বিশ্বজমিন

চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট নিয়ে মে’র সতর্কবার্তা

মানবজমিন ডেস্ক

১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, মঙ্গলবার, ১০:১৯ পূর্বাহ্ন

ব্রেক্সিট নিয়ে আবারো নিজের অনড় অবস্থানের কথা ব্যক্ত করেছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। সমালোচক ও বিরোধিতাকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, চেকার্সের ব্রেক্সিট পরিকল্পনা সমর্থন করুন, নয়তো চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিটের সম্মুখীন হওয়ার প্রস্তুতি নিন। সমসাময়িক বিষয় নিয়ে বিবিসি’র বিশেষ অনুষ্ঠান ‘প্যানারোমা’-তে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, আগামী বছরের ২৯শে মার্চের মধ্যে ইইউ’র সঙ্গে সম্পর্ক  ছেদ করার জন্য বৃটেনকে সময় বেধে দেয়া হয়েছে। কিন্তু মাত্র কয়েক মাস বাকি থাকলেও উভয়পক্ষ এখনো কোনো সমঝোতায় আসতে পারেনি। এমনকি, বৃটেন কোনো বিচ্ছেদ-চুক্তির রূপরেখাও সর্বসম্মতভাবে প্রস্তাব করতে পারেনি। চেকার্সের প্রস্তাবিত ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে নিজের দলেও বিরোধিতার মুখে পড়েছেন তেরেসা মে। কনজারভেটিভ পার্টির উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিদ্রোহী সদস্য পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেয়ার কথা বলেছেন।

এর মধ্যেই বিরোধিতাকারীদের একহাত নিলেন তেরেসা মে। বিবিসি’র একটি অনুষ্ঠানে বিরোধিতাকারীদের প্রতি কড়া সতর্কবার্তা দেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী। এতে বোঝা যায়, অব্যাহত সমালোচনার পরেও চেকার্সের ব্রেক্সিট পরিকল্পনা থেকে সরে আসার কোনো ইচ্ছা তার নেই। বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তেরেসা মে বলেন,  ‘চেকার্সের প্রস্তাবিত ব্রেক্সিট পরিকল্পনা সমর্থন করা অথবা কোনো চুক্তিই না করা, পার্লামেন্টারিয়ানদেরকে এর যেকোনো একটি বেছে নিতে হবে। আমি মনে করি পার্লামেন্ট যদি চেকার্সের ব্রেক্সিট পরিকল্পনা অনুমোদন না করে, তাহলে এর  বিকল্প হবে কোনো চুক্তিই না করা।’

এ বিষয়ে বিবিসি’র রাজনীতি বিষয়ক সম্পাদক লরা কুয়েন্সবার্গ বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিবেচনা করে দেখেছেন যে, ব্রেক্সিট প্রস্তাব যদি বাইনারি পদ্ধতিতে উত্থাপন করা হয়, তাহলে চেকার্সের ব্রেক্সিট প্ল্যান অথবা চুক্তিবিহীন বিচ্ছেদ, পার্লামেন্টারিয়ানদের এ দু’টির মধ্যে যেকোনো একটি বেছে নিতে হবে। এক্ষেত্রে কট্টরপন্থি ব্রেক্সিট সমর্থকরা সরাসরি ‘না’ বলার স্পর্ধা দেখাবে না। আর বাকিরা সিদ্ধান্ত নেবে যে, ব্রেক্সিট প্ল্যান নিয়ে এখনো বিতর্ক করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাবে। চূড়ান্তভাবে তারা চেকার্সের প্ল্যানকেই সমর্থন করতে পারে
এদিকে, আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ) সতর্ক করে বলেছে, বৃটেন সুনির্দিষ্ট কোনো চুক্তি ছাড়া ইইউ ত্যাগ করলে তা দেশটিকে আরো গরিব দেশে পরিণত করবে। তখন বৃটেনের ব্যয় ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাবে।

আইএমএফের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে, বৃটেন যদি সমঝোতার মাধ্যমে ইইউ’র সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করে, তাহলে বৃটিশ অর্থনীতিতে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে ১.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সংস্থাটির ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টিন ল্যাগার্দি বলেন, বৃটেন যদি ইইউ’র সঙ্গে যথাসময়ে বিচ্ছেদ চুক্তি করে, তখনই এটি বাস্তব হতে পারে। ব্রেক্সিট চুক্তির ধরণ নিয়ে তিনি বলেন, যে চুক্তির অধীনে ইইউ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে সহজেই পণ্য, সেবা, জনগণ ও মূলধন স্থানান্তর করা যায়, এর চেয়ে ভালো আর কোনো চুক্তি হতে পারে না। আর ইইউ’র সঙ্গে সংঘাতমূলক প্রস্থানে বৃটেনের ওপর ধারাবাহিক প্রভাব পড়বে। এর ফলে প্রবৃদ্ধি হ্রাস, ব্যাপক ঘাটতি, মুদ্রার দরপতনসহ চূড়ান্তভাবে বৃটিশ অর্থনীতির আকার কমে যাবে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status