এক্সক্লুসিভ
বাসে চালক-হেলপারের ছবি, লাইসেন্স ও মোবাইল নম্বর টাঙ্গানো বাধ্যতামূলক হচ্ছে
দীন ইসলাম
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বুধবার, ৯:২৬ পূর্বাহ্ন
বাসের দৃশ্যমান দুটি স্থানে চালক এবং হেলপারের ছবিসহ নাম টাঙ্গিয়ে রাখতে হবে। এর সঙ্গে টাঙ্গাতে হবে ড্রাইভারের লাইসেন্স ও মোবাইল নম্বর। এছাড়া মহানগরী ও মহাসড়কের যানবাহন ড্রাইভারদের সিটবেল্ট পরিধানের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য বলা হয়। এরই মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমডি) এবং বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)-কে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ঢাকা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য অনুষ্ঠিত এক উচ্চ পর্যায়ের সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এসব সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে, ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়নে স্বল্প মেয়াদ, মধ্য মেয়াদ এবং দীর্ঘ মেয়াদে কি করতে হবে। এর ভিত্তিতেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। উচ্চ পর্যায়ের সভার কার্যবিবরণী সূত্রে জানা গেছে, সভার শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিট একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেয়। এরপর সভায় বাসস্টপেজ ছাড়া যাত্রী উঠানামা বন্ধ রাখা নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দেয়া হয়। পাশাপাশি সব মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীকে (সর্বোচ্চ দুইজন) বাধ্যতামূলক হেলমেট পরিধানের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এ নির্দেশনার পর এরই মধ্যে এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছে ডিএমপি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ওই সভায় দূরপাল্লার অর্থাৎ মহাসড়কের যানবাহনগুলোতে চালক ও যাত্রীদের সিটবেল্ট পরিধানের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য বলা হয়। এ ছাড়া ঢাকা মহানগরীর যানবাহনগুলোতে সিটবেল্ট সংযোজনের নির্দেশ দেয়া হয়। এ বিষয়ে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ওই বৈঠকে ফুটওভার ব্রিজ বা আন্ডারপাস, জেব্রা ক্রসিং, রোড সাইন এবং অবৈধ পার্কিংসহ বিভিন্ন বিষয়ে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সভার সিদ্ধান্তে বলা হয়, ঢাকা শহরের যেসব স্থানে ফুটওভার ব্রিজ বা আন্ডারপাস রয়েছে ওই সব স্থানের দুই পাশে একশ’ মিটারের মধ্যে রাস্তা পারাপার সম্পূর্ণ বন্ধ করার কার্যকরী উদ্যোগ নিতে হবে। এ সময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নাগরিককে ধন্যবাদ বা প্রশংসাসূচক সম্বোধন করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুরু বা ছুটির সময় বিশেষ দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেয়া হয়। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়, ঢাকা শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি বা আরম্ভ হওয়ার সময় অপেক্ষাকৃত বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থী, স্কাউট এবং বিএনসিসির সহযোগিতা নিয়ে শিক্ষার্থীদের রাস্তা পারাপারের উদ্যোগ নিতে হবে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করছেন তারা। এর ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি অনেকটাই লাঘব হবে।