শহিদুল আলতের নির্বাচিত কিছু ছবি নিয়ে একটি প্রদর্শনী হয়। এর শিরোনাম ‘এ স্ট্রাগল ফর ডেমোক্রেসি’ অর্থাৎ গণতন্ত্রের জন্য লড়াই। ২৯ বচজর আগে তিনি এই গ্যালারি প্রতিষ্ঠা করেছেন। তার সংগ্রাম ও সম্মানকে ফুটিয়ে তোলার জন্য এর আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া শহিদুল আলম প্রতিষ্ঠা করেন পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইন্সটিটিউট ও ছবি মেলা। ৯ই সেপ্টেম্বর রাজধানীর শাহবাগে শহিদুল আলম ও শিক্ষার্থীদের আটক রাখার প্রতিবাদে একটি জনসমাবেশ হয়। এর শিরোনাম ‘লেট ডেমোক্রেসি বি ফ্রি’ অর্থাৎ গণতন্ত্রকে স্বাধীনতা দেয়া হোক। লন্ডন, নিউ ইয়র্ক ও ওয়াশিংটন ডিসির মাে শহরেও এই বিক্ষোভের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বিক্ষোভ হয়েছে। শহিদুল আলমের ভাতিজি সোফি করিম বসবাস করেন লন্ডনে। চাচাকে আটকের প্রতিবাদে তিনি ইন্সটাগ্রামে সক্রিয় থেকে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তার ইন্সটাগ্রামের একাউন্টে প্রতিবাদ জানিয়ে বহু আর্ট বা ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। এ ছাড়া তিনি সাক্ষাতকার দিয়েছেন বিবিসিতে। শহিদুল আলমকে জামিন না দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন লন্ডনভিত্তিক বাংলাদেশী আইনী পরামর্শক ড. রায়হান রশিদ।