বাংলারজমিন
আওয়ামী লীগ নেতার বহিষ্কারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বুধবার, ৮:০২ পূর্বাহ্ন
শেরপুরে এক আওয়ামী লীগ নেতার দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং ঘুষ-দুর্নীতি অনিয়মের বিচার ও বহিষ্কারের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার শেরপুর প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অভিযোগ করা হয়, শেরপুর উপজেলার ৫নং মির্জাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল হান্নান তালুকদার সরকার দলীয় পদের প্রভাব খাটিয়ে তালতা, ভাদাইশপাড়া, শিয়ালবর্ষ, তালতা ধাপেরপাড়, মাথাইলচাপর, খোলাবাড়িয়া, শংকরহাটা, মাকোরখোলা, ঘাড়তাপাড়া, আয়রা, শাতাইন, রাজবাড়ী ও বুড়িতলা সহ বিভিন্ন গ্রামের শ’ শ’ মানুষের ঘর-বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার নামে লাখ লাখ টাকা চাঁদা ও ঘুষ নিয়ে আত্মসাৎ করেন। এ ব্যাপারে মির্জাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে গত ৭ই সেপ্টেন্বর রেজ্যুলেশন করে আবদুল হান্নানকে দল থেকে বহিষ্কার করার দাবিতে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে সরকারদলীয় নেতা আবদুল হান্নানকে দল থেকে বহিষ্কারের আলোচনায় মির্জাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৬৪ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহী কমিটির মাঝে মোট ৪৭ জন সদস্য একমত হয়ে ওই সভায় বলেন, দলীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেয়া হচ্ছে। অথচ সরকারের এমন ভালো কাজে আবদুল হান্নান সাধারণ মানুষের পকেট কেটে প্রায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা ও ঘুষ আদায় করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন্ন করেছেন। এছাড়াও মাকোরখোলা মাটির রাস্তা পাকাকরণের জন্য গ্রামবাসীর নিকট থেকে আবদুল হান্নান শেরপুর উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার নূূর মোহাম্মদ মিলে ৮০ হাজার টাকা ঘুষ নেন। ভাদাইসপাড়া মসজিদের নামে গত অর্থ বছরে সরকারি বরাদ্দের টিআর-কাবিখা প্রকল্পের টন খাদ্য আত্মসাৎ সাগরপুর মন্দির কমিটির সভাপতি দীনেশ সরকারের নিকট থেকে উন্নয়নের নামে ঘুষগ্রহণ করে প্রতারণা সহ স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৈশপ্রহরী কাম দপ্তরি পিয়ন নিয়োগে অনিয়ম করে প্রায় ১২ লাখ টাকার বিনিময়ে চাকরি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
মির্জাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ১ম সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ মো. শাহজাহান আলী শেরপুর প্রেস ক্লাবের ওই সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এ সময় আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন কমিটির প্রতিবাদী সদস্য, তালতা সহ বিভিন্ন গ্রামের আলহাজ মো. আবদুল হাামিদ, মকুল হোসেন, রুবেল মণ্ডল, হারেজ উদ্দিন, আবুল কাশেম, আবদুল কাদের, দীনেশ সরকার, মহসীন আলী, মোকলেছার রহমানসহ স্থানীয় গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সভায় উপস্থিত সকলে একমত পোষণ করে বলেন সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন্ন করায় আবদুল হান্নানকে সাময়িক বহিষ্কার করার রেজ্যুলেশনের কপি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরসহ শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কাছে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য প্রেরণ করা হয়।
এদিকে সরকারদলীয় নেতা আবদুল হান্নানকে দল থেকে বহিষ্কারের আলোচনায় মির্জাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৬৪ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহী কমিটির মাঝে মোট ৪৭ জন সদস্য একমত হয়ে ওই সভায় বলেন, দলীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেয়া হচ্ছে। অথচ সরকারের এমন ভালো কাজে আবদুল হান্নান সাধারণ মানুষের পকেট কেটে প্রায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা ও ঘুষ আদায় করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন্ন করেছেন। এছাড়াও মাকোরখোলা মাটির রাস্তা পাকাকরণের জন্য গ্রামবাসীর নিকট থেকে আবদুল হান্নান শেরপুর উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার নূূর মোহাম্মদ মিলে ৮০ হাজার টাকা ঘুষ নেন। ভাদাইসপাড়া মসজিদের নামে গত অর্থ বছরে সরকারি বরাদ্দের টিআর-কাবিখা প্রকল্পের টন খাদ্য আত্মসাৎ সাগরপুর মন্দির কমিটির সভাপতি দীনেশ সরকারের নিকট থেকে উন্নয়নের নামে ঘুষগ্রহণ করে প্রতারণা সহ স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৈশপ্রহরী কাম দপ্তরি পিয়ন নিয়োগে অনিয়ম করে প্রায় ১২ লাখ টাকার বিনিময়ে চাকরি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
মির্জাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ১ম সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ মো. শাহজাহান আলী শেরপুর প্রেস ক্লাবের ওই সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এ সময় আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন কমিটির প্রতিবাদী সদস্য, তালতা সহ বিভিন্ন গ্রামের আলহাজ মো. আবদুল হাামিদ, মকুল হোসেন, রুবেল মণ্ডল, হারেজ উদ্দিন, আবুল কাশেম, আবদুল কাদের, দীনেশ সরকার, মহসীন আলী, মোকলেছার রহমানসহ স্থানীয় গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সভায় উপস্থিত সকলে একমত পোষণ করে বলেন সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন্ন করায় আবদুল হান্নানকে সাময়িক বহিষ্কার করার রেজ্যুলেশনের কপি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরসহ শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কাছে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য প্রেরণ করা হয়।